নেদারল্যান্ডসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইলো নামিবিয়া। অপরাদিকে টাকা দুই হারে মূল পর্বে যাওয়ার লড়াই থেকে ছিটকে গেলো নেদারল্যান্ডস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেল সহযোগী দেশ নামিবিয়া।
দুই দলের জন্য ম্যাচটা ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। হারলেই ছিটকে যেতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে। এমন সমীকরণ সামনে রেখে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় নেদারল্যান্ডস ও নামিবিয়া।
১৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ে স্টিফেন বার্ড ও জেন গ্রিন মিলে তুলেন ৩৪ রান। এরপর ১৮ রানের ব্যবধানে টপ অর্ডারের তিন জনকে হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে নামিবিয়া। ব্যাটিং বিপর্যয়ে থাকা দলের হাল ধরেন ডেভিড উইসে ও গারহার্ড ইরাসমাস। সেখান থেকে ব্যাট হাতে তান্ডব চালান সাবেক প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ডেভিড উইসে।
শুরুতে উইসের ব্যাটে ঝড় উঠলেও একই পথে হাটেন ইরাসমাসও! ৫২ রানে ৩ উইকেট থেকে দু’জনে মিলে গড়েন ৫১ বলে ৯৩ রানের জুটি! ১৪৫ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। এই জুটিই ম্যাচে নামিবিয়াকে জয়ের ভীত গড়ে দেয়। একপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে উইসে তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি।
যোগ্য সমর্থন দেওয়া ইরাসমাস ফেরেন ৩২ রানে। তবে জেজে স্মুটসকে নিয়ে বাকি কাজটা সেরে ফেলেন উইসে। উইসের মেইডেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটিতে ১ ওভার বাকি থাকতে ৬ উইকেটের জয় পায় নামিবিয়া। ৪০ বলে ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন উইসে!
এর আগে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করেই দুই ডাচ ওপেনার। স্টিফেন মাইবার্গ ও ম্যাক্স ওডাউডের ব্যাটে ওপেনিং জুটিতেই আসে ৪২ রান। এরপর দ্রুত উইকেট গেলে স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৫৫ রান। সেখান থেকে তৃতীয় উইকেটে কলিন অ্যাকারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে ভীত গড়েন ওডাউড। তৃতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ৮২ রানের জুটি! অ্যাকারম্যান ৩৫ রানে ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ওডাউড তুলে নেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি।
ম্যাক্স ওডাউডের ৫৬ বলে ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে নেদারল্যান্ডস। শেষদিকে স্কট এডওয়ার্ডস অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ২১ রানে। দলের পক্ষে ওডাউড সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন। একই সাথে বর্তমানে তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকও বটে! নামিবিয়ার পক্ষে জান ফ্রাইলিংক ২ ও ডেভিড উইসে নেন ১ উইকেট।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
নেদারল্যান্ডস: ১৬৪/৪ ( ম্যাক্স ও’ডাউড ৭০, কলিন অ্যাকারম্যান ৩৫, এডওয়ার্ডস ২১; জেন ফ্রাইলিংক ৪-০-৩৬-১, ডেভিড উইসে ৪-০-৩২-১)
নামিবিয়া: ১৬৬/৪ (ডেভিড উইসে ৬৬*, ইরাসমাস ৩২; ফ্রেড ক্লাসেন ৪-০-১৪-১, পিটার সিলার ২-০-৮-১)
ফলাফল: নামিবিয়া ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: ডেভিড উইসে (নামিবিয়া)।