বেঁধেছি তোমায় অটুট বাঁধনে

টেস্ট ক্রিকেট পাঁচ দিনের খেলা। এখানে পারফর্ম কর‍তে হলে ভালো ফিটনেস এবং স্কিলে প্রয়োজনীয়তা প্রচুর। ফিটনেস না থাকলে টেস্ট ক্রিকেটে কখনই সাফল্য পায় নি কোনো ক্রিকেটার। টেস্ট ক্রিকেটের একটি বিশেষ দিক হলো আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং দেখা যায়, যেটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কল্যানে হারিয়ে যেতে বসেছে। টেস্ট ক্রিকেটে যারা ক্লোজ ইন ফিল্ডিং এ দাড়ান তাদের ফিল্ডিং ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ থাকে না। কারণ তারা ওভারের পর ওভার ক্লোজ ইন এ ফিল্ডিং করে দলকে এনে দেয় সাফল্য।

বেশিরভাগ ক্রিকেট সমর্থকরাই বিশ্বাস করেন ক্রিকেটের সবচেয়ে শুদ্ধতম সংস্করণ হলো টেস্ট ক্রিকেত। কারণ, স্কিল এবং ফিটনেস না থাকলে কখনই টেস্ট ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করা সম্ভব নয়। টেস্ট ক্রিকেটে যেসব ক্রিকেটার সাফল্য পেয়েছেন তারা সবাই ছিলেন টেকনিক এবং স্কিলের দিক থেকে শুদ্ধ ব্যাটসম্যান অথবা বোলার।

টেস্ট ক্রিকেট পাঁচ দিনের খেলা। এখানে পারফর্ম কর‍তে হলে ভালো ফিটনেস এবং স্কিলে প্রয়োজনীয়তা প্রচুর। ফিটনেস না থাকলে টেস্ট ক্রিকেটে কখনই সাফল্য পায় নি কোনো ক্রিকেটার। টেস্ট ক্রিকেটের একটি বিশেষ দিক হলো আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং দেখা যায়, যেটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কল্যানে হারিয়ে যেতে বসেছে। টেস্ট ক্রিকেটে যারা ক্লোজ ইন ফিল্ডিং এ দাড়ান তাদের ফিল্ডিং ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ থাকে না। কারণ তারা ওভারের পর ওভার ক্লোজ ইন এ ফিল্ডিং করে দলকে এনে দেয় সাফল্য।

ক্রিকেটে কিছু বোলারের বলে তাদের দলের নির্দিষ্ট একজন ফিল্ডার অনেক বেশি ক্যাচ নিয়েছেন, অর্থাৎ বোলার-ফিল্ডার জুটি বেঁধে উইকেটে নিতে অবদান রেখেছে। এমন কিছু জুটির কথা তুলে ধরা হল।

  • মুত্তিয়া মুরালিধরন এবং মাহেলা জয়াবর্ধনে (শ্রীলঙ্কা)

বোলার-ফিল্ডার জুটিতে উইকেট শিকারে সবচেয়ে এগিয়ে আছে এই জুটি। মুত্তিয়া মুরালিধরন-মাহেলা জয়াবর্ধনে জুটি একসাথে খেলেছেন ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত। এই সময়ে তারা ৭৭ টি উইকেটে অবদান রেখেছে। মুরালিধরন ক্যারিয়ারের ৮০০ উইকেট নিয়েছেন এবং জয়াবর্ধনে ক্যারিয়ারে ২০৫ টি ক্যাচ নিয়েছেন।

মুরালিধরনের ৮০০ উইকেটের মধ্যে ৭৭ উইকেটে অবদান রেখেছেন জয়াবর্ধনে।

  • অনিল কুম্বলে এবং রাহুল দ্রাবিড় (ভারত)

রাহুল দ্রাবিড় তাঁর সময়ে সেরা ক্যাচ নেয়া ক্রিকেটার ছিলেন। অনিল কুম্বলে এবং রাহুল দ্রাবিড় একসাথে ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এক সাথে ড্রেসিং রুম শেয়ার করেছিলেন। এই সময়ে অনিল কুম্বলের বলে ৫৫ বার ক্যাচ ধরেছেন রাহুল দ্রাবিড়।

ক্যাচ ধরার পাশাপাশি অনিল কুম্বলের বলে চার বার স্ট্যাম্পিং করেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। এর পাশাপাশি হরভজন সিংয়ের সাথেও ৫১ বার জুটি বেঁধে ব্যাটসম্যানকে ড্রেসিং রুমে ফিরিয়েছিলেন।

  • শেন ওয়ার্ন এবং মার্ক টেলর (অস্ট্রেলিয়া)

শেন ওয়ার্ন অস্ট্রেলিয়ার সেরা লেগ স্পিনার। ক্যারিয়ার জুড়ে অনেকবারই বিভিন্ন বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। এছাড়া ফিল্ডার হিসেবে বেশ সফল ছিলেন শেন ওয়ার্ন। তাঁর বোলিং এ ক্যাচ নেয়ার সময় সেরা ফিল্ডার ছিলেন মার্ক টেলর, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক।

মার্ক টেইলরের সাথে জুটি বেধে ৫১ বার ব্যাটসম্যানদের প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে ৭০২ উইকেট পেয়েছিলেন শেন ওয়ার্ন। এর মধ্যে ৫১ বার ক্যাচ নিয়েছিলেন মার্ক টেইলর।

  • হরভজন সিং এবং রাহুল দ্রাবিড় (ভারত)

হরভজন সিং ভারতের ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা স্পিনার। তিনি এখনো ক্রিকেটকে বিদায় জানাননি। কিন্তু এখন আর জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলার আর কোনো ধরনের সম্ভাবনা নেই। রাহুল দ্রাবিড় ছিলেন তার সময়ে সেরা ফিল্ডার।

হরভজন সিং এবং রাহুল দ্রাবিড় দুই জন জুটি বেঁধে মোট ৫১ বার ব্যাটসম্যানদেরকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন। ভারতীয় টেস্ট ইতিহাসের সেরা বোলার-ফিল্ডার জুটি ছিলেন তারা।

  • নাথান লিঁও এবং স্টিভ স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়ার স্পিন আক্রমণের অন্যতম ভরসা অফস্পিনার নাথান লিঁও। আর সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং এবং ফিল্ডিং এর অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। স্মিথ সাধারণত স্লিপে ফিল্ডিং করেন। স্লিপে তাঁর কাছে ক্যাচ হাতছাড়া হবার ঘটনা খুব কম সংখ্যক বারই ঘটেছে।

নাথান লিঁওর বলে মোট ৪০ বার ক্যাচ নিয়েছেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা বোলার-ফিল্ডার জুটি তাঁরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...