নিখাঁদ ব্যাটসম্যানদের বোলিং কীর্তি

তাঁরাও কোনো এক বিচিত্র কারণে ক্যারিয়ারের কোনো এক সময় বোলিং করেছিলেন। সেই বোলিং করাটা একেবারেই বিচিত্র এক ঘটনা। হয়তো পুরো ক্যারিয়ারে এক-দুইবার। তবে এর মাঝেও পেয়ে গিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক উইকেট।

আধুনিক ক্রিকেটে অনেক ব্যাটসম্যান কখনো কখনো দলের প্রয়োজনে বোলিং করেন। তাঁরা অনেকেই উইকেটও পেয়ে যান। এমন উদাহরণ এখন বিশ্বক্রিকেটে কম নেই। তবে আজ আমরা খুঁজে বের করেছি এমন কিছু ক্রিকেটারদের যাদের আমরা চিনি একেবারে নিখাঁদ ব্যাটসম্যান হিসেবে।

তবে তাঁরাও কোনো এক বিচিত্র কারণে ক্যারিয়ারের কোনো এক সময় বোলিং করেছিলেন। সেই বোলিং করাটা একেবারেই বিচিত্র এক ঘটনা। হয়তো পুরো ক্যারিয়ারে এক-দুইবার। তবে এর মাঝেও পেয়ে গিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক উইকেট। আপনাদের জন্য খেলা ৭১ খুঁজে বের করেছে ক্রিকেটের এমনই কিছু অতিথি বোলারকে।

  • মোহম্মদ ইউসুফ (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন মোহম্মদ ইউসুফ। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭ হাজারের বেশি রান। তবে তাঁর পুরো ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ইউসুফ বোলিং করেছিলেন মাত্র দুইবার। আরো নির্দিষ্ট করে বললে তাঁর ক্যারিয়ারে তিনি মাত্র ২ টি বল করেছেন। প্রথম বলটি করেছিলেন ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আর দ্বিতীয় বলটি করেছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০০৭ বিশ্বকাপে। ক্যারিয়ারের সেই দ্বিতীয় এবং শেষ বলেই উইকেট পেয়েছিলেন ইউসুফ। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটেও একবার বোলিং করেছিলেন তিনি। আউট করেছিলেন ক্রিস্টোফার এমপুফুকে।

  • মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত)

ভারতের ইতিহাসের সেরা উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনি। তর্ক সাপেক্ষে ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কও তিনি। তবে তিনিও ক্লিপিং গ্লাভস তুলে রেখে বল করেছিলেন কয়েকবার। টেস্ট ক্রিকেটে মোট ৯৬ টি বল করলে কখনো উইকেট পাননি। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে বল করেছে মোট দুইবার। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচে দুই ওভার বল করে একটি উইকেট ও তুলে নেন ধোনি। এটি তাঁর একমাত্র আন্তর্জাতিক উইকেট। ট্রাভিস ডওলিনকে বোল্ড করেছিলেন।

  • স্টিফেন ফ্লেমিং (নিউজিল্যান্ড)

নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সফল অধিনায়ক ও সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন স্টিফেন ফ্লেমিং। সবমিলিয়ে তাঁর ঝুলিতে আছে ১৫ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রান। তবে বোলার ফ্লেমিং কে কি আপনি কল্পনা করতে পারেন? হ্যা, ওয়ানডে ক্রিকেটে তিন দফায় মোট ২৯ টি বল করেছেন এই ক্রিকেটার। মজার বিষয় হচ্ছে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৯৬ সালে একটি ওয়ানডে ম্যাচে উইকেটও পান তিনি। এছাড়া অন্য কোনো ফরম্যাটে কখনো বোলিং করেননি তিনি। ফলে এটিই তাঁর একমাত্র আন্তর্জাতিক উইকেট। পেয়েছিলেন মার্সেল স্কিউইর উইকেট।

  • ফাফ ডু প্লেসিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)

ফাফ ডু প্লেসিস কী কখনো কল্পনা করতে পারেন যে তিনি কোনো তালিকার সেরা বোলারদের একজন হবেন? তিনি না পারলেও দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান আমাদের তালিকার সেরা বোলারদের একজন। তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আছে দুটি উইকেট। ওয়ানডে ক্রিকেটে মোট ১১ ইনিংসে বোলিং করেছেন তিনি। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও কয়েক দফা বল করেছেন তবে উইকেট পাননি। ফলে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর উইকেট সংখ্যা দুইটিই। তবে এই সংখ্যা হয়তো বাড়াতেও পারেন ফাফ। তখন আমরা তাঁকে নিঃসন্দেহে আমাদের তালিকার সেরা বোলার বলতে পারবো।

  • সুনীল গাভাস্কার (ভারত)

ভারত তো বটেই পুরো ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের একজন সুনীল গাভস্কার। ভারতীয় ব্যাটিং এর সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছিলেন কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান। টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মালিক গাভাস্কারের ঝুলিতে একটি টেস্ট উইকেটও আছে। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে মোট ২০ টি বল করেছেন তিনি। সেখানেও পেয়েছেন একটি উইকেট। সবমিলিয়ে সুনীল গাভাস্কারের ঝুলিতেও আছে দুটি আন্তর্জাতিক উইকেট।

  • হাবিবুল বাশার সুমন (বাংলাদেশ)

হাবিবুল বাশার সুমন বাংলাদেশের ক্রিকেট উত্থানের অন্যতম সারথী। বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানদেরও একজন সাবেক এই অধিনায়ক। সফল এই ব্যাটসম্যান টেস্ট ক্রিকেটে কয়েকবার বোলিং করলেও সাফল্য পাননি। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে বল হাতে শুধু সাফল্য পেয়েছেন বললেও কম বলা হয়ে। ওয়ানডে ক্রিকেটে তাঁর ঝুলিতে আছে একটিই উইকেট এবং সেই উইকেটটি ব্রায়ান লারার। সর্বকালের সেরা এই ব্যাটসম্যানের উইকেটটিই হাবিবুল বাশার সুমনের একমাত্র আন্তর্জাতিক উইকেট।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...