জয়ে ফিরল মুম্বাই

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দ্বিতীয় অংশে তিনটি ম্যাচে খেলে সব গুলো ম্যাচেই হেরেছিল মু্ম্বাই ইন্ডিয়ান্স। প্লে - অফের দৌড়ে টিকে থাকতে তাই আজ জয়ের কোন বিকল্প ছিল না বর্তমান চ্যাম্পিয়ানদের। নিজেদের ১১ তম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে কাঙ্খিত সেই জয়ই পেয়েছে রোহিত শর্মার দল।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দ্বিতীয় অংশে তিনটি ম্যাচে খেলে সব গুলো ম্যাচেই হেরেছিল মু্ম্বাই ইন্ডিয়ান্স। প্লে – অফের দৌড়ে টিকে থাকতে তাই আজ জয়ের কোন বিকল্প ছিল না বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। নিজেদের ১১ তম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে কাঙ্খিত সেই জয়ই পেয়েছে রোহিত শর্মার দল।

বোলারদের নৈপুণ্যে জয়ের জন্য মাত্র ১৩৫ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল মুম্বাই। তবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বাইয়ের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মুম্বাইয়ের ইনিংসে জোড়া আঘাত হানেন রবি বিষ্ণয়। ওভারের তৃতীয় বলে মানদীপ সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে রোহিত শর্মা ফিরে যাওয়ার পরের বলেই লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান সুরিয়াকুমার যাদব।

১০ বলে ৮ রান করেন রোহিত এবং রানের খাতায় খুলতে পারেননি যাদব। ১৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে ৪৫ রান যোগ করে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন কুইন্টন ডি কক ও সৌরভ তিওয়ারি। ২৯ বলে ২৭ রান করে ডি কক ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। পাঞ্জাবকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মোহাম্মদ শামি।

এরপর সৌরভকে ফিরিয়ে দিয়ে পাঞ্জাবকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন নাথান এলিস। ৩৭ বলে ৪৫ রান করেন সৌরভ। ৯২ রানে ৪ উইকেট হারানো মুম্বাইয়ের শেষ ২৯ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন দাঁড়ায় ৪৪ রান। কাইরন পোলার্ড ও হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটিংয়ে ভর করে এক ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় মুম্বাই।

৩০ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন পান্ডিয়া এবং ৭ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন পোলার্ড। পাঞ্জাবের বোলারদের ভিতর দুটি উইকেট শিকার করেন রবি বিষ্ণ ও একটি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ সামি এবং নাথান এলিস।

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মানদীপ সিং। উদ্বোধনী জুটিতে ৫.২ ওভারে দু’জন যোগ করেন ৩৬ রান। কুনাল পান্ডিয়ার প্রথম শিকার হয়ে ১৪ বলে ১৫ রান করে মানদীপ ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব।

পাওয়ার প্লের পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে পাঞ্জাবের ইনিংসে জোড়া আঘাত হানেন কাইরন পোলার্ড। পোলার্ডের দারুণ এক ডেলিভারিতে ক্রিস গেইল হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যাওয়ার এক বল পরেই বুমরাহর হাতে ধরা পড়ে রাহুল। ৪ বলে ১ রান করেন গেইল আর রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ২১ রান।

 

এরপর বুমরাহর করা পরের ওভার নিকোলাস পুরান (২) এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ফিরে গেলে ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাঞ্জাব। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন এডেন মার্করাম এবং দীপক হুদা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দু’জন যোগ করেন ৪৭ বলে ৬১ রান। ২৯ বলে ৪২ রান করা মার্করামকে ফিরিয়ে দিয়ে এই জুটি ভাঙেন রাহুল চাহার।

দুই ওভার পর বুমরাহর দ্বিতীয় শিকার হয়ে হুদা ফিরে গেলে আর রানের গতি বাড়াতে পারেনি পাঞ্জাব। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব। হুদার ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ২৮ রান। হরপ্রীত ব্রার অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ১৪ রান করে। মুম্বাইয়ের বোলারদের ভিতর দুটি করে উইকেট শিকার করেন জসপ্রিত বুমরাহ ও কাইরন পোলার্ড।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাঞ্জাব কিংস: ১৩৫/৫ (ওভার: ২০; রাহুল- ২১, গেইল- ১, মানদীপ- ১৫, মার্করাম- ৪২, পুরান- ২, হুদা- ২৮, ব্রার- ১৪*) (পোলার্ড- ১-০-৮-২, বুমরাহ- ৪-০-২৪-২)

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ১৩৭/৪ (ওভার: ১৯; শর্মা- ৮, ডি কক- ২৭, যাদব- ০, সৌরভ- ৪৫, পান্ডিয়া- ৪০*, পোলার্ড- ১৫*) (বিষ্ণয়- ৪-০-২৫-২, সামি- ৪-০-৪২-১)

ফলাফল: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৬ উইকেটে জয়ী।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...