সর্বাত্মক স্পিন আক্রমণেরই প্রস্তুতি

২০১৮ সালে দুই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার ইনিংসের ৪০ উইকেটের প্রতিটাই শিকার করেছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। সিরিজে সাকিব আল হাসান ৯ উইকেট, মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫ উইকেট, নাইম হাসান ৬ উইকেট ও তাইজুল ইসলাম শিকার করেছিলেন ১০ উইকেট।

বাংলাদেশের স্পিনারদের কাছে অসহায় আত্নসমর্পণ করে সহজেই ওয়ানডে সিরিজে হোয়াটওয়াশ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্টে যে উইকেট আরো স্পিন সহায়ক হবে সেটাও জানা আছে ক্যারিবিয়ানদের। তাই বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই স্পিন নিয়ে নিজেদের দূর্বলতা ও প্রস্তুতির কথা অনেক বারই বলেছেন সফরকারীরা।

২০১৮ সালে দুই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার ইনিংসের ৪০ উইকেটের প্রতিটাই শিকার করেছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। সিরিজে সাকিব আল হাসান ৯ উইকেট, মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫ উইকেট, নাঈম হাসান ৬ উইকেট ও তাইজুল ইসলাম শিকার করেছিলেন ১০ উইকেট।

এবারও বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে রয়েছে এই চার স্পিনারই। বাংলাদেশ এবারও পরিকল্পনা সাজাবে স্পিনারদের নিয়েই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স, টেস্ট অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট, অভিজ্ঞ পেসার কেমার রোচ এবং ব্যাটসম্যান জার্মেইন ব্ল্যাকউডের মুখেও শোনা গিয়েছে স্পিন ভীতির কথা।

এবার সফরকারীদের সাথে সুর মেলালেন স্বাগতিক স্পিনার তাইজুল ইসলামও। তাইজুল জানিয়েছেন সাকিবের মতো অভিজ্ঞ নেতার পরামর্শে এবারও জুটি বেঁধে ভালো করতে আশাবাদী তাঁরা।

তাইজুল বলেন, `আসলে সাকিব ভাই যখন আমাদের সাথে থাকে বিশেষ করে স্পিনারদের অনেক সাহায্য করে। ব্যাটসম্যান কোন মুভমেন্টে থাকে সাকিব ভাই আগে থেকে বুঝে আরকি। আর সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করে। আমি বলবো যে আমি, মিরাজ, নাইম ও সাকিব ভাইয়ের একটা ভালো জুটি হবে ইন শা আল্লাহ। আমরা ভালো করার চেষ্টা করবো।’

তিনি আরো বলেন, `তো আমি ব্যক্তিগতভাবে বলবো যে আমারও ৬-৭ বছর হয়ে গেছে জাতীয় দলে খেলার। সাকিব ভাইয়ের কাছে হয়তো অনেক কিছু নিতে পেরেছি, তো সেগুলো চেষ্টা করবো। দেখা যাচ্ছে সাকিব ভাই কোন কিছু বলার আগেই আমি সেগুলো করার চেষ্টা করবো।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাইজুলের অভিষেক হয়েছে ৭ বছর আগে। এই সময়ে দেশের মাটিতে দলের অধিকাংশ টেস্টের একাদশেই ছিলেন তাইজুল। ২৯ ম্যাচে শিকার করেছেন ১১৪ উইকেট। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ৭ বার এবং ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন একবার। দেশের হয়ে টেস্টে এক ইনিংসে সেরা বোলিং ফিগারও তাইজুলের দখলে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। তাইজুল জানিয়েছেন নিজের অভিজ্ঞতাও জুনিয়রদের সাথে শেয়ার করেন তিনি।

তাইজুল বলেন, `আমি ৬-৭ বছর খেলে ফেলেছি ইতোমধ্যে। আমার যে অভিজ্ঞতাটা হয়েছে, আমি যেটা ফিল করি  মাঠে বা মাঠের বাইরে টেস্ট চলাকালীন, আমি মনে করি যারা জুনিয়র আছে তাদেরকে যেন হেল্প করতে পারি বা অভিজ্ঞতা যতটুকুই আছে তা যেন শেয়ার করতে পারি। আমার মনে হয় আমি যদি শেয়ার করি তাদের ডেভেলপমেন্টটা তাড়াতাড়ি হবে।’

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি জহুর আহম্মেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এবং ১১-১৫ ফেব্রুয়ারি শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে শেষ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফর।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...