ইউরো: যা জানা দরকার

এবার চাইলেই অন্য আসরগুলোর মত দলবেঁধে একসাথে বন্ধুরা মিলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় খেলা দেখতে পারবেনা। রেস্টুরেন্ট বা বার গুলোতে এলাকাভেদে বেঁধে দেয়া হয়েছে নানা নিয়ম কানুন। একসাথে ৬-১০ জনের বেশি তাই খেলা দেখা যাবেনা।

ভক্তদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মাঠে গড়াচ্ছে ইউরো ২০২০। গতবছর করোনার কারণে মাঠে না গড়ালেও শুক্রবার থেকে পর্দা উঠছে এই আসরের। একমাস জুড়ে ইয়রো ফুটবলের ছন্দে মাতোয়ারা হতে প্রস্তুত দর্শকরা। মোট ১১ টি দেশের নানা শহরে একমাস ধরে চলবে ২৪ দলের এই আসর। তবে এর আগে জেনা নেয়া দরকার এবারের ইউরোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।

  • খেলা কখন, কোথায় এবং যেভাবে দেখবেন

টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে রোমে ইতালি ও তুরষ্কের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে। ওদিকে আসরের ইতি ঘটবে ১১ জুলাই লন্ডনে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচের মধ্যে দিয়ে। এছাড়া আরো ৯ টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে ইউরোর ম্যাচ গুলো। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ সহ ইংল্যানন্ড ও স্কটল্যান্ডের ম্যাচ গুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে বিবিসি। এছাড়া আসরের মোট ৫১ টি ম্যাচই দেখাবে রেডিও ফাইভ লাইভ।

  • মাঠের দর্শক

ইয়রোর ৫১টি ম্যাচেই দেখা যাবে দর্শকদের। তবে সব স্টেডিয়ামে হয়তো ধারণ ক্ষমতার সব টিকিট বিক্রি করা হবেনা। শহর ও স্টেডিয়ামভেদে ধারণ ক্ষমতার ২০-৫০ শতাংশ অবধি দ্ররশক মাঠে দেখা যাবে। তবে বুদ্ধাপেস্টে ধারণ ক্ষমতার পুরো ৬৮০০০ দর্শককেই হয়তো মাঠে দেখা যেতে পারে। সবমিলিয়ে কোনো শহরে কত দর্শক মাঠে যেতে পারবেন এটা শহরগুলোই ঠিক করে নিয়েছে। উয়েফার এই নিয়ে কোনো বিধি-নিষেধ নেই। ফলে সব ম্যাচেই থাকবে দর্শকদের আনাগোনা।

  • দর্শকদের করোনা টেস্ট

অনেকের মনেই প্রশ্ন মাঠে যেতে হলে দর্শকদের করোনা টেস্ট করতে হবে কিনা। তবে এটিও নির্ভর করছে স্বাগতিক দেশগুলোর উপর। শহরগুলো তাঁদের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজস্ব নিয়ম চালু করেছে। তবে এখন অবধি বেশিরভাগ শহরই করোনা টেস্টের রিপোর্ট দরকার হবেনা বলে জানিয়েছে। এছাড়া মাঠে মাস্ক পড়া ও স্যানিটাইজার স্ট্রেশন নিশ্চিত করবে স্টেডিয়াম গুলো। তবে লন্ডনে খেলা দেখতে হলে ভ্যাক্সিনের সার্টিফিকেট কিংবা করোনা টেস্টে নেগেটিভ হতে হবে। ওদিকে পিটার্সবার্গে তাপমাত্রা মেপেই দর্শকদের মাঠে যেতে দেয়া হবে।

  • করোনার কারনে

করোনার কারণে এবারের ইউরোতে কিছু পরিবর্তনও এসেছে। ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড গ্রুপের বাকি দুই দল ক্রোয়োশিয়া ও চেক রিপাবলিকের ক্যাম্প করার কথা ছিল স্কটল্যান্ডে। তবে তাঁরা এখন নিজেদের দেশেই আছে। ম্যাচের আগে প্লেনে চড়ে এসেই খেলবে তাঁরা। এছাড়া দলে কোনো কোভিড কেস পাওয়া গেলে পুরো দলকেই থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে।

এছাড়া স্কোয়াডে ২৩ জনের পরিবর্তে ২৬ জনকে দলে রাখতে পারবে দলগুলো। ওদিকে মাঠেও প্রতি ম্যাচে ৫ জন সাবস্টিটিউট খেলানো যাবে। প্রতি ম্যাচের আগেই ফুটবলারদের করোনা টেস্ট করানো হবে।

  • দলবেঁধে খেলা দেখা

এবার চাইলেই অন্য আসরগুলোর মত দলবেঁধে একসাথে বন্ধুরা মিলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় খেলা দেখতে পারবেনা। রেস্টুরেন্ট বা বার গুলোতে এলাকাভেদে বেঁধে দেয়া হয়েছে নানা নিয়ম কানুন। একসাথে ৬-১০ জনের বেশি তাই খেলা দেখা যাবেনা।

  • হট ফেভারিট

২৪ দলের এই টুর্নামেন্ট শেষে লন্ডনে শিরোপা জিতবে কারা এই নিয়ে তর্কের শেষ নেই। তবুও অনেকের কাছেই শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে আছে ফ্রান্স। এছাড়া শিরোপার দৌড়ে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল ও ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী জার্মানিও। ওদিক বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মের জন্যও শেষ সুযোগ বড় কোনো শিরোপা জয়ের। এছাড়াও ইংল্যান্ড , ফ্রান্স , স্পেইনকেও নিশ্চই তালিকা থেকে বাদ দেয়া যাবেনা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...