তাঁদের ফেরা ‘প্রায় অসম্ভব’

ভারত সব সময়ই টেস্ট ক্রিকেটে নতুনত্ব খোঁজে। ফলে অভিজ্ঞতা থাকার পরও স্রেফ কার্যকারিতা আর বয়সের দায়ে অনেক ক্রিকেটারের জন্যই জাতীয় দলে ফেরাটা এখন প্রায় অসম্ভব।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঠাঁই করা কঠিন কাজ। আবার একবার বাদ পড়লে লড়াই করে ফিরে আসাটা আরো কঠিন। কথাটা ভারতীয় ক্রিকেটে আরো বেশি সত্য কারণ সেখানে প্রতিভার কোনো অভাব নেই।

ভারত সব সময়ই টেস্ট ক্রিকেটে নতুনত্ব খোঁজে। ফলে অভিজ্ঞতা থাকার পরও স্রেফ কার্যকারিতা আর বয়সের দায়ে অনেক ক্রিকেটারের জন্যই জাতীয় দলে ফেরাটা এখন প্রায় অসম্ভব। তেমনই কয়েকজনকে নিয়ে এবারের আয়োজন।

  • হরভজন সিং

তিনি সর্বকালের সেরা ভারতীয় স্পিনারদের মধ্যে একজন হরভজন সিং। অভিষেক সেই ১৯৯৮ সালে হলেও আজো দিব্যি শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) তিনি নিয়মিত মুখ। ১০৩ টেস্ট খেলে নিয়েছেন ৪১৭ টি উইকেট। তবে, ২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলা ভাজ্জির জন্য জাতীয় দলের দরজা প্রায় বন্ধই বলা যায়। ৪০ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি হয়তো শিঘ্রই অবসর নিয়ে ফেলবেন।

  • মুরালি বিজয়

তামিল নাড়ুর স্টাইলিশ ওপেনার। টেকনি ও ফর্মের সুবাদে ২০১৮ সালের অস্ট্রেলিয়া সফর অবধি ভারতের টেস্ট দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন। ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের অভিষেক ২০০৮ সালে। ৬১ টি টেস্টে প্রায় চার হারের ছুঁইছুঁই রান করেছেন। সাথে আছে ১২ টি সেঞ্চুরি ও ১৫ টি হাফ সেঞ্চুরি। গড় প্রায় ৪০-এর কাছাকাছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললেও সেখানে এমন কোনো পারফরম্যান্স নেই যে তাঁকে আবারো জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে। আর এখানে বয়সও একটা ব্যাপার।

  • করুণ নায়ার

কর্ণাটকের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ভারতের জন্য এক রহস্যের নাম। তিনি এতটাই দুর্ভাগা যে যথেষ্ট পরিমান সুযোগই পানন। আজিঙ্কা রাহানের ইনজুরিতে টেস্ট দলে ডাক পান, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন। এমন রূপকথার মত সূচনার পরও রাহানে ফেরা মাত্রই তিনি বাদ পড়েন। এরপর আর টেস্ট খেলেননি। ২০১৬ সালে অভিষেকে ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পর খেলেছেন আরো পাঁচটি টেস্ট। এরপর আর কখনো হাফ সেঞ্চুরিও পাননি। বাদ পড়ে তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে মন দিলেও সেখানকার পারফরম্যান্স টেস্ট দলে ফেরার মত যথেষ্ট হয়নি কখনোই।

  • অমিত মিশ্র

তিনি এমন এক দুর্ভাগা লেগ স্পিনার যার পুরোটা শক্তিমত্তা ভারত কখনোই কাজে লাগাতে পারেনি। ৩৮ বছর বয়সী অমিত মিশ্রের টেস্ট অভিষেক হয় ২০০৮ সালে। সর্বশেষ খেলেন ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এরপর থেকে বাইরে আছেন। আট বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন মাত্র ২২ টি টেস্ট, পেয়েছেন ৭৬ টি উইকেট। এখনো দিব্যি খেলে যাচ্ছেন আইপিএল। তবে, এখন যে রকম প্রতিভার ছড়াছড়ি ভারতে – তাতে তাঁর ফেরাটা খুবই কঠিন। তিনি নিজেও সম্ভবত সেই স্বপ্ন দেখেন না।

  • শিখর ধাওয়ান

তিনি অবশ্য জাতীয় দলে আছেনই। সীমিত ওভারে তিনি ভারতের ওপেনার। তবে, টেস্টে মানিয়ে নিতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৮৭ রানের ইনিংস খেলে সাদা পোশাকে যাত্রা শুরু হলেও সেটা স্থায়ী হয়নি। ৩৪ টেস্টের বক্যারিয়ারে ২৩১৫ রান করেছেন ৪০-এর ওপর গড় নিয়ে। সর্বশেষ খেলেন ২০১৮ সালে। তবে, এখন দলের ওপেনিং পজিশনে তীব্র প্রতিযোগীতা। এই সময় ৩৫ বছর বয়সী ধাওয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন আছেই। বরং তিনি নিশ্চয়ই সীমিত ওভারের ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা আরো লম্বা করার দিকেই বেশি মন দেবেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...