স্লেজিংয়েও চুপচাপ থাকতেন শচীন!

বাইশ গজের ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ বেশ পুরনো। দুই দেশের মধ্যকার একেকটা ম্যাচ মানেই যেন মর্যাদার এক লড়াই। বর্তমান সময়ে এসেও সে রেশের সামান্যতমও কমতি নেই। তবে নব্বই দশকে এ দ্বৈরথের আঁচ ছিল একদম অন্যরকম। মাঠের ক্রিকেটারদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, দর্শকদের উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা মিলিয়ে একেকটা ম্যাচ হয়ে উঠতো উৎসবের মতো।

বাইশ গজের ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ বেশ পুরনো। দুই দেশের মধ্যকার একেকটা ম্যাচ মানেই যেন মর্যাদার এক লড়াই। বর্তমান সময়ে এসেও সে রেশের সামান্যতমও কমতি নেই। তবে নব্বই দশকে এ দ্বৈরথের আঁচ ছিল একদম অন্যরকম। মাঠের ক্রিকেটারদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, দর্শকদের উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা মিলিয়ে একেকটা ম্যাচ হয়ে উঠতো উৎসবের মতো।

নব্বই দশকের ক্রিকেটার বাসিত আলী। পাকিস্তানের হয়ে ৫০ টি ওয়ানডে আর ১৯ টি টেস্ট খেলা এ ক্রিকেটার সে সময়ের ভারত-পাকিস্তানের বহু দ্বৈরথময় মুহূর্তের সাথে সাক্ষী হয়েছেন। সম্প্রতি সে সব মুহূর্তের স্মৃতিচারণা করেছেন তিনি।

ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়েই খেলেছেন জাভেদ মিয়াদাদের নেতৃত্বে। তো ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের সময় বাসিত আলীর উপর অন্যরকম এক দায়িত্ব পড়তো। মূলত ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের সময় মাঠে উত্তাপ ছড়িয়ে ব্যাটারদের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটানোর দায়িত্ব পড়তো বাসিত আলীর উপর। দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী শচীন টেন্ডুলকার, অজয় জাদেজা, নভোজিত সিং সিধুকে স্লেজিং করতেন বাসিত।

এমন সব স্মৃতি টেনে ইউটিউবের এক অনুষ্ঠানে বাসিত আলী বলেন, ‘ম্যাচ শুরুর আগে আমাকে ওদের ব্যাটারদের স্লেজিং করার দায়িত্ব দেওয়া হতো। আমি অজয়, শচীন, বিনোদ কাম্বলিকে স্লেজিং করতাম। তবে আজহার ভাইয়ের জন্য আমাদের একটা সম্মান ছিল। আমরা কখনোই আজহার উদ্দিনকে স্লেজিং করিনি। আমাদের ড্রেসিংরুমে তাঁর জন্য একটা জায়গা ছিল’।

আজহার উদ্দিনই একমাত্র অধিনায়ক ছিলেন যিনি ভারতকে টানা তিনটি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ক্যারিয়ারে ৯৯ টি টেস্ট আর ৩৩৪ টি ওয়ানডে ম্যাচে খেলা এ ব্যাটার রান করেছেন প্রায় ১৬ হাজার রান। তিনে ব্যাট করলেও তিনি পরবর্তীতে দলের স্বার্থে মিডল অর্ডার ব্যাটার হয়ে যান। রাহুল দ্রাবিড় আর সৌরভ গাঙ্গুলিকে জায়গা দিতে তিনি নিজের ব্যাটিং পজিশন ছেড়ে দিয়েছিলেন।

ভারতের প্রথিতযশা এ ক্রিকেটারের জন্য তাই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে আলাদা এক ধরনের সম্মানবোধ কাজ করতো। বাসিত আলী এ নিয়ে আরো যুক্ত করে বলেন,’ আজহার ভাইয়ের সমসাময়িক সময়ের ক্রিকেটার ছিলেন ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, ইনজামাম উল হক, রশিদ লতিফ। তারপরও তারা তাঁকে স্লেজ করার সাহস পেতেন না।’

স্লেজিংয়ের ব্যাপারে শচীনের কথা আসতেই বাসিত বলেন, ‘শচীনকে স্লেজিং করা আর না করা সমানই ছিল। ওর মনযোগ কোনোভাবেই সরানো যেত না। এমনকি কখনও বিরক্তবোধ করতেও দেখিনি। খুব ঠান্ডা মেজাজের ব্যাটার ছিলেন তিনি।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...