রোনালদোর ডায়েট অনুসরণ করে মরতে বসেছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পরবর্তী প্রজন্মের ফুটবলারদেরও অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছেন নিজের পরিশ্রম,খাদ্যাভাস ও জীবনাচার দিয়ে। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসে খেলা এক তরুণও রোনালদোর খাদ্যাভাস অনুসরণ করছিলেন। কিন্তু সেই খাদ্যাভাস অনুসরণ তাঁর জন্য বিপদই ডেকে আনলো। গ্যাব্রিয়েল মেনিনো নামক সেই ব্রাজিলিয়ান তরুণের মনে হচ্ছিল তিনি মারা যাবেন।

বয়সটা ৩৮ পেরিয়েছে। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় আছেন নিশ্চিতভাবেই। কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পরবর্তী প্রজন্মের ফুটবলারদেরও অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছেন নিজের পরিশ্রম,খাদ্যাভাস ও জীবনাচার দিয়ে। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসে খেলা এক তরুণও রোনালদোর খাদ্যাভাস অনুসরণ করছিলেন।

কিন্তু, সেই খাদ্যাভাস অনুসরণ তাঁর জন্য বিপদই ডেকে আনল। গ্যাব্রিয়েল মেনিনো নামক সেই ব্রাজিলিয়ান তরুণের মনে হচ্ছিল তিনি মারা যাবেন।

মিডফিল্ডার গ্যাব্রিয়েল মেনিনোর বয়সটা মাত্র ২২। খুব একটা ভালো পারফর্ম করছিলেন না ২০২১ সালে। যার কারণে মিডফিল্ডে তাঁর পজিশনে পালমেইরাস কোচ আবেল ফেরেইরার তৃতীয় পছন্দ ছিলেন মেইনো। তাই মেইনো সিদ্ধান্ত নিলেন নতুন কিছু করবেন যেটা তাঁর স্কিল আর পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

ব্রাজিলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে মেনিনো জানান, নিজের ফিটনেস ফিরে পেতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর খাদ্যাভাস অনুসরণ শুধু করেন তিনি। কিন্তু সেই ডায়েট অনুসরণ করার প্রথম দিনের পরেই তাঁর মনে হচ্ছিল এই বুঝি তিনি মারা যাবেন। মেনিনোর এমন খবর দ্রুতই আলোচনায় উঠে আসে।শুধু ব্রাজিল নয়, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগালেও বেশ আলোচিত এখন মেনিনো।

নিজের ফিটনেস ফিরে পেতে রোনালদোর ডায়েট অনুসরণ শুরু করেন মেনিনো। সকালের নাস্তায় শুধুমাত্র একটা ডিম আর সাথে সাপ্লিমেন্ট, ট্রেনিংয়ের আগে, বিকেলে এবং রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আবারো সেই সাপ্লিমেন্ট, লাঞ্চ ও ডিনারে গ্রিল করা মাছ অথবা মাংস এবং সাথে সালাদ; এটাই হয়ে যায় মেনিনোর খাবার তালিকা।

এই খাবার তালিকা অনুসরণের পরের দিন ম্যাচের জন্য ডাক পান মেনিনো। মেনিনো বলেন, ‘আমি যখন ওয়ার্ম আপ করছিলাম আমার শুধু একটা জিনিসই মনে হচ্ছিল যে, “আমি মারা যাব”। ম্যাচে পাঁচ মিনিট খেলার পরই আমি আর দৌড়াতে পারছিলাম না। আমাকে তখন বদলি করতে হয়।’

সৌভাগ্যবশত পালমেইরাসের এক ফুটবলার তখন ইনজুরিতে পড়ায় খেলার সেই বিরতিতে কিছুটা পানীয় খেয়ে নেন মেনিনো।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ফিটনেসের জন্য বিশ্বজুড়ে ক্রীড়াবিদদের অন্যতম আদর্শ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এবং জীবনাচারের জন্য অনেকেই অনুসরণ করেন এই পর্তুগীজ মহাতারকাকে। বিভিন্ন সময় তিনি অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি তাঁর অনিচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন।

২০২০ ইউরোতে একটি সংবাদ সম্মেলনে টেবিলের ওপর থেকে কোমল পানীয় কোকা-কোলার বোতল সরিয়ে রাখেন রোনালদো। কোকা-কোলার সেই বোতল সরিয়ে সেটির বলে পানি দিতে বলেন তিনি। রোনালদোর সেই আচরণ মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...