মোসাদ্দেকের উপর কেন ক্ষেপেছিলেন শ্রীরাম!

শেষ পাঁচ ওভারেও বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৫২ রান। বাংলাদেশের হাতে ছিল ৮ উইকেট। তবে সেটাও করতে পারেনি বাংলাদেশ। অ্যাডিলিডের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের বৃষ্টির পর ছন্নছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। ফলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে মাত্র ৫ রানে।

শেষ পাঁচ ওভারেও বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৫২ রান। বাংলাদেশের হাতে ছিল ৮ উইকেট। তবে সেটাও করতে পারেনি বাংলাদেশ। অ্যাডিলিডের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের বৃষ্টির পর ছন্নছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। ফলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে মাত্র ৫ রানে।

শেষ বল পর্যন্তও ছিল ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা। তবে বাংলাদেশের ব্যাটাররা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নিজেদের উইকেট হারিয়েছেন। প্রায় সবাই চার ছয় মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন। নিয়মিত উইকেট হারানো চাপে পড়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ।

তবে সাত নম্বরে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ব্যাট করতে নেমে নিজের প্রথম বলেই ছয় মারেন। অফ সাইড দিয়ে মারা মোসাদ্দেকের সেই ছয়টা দলের উপর থেকে অনেকটাই চাপ কমিয়ে দিয়েছিল। তখনো ম্যাচের বাকি ছিল প্রায় চার ওভার।

তবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সেই ওভারের শেষ বলে হার্ডিক পান্ডিয়াকে আবার কাভারের উপর দিয়ে উঠিয়ে মারতে চান। সেজন্য প্রায় পুরো স্ট্যাম্পটাই ছেড়ে দিয়েছিলেন মোসাদ্দেক। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোসাদ্দেককে বোল্ড করে দেন হার্দিক পান্ডিয়া।

ফলে তিন বলে ছয় রান করেই ডাগ আউটে ফিরে যান মোসাদ্দেক। হতাশ মোসাদ্দেকের দিকেই তখন তাক করা টিভি ক্যামেরাটা। দেখা গেল ডাগ আউটে থাকা শ্রীধরন শ্রীরাম বেশ রেগেই কিছুই একটা বোঝাচ্ছেন মোসাদ্দেককে। এমন সময়ে মোসাদ্দেকের আউট হওয়াটা কোন ভাবেই মানতে পারছিলেন না বাংলাদেশের এই কোচ।

কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম তখন মোসাদ্দেককে কী বলেছিলেন সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছিল দলের সাথে থাকা জালাল ইউনুসকে। সেই সময় তিনিও ডাগ আউটেই বসে ছিলেন। জালাল ইউনুস এই ঘটনা প্রসঙ্গে গনমাধ্যমকে বলেন, ‘শ্রীরাম অখুশি ছিল। আসলে এরকম হয়। শ্রীরামের কথা ছিল যে মোসাদ্দেকের হাতে সময় ছিল, এর আগেও সে একটা বলে ছয় মারে। তারপরের বলটায় কেন এই শট খেলতে হলো। তাঁর কথা হচ্ছে ক্যালকুলেটভ খেলা উচিৎ ছিল তখন।’

জালাল ইউনুস আরো যোগ করেন, ‘আমাদের তখন প্রতি ওভারে নয় রান, সাড়ে নয় রান দরকার ছিল। একটা ছয় হয়ে যাওয়ার পর সিঙ্গেল, দুই রান করে নিলেও কিন্তু হয়ে যায়। প্রতিটা বলে সে শট মারতে গেল কেন। এটাই আসলে শ্রীরামের প্রশ্ন ছিল।’

এত চাপের মুখে হয়তো মোসাদ্দেক দ্রুত রান তুলতে চাইছিলেন। সেজন্যই একটা ছয় পাওয়ার পরেও আবার বাউন্ডারির জন্য চেষ্টা করেন। তবে আরেকটু সতর্ক থাকলে হয়তো বাউন্ডারি মারার আরো সুযোগ পেতেন মোসাদ্দেক। তিনি ক্রিজে থাকলে হয়তো বাংলাদেশের জয়টাও সহজ হয়ে যেত। আর সেজন্যই মোসাদ্দেকের উপর খানিকটা ক্ষেপে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের কোচ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...