নির্ভার সিলেটের সঞ্জীবনী শক্তি

যদিও আজ সিলেট স্ট্রাইকার্স অনুশীলন করেছে তাঁদের অধিনায়ককে ছাড়াই। তবুও দলটাই সবাই বেশ প্রাণোচ্ছল। টানা পাঁচ জয়ে মাঠের ক্রিকেটেও বেশি এগিয়ে তাঁরা। লোকাল ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্সেই এমন সাফল্য মিলেছে দলটার। জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই আবার ঢাকা পর্বে ফিরেছে মাশরাফির দল।

এখন পর্যন্ত বিপিএলের ছয় ম্যাচে পাঁচ জয়, টেবিল টপ। ফুরেফুরে মেজাজে থাকার জন্য এরচেয়ে বেশি আর কী প্রয়োজন। অবশ্য ফুরফুরে মেজাজটাই বোধহয় এই দলটার সবচেয়ে বড় শক্তি। কেননা এই দলে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। যিনি দলটাকে মাতিয়ে রাখেন সর্বক্ষণ। যার প্রভাব পড়ে মাঠের ক্রিকেটে।

যদিও আজ সিলেট স্ট্রাইকার্স অনুশীলন করেছে তাঁদের অধিনায়ককে ছাড়াই। তবুও দলটাই সবাই বেশ প্রাণোচ্ছল। টানা পাঁচ জয়ে মাঠের ক্রিকেটেও বেশি এগিয়ে তাঁরা। লোকাল ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্সেই এমন সাফল্য মিলেছে দলটার। জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই আবার ঢাকা পর্বে ফিরেছে মাশরাফির দল।

এত আনন্দের মাঝেও সিলেটের একটা আক্ষেপ অবশ্য ছিল। কেননা ঢাকার প্রথম পর্বে তাঁদের সবচেয়ে বড় পারফর্মার তৌহিদ হৃদয় এতদিন ছিলেন ইনজুরিতে। হাতের ইনজুরিতে চট্টগ্রাম পর্বে কোন ম্যাচই খেলা হয়নি হৃদয়ের। ফলে ব্যাটিং অর্ডারে হৃদয়কে নিশ্চয়ই মিস করেছে সিলেট।

কেননা ঢাকা পর্বে এই ব্যাটারের পারফর্মেন্স ছিল অবিশ্বাস্য। যে তিন ম্যাচ ব্যাটিং করেছিলেন তাঁর তিনটিতেই পেয়েছিলেন অর্ধশতক। প্রতিটা ইনিংসই সরাসরি ভূমিকা রেখেছে দলের জয়ে। আর শেষ ম্যাচটায় তো ৪৬ বলে ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। তবে সেই ম্যাচেই ইনজুরিতে পড়েছিলেন।

এমন ফর্মে থাকা একজন ব্যাটারকে না পাওয়া তো সত্যিই আক্ষেপের। তবে আক্ষেপের সেই দিন কেটে গিয়েছে সিলেটের। হাতের ইনজুরি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন হৃদয়। হয়তো ঢাকার দ্বিতীয় পর্বে আবার মাঠে নামবেন এই ব্যাটার। আর সেটা হলে নিশ্চিতভাবেই আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে সিলেট।

ওদিকে টানা পাঁচ জয় পেলেও খুব একটা সস্তিতে থাকার সুযোগ নেই মাশরাফিদের। কেননা প্রথম ম্যাচ হারলেও দারুনভাবে ফিরে এসেছে সাকিবের ফরচুন বরিশাল। তাঁরাও এরপর পেয়েছে টানা পাঁচ জয়। ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় নিয়ে তাঁরাও তো সিলেটের কাঁধেই নি:শ্বাস ফেলছে।

সব মিলিয়ে বিপিএলের অর্ধেক পথ পাড়ি দেয়ার পর বেশ দারুণ লড়াই জমে উঠেছে এই দুই দলের মধ্যে। মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য জিতেছিল সিলেটই। ওদিকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আছে পয়েন্ট টেবিলের তিন নাম্বার অবস্থানে।

বেশ বাজে ভাবেই শুরু করা কুমিল্লা ঘুরে দাঁড়িয়েছে চট্টগ্রাম পর্বে। দলের মধ্যে ছন্দ খুঁজে পেয়েছে লিটনরা। ফলে লিটনদেরও পয়েন্ট টেবিলের লড়াই থেকে দূরে রাখার উপায় নেই। ওদিকে খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রাইডার্স এই দুলই পেয়েছে  দুটি করে জয়। যদিও নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে এই মুহূর্তে টেবিলের চার নাম্বার দল খুলনা।

এছাড়া আফিফদের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সও ছয় ম্যাচে পেয়েছে দুই জয়। তবে সবচেয়ে বাজে অবস্থা ঢাকা ডমিনেটর্সের। জয় দিয়ে আসর শুরু করলেও সেটিই হয়ে আছে টুর্নামেন্টে তাঁদের একমাত্র জয়। এরপর পাঁচ ম্যাচে আর কোন জয় পায়নি নাসিরের দল।

যদিও মাঠের ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করে যাচ্ছেন নাসির হোসেন। ব্যাট-বল দুই ডিপার্টমেন্টেই দলকে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাসকিন আহমেদও। তবে এই দুজনকে সঙ্গ দেয়ার জন্য কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না ঢাকা দলে।

ফলে টুর্নামেন্ট থেকে ঢাকার বিদায় প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়। ওদিকে সিলেট, বরিশালও সব ঠিকঠাক থাকলে চলে যাচ্ছে পরের রাউন্ডে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে পাশার দান বদলে যেতে পারে যেকোন মুহূর্তেই। দেখা যাক,  বিপিএলের শেষ অংশেও এমন কিছু অপেক্ষা করছে কিনা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...