রান পর্বতের চূড়া

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক দুরন্ত সময় পাড় করছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে সবগুলো জয় নিয়ে উঠে এসেছিল সেমিফাইনালে। ভাবা হচ্ছিল এবারের বিশ্বকাপে শিরোপার সবচেয়ে বড় প্রত্যাশী পাকিস্তানই। তবে সেমিফাইনাল ম্যাচে ম্যাথু ওয়েডের অবিশ্বাস্য ইনিংস কিংবা শিশির কোনটাই ছিল না বাবর আজমদের পক্ষে। তবে এরপর বাংলাদেশে এসেও টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে বাবরের দল।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক দুরন্ত সময় পাড় করছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে সবগুলো জয় নিয়ে উঠে এসেছিল সেমিফাইনালে। ভাবা হচ্ছিল এবারের বিশ্বকাপে শিরোপার সবচেয়ে বড় প্রত্যাশী পাকিস্তানই। তবে সেমিফাইনাল ম্যাচে ম্যাথু ওয়েডের অবিশ্বাস্য ইনিংস কিংবা শিশির কোনটাই ছিল না বাবর আজমদের পক্ষে। তবে এরপর বাংলাদেশে এসেও টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে বাবরের দল।

পাকিস্তানের এই দলটার কথা বলতে গেলে সবার আগেই আসবে দলটির সফল অধিনায়ক বাবর আজমের কথা। বিশেষ করে ওপেনিংয়ে রিজওয়ানের সাথে গোটা দুনিয়া শাষণ করছেন তিনি। গত কয়েকবছরে দুনিয়ার সেরা ওপেনিং জুটিতে পরিণত হয়েছেন এই দুইজন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও এই দুই ব্যাটসম্যান রান করছেন প্রায় ৫০ গড়ে।

এদিকে ব্যাট হাতে বাবর আজমের কীর্তির অভাব নেই। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন তিনি। প্রতিনিয়তই পাকিস্তান ক্রিকেটের নানা রেকর্ড ভেঙে গড়ছেন এই ওপেনার। তবে এবার মাত্র ৬৪ ইনিংস খেলেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে গিয়েছেন বাবর আজম। তালিকায় থাকায় বাকি ব্যাটসম্যানরা খেলেছেন তারচেয়ে অনেক বেশি ইনিংস।

  • বাবর আজম

বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছেন বাবর আজম। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে নিজের সেরাটা এখনো দেখাতে পারেননি এই ওপেনার। তবে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাত্র এক রান করে আউট হলেও নতুন এক রেকর্ড করে বসেছেন বাবর আজম। এখন তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনি ছাড়িয়ে গিয়েছেন মোহম্মদ হাফিজকে।

পাকিস্তানের হয়ে মোট ৬৯ ম্যাচ খেলেছেন বাবর আজম। সেখান থেকে ৬৪ ইনিংস ব্যাট করে ৪৬.৫৭ গড়ে করেছেন ২৫১৫ রান। এই ফরম্যটে বাবর ব্যাটিং করেছেন ১২৯.৫০ স্ট্রাইক রেট নিয়ে। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ২৪ টি হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি তাঁর ঝুলিতে একটি সেঞ্চুরিও আছে। এর আগে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করা হাফিজের থেকে ৪৪ ইনিংস কম খেলেই এই কীর্তি করেন বাবর।

  • মোহম্মদ হাফিজ

বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগেও এই ফরম্যাটে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন মোহম্মদ হাফিজ। পাকিস্তান দলের অন্যতম অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার তিনি। এখনো ব্যাট-বল হাতে পারফর্ম করে যাচ্ছেন সমানতালে। পাকিস্তানের হয়ে হাফিজ করেছেন ২৫১৪ রান।

এখন অবধি দেশটির হয়ে মোট ১০৮ টি ইনিংস খেলেছেন মোহম্মদ হাফিজ। সেখানে ২৬.৪৬ গড়ে ব্যাটিং করে এই রান করেছেন হাফিজ। এই ফরম্যাটে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১২২.০৩। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৯৯ রানের ইনিংস আছে এই ক্রিকেটারের ঝুলিতে।

  • শোয়েব মালিক

পাকিস্তানের আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। প্রায় দুই যুগ ধরে দেশটির হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগেও বিশ্বকাপে এক ঝড়ো ফিফটি করে দলকে জেতালেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি।

দেশটির হয়ে মোট ১১০ টি ইনিংস খেলেছেন বর্ষিয়ান এই ব্যাটসম্যান। সেখানে ৩১.৪৬ গড়ে তিনি করেছেন ২৪২৩ রান। ব্যাটিং করেছেন ১২৫.৬৭ স্ট্রাইকরেটে। এই ফরম্যাটে তাঁর ঝুলিতে আছে নয়টি হাফ সেঞ্চুরিও। এছাড়া সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংসও খেলেছেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...