ছক্কা নায়ক সমগ্র

এরকম একটা লম্বা ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন জ্যাকব ওরাম, ২০০৫ সালে। নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার ঐ ম্যাচটাতে।। অস্ট্রেলিয়ার বেঁধে দেওয়া ৩৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল নিউজিল্যান্ড। ৪০ তম ওভারে তখন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বোলিং করতে আসেন স্টুয়ার্ট ক্লার্ক। মারমুখী হয়ে ওঠা জ্যাকব ওরাম সেই ওভারেই হাঁকান ১৩০ মিটারের লম্বা একটা ছয়।

টেকনিক আর স্কিলের খেলা ক্রিকেটে মাঝেমাঝে দেখা যায় পেশিশক্তির দারুণ প্রদর্শনী । পেশিশক্তিকে ব্যাবহার করে কবজির মোচড়ে বলকে বাউন্ডারি ছাড়া করেন ব্যাটসম্যানেরা, বাউন্ডারির হিসেবে সেটা হয় ছক্কা। সেরকমই কিছু ছয় আছে যেগুলো স্টেডিয়াম পেরিয়েও গেছিল, মিটারের হিসেবে যেগুলো লম্বা ছক্কা!

এরকম একটা লম্বা ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন জ্যাকব ওরাম, ২০০৫ সালে। নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার ঐ ম্যাচটাতে। অস্ট্রেলিয়ার বেঁধে দেওয়া ৩৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল নিউজিল্যান্ড। ৪০ তম ওভারে তখন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বোলিং করতে আসেন স্টুয়ার্ট ক্লার্ক। মারমুখী হয়ে ওঠা জ্যাকব ওরাম সেই ওভারেই হাঁকান ১৩০ মিটারের লম্বা একটা ছয়।

১৩০ মিটারের ছক্কা মারা আরেকজন ক্রিকেটার আছেন- ব্রেট লি! অবসর নেওয়া এই ফাস্ট বোলারের নাম এই লিস্টে দেখে হয়তো আপনি অবাক হতে পারেন। ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে টেস্ট ম্যাচে তিনি রোম্যান পাওয়েলকে এই ছক্কাটি হাঁকান!

লম্বা ছয় হাঁকানোর এর পরের নামটা মার্টিন গাপটিল। ২০১২ সালে প্রোটিয়াদের সাথে টি-টোয়েন্টি ম্যাচটাতে যখন তিনি খেলতে নামেন, কিউই স্কোয়াডে তার জায়গাটা এখনকার মত স্বতসিদ্ধ ছিল না। তিনি দলে আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন, কিন্তু দল জানত তিনি ছিলেন পিঞ্চ হিটার । সে ম্যাচটাতে পঞ্চম ওভারে প্রোটিয়া পেসার লনওয়াবে সোৎসোবে যখন বল করতে আসেন, মার্টিন গাপটিল হাঁকান ১২৭ মিটারের লন্বা ছয়।

কোরি অ্যান্ডারসন নিউজিল্যান্ড দল থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে ২০১২ সালে ভারতের সাথে এক ওয়ানডে ম্যাচে তিনি ছয় মেরে হেডলাইনে আসেন। মোহাম্মদ শামির করা ওই বলটাতে তিনি মারেন ১২২ মিটারের লম্বা ছয়, নিউজিল্যান্ডও পায় ২৯২ রানের বড় সংগ্রহ। ম্যাচটা নিউজিল্যান্ড জেতে ২৪ রানে।

লম্বা ছয় হাঁকানোর এরপরের ঘটনাটা খুঁজতে আমাদের ফিরে যেতে হবে ১৯৯৭ সালে। ম্যাচটা ছিল নিউজিল্যান্ডের সাথে অস্ট্রেলিয়ার। সে টেস্ট ম্যাচে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি বল করতে এলে মার্ক ওয়াহ ছয় হাঁকান, মিটারের হিসাবে যা ছিল ১২০!

লম্বা ছয়ের এরপরের নামটা অনুমেয়ই – শহীদ আফ্রিদি। ম্যাচটা ছিল ২০১৩ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ঐ ওয়ানডে ম্যাচটাতে ম্যাকলারেনের বলে শহীদ আফ্রিদি যে ছয়টা মারেন- তা ছিল ১২০ মিটার লম্বা!

এরপরের নামটা অনুমান করতে একটা ক্লু দিই- ছয় বলে ছয় ছক্কা। হ্যাঁ, যুবরাজ সিং। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছয় ছক্কার কীর্তি গড়া যুবরাজ আরেকটা কীর্তি গড়েছিলেন। সেটা অবশ্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নয়, অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে। সে ম্যাচটাতে যুবরাজ সিং রেকর্ডটা গড়েন ব্রেট লি’র বলে। ছক্কাটা ছিল ১১৯ মিটারের!

ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা অধিনায়কদের একজন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতের রান চেজিংয়ের অন্যতম ভরসা এই ব্যাটসম্যান ২০০৯ সালে গড়েন সবচাইতে লম্বা ছয় মারার এক রেকর্ড। নিউজিল্যান্ডের সাথে ওয়ানডে ম্যাচটাতে ৪৪ তম ওভারে তিনি ১১৮ মিটারের লম্বা এক ছয় মারেন। ছক্কাটা এতই লম্বা ছিল, তা সোজা গিয়ে পড়ে গ্যালারির দর্শকদের মাঝে।

লম্বা ছয়ের এরপরের নামটাও শহীদ আফ্রিদি। ২০০৫ সালের অস্ট্রেলিয়ার সাথে ওয়ানডে ম্যাচটাতে আফ্রিদি ১১৭ মিটারের একটা লম্বা ছয় মারেন।

ছক্কা মারার লিস্টটা ক্রিস গেইলকে ছাড়া খুব সম্ভবত পূরণ হবেনা। ইউনিভার্স বস এই ক্রিকেটার ২০১০ সালে টি-২০ ম্যাচটাতে ভারতের সাথে এই রেকর্ড গড়েন। ম্যাচটাতে যখন ইউসুফ পাঠান যখন বোলিং করতে আসেন, ক্রিস গেইল ১১৬ মিটারের একটা ছয় মারেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...