পিতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা

সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে অনেক সময় সময় পুরুষ ক্রিকেটাররা ১-২ সিরিজের জন্য ছুটি নেন, এই সময় তাদের ছুটির নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে না, আবার অনেক ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে ফিরে এসে দলে জায়গা পেতে কষ্ট হয়। কিন্তু এই নীতিমালা অনুযায়ী স্ত্রীর সন্তান সম্ভবা হওয়া ও সন্তান জন্মের ৫৬ দিন সময়ের মধ্যে ৩০ দিন ছুটি নিতে পারবেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।

ক্রিকেটারদের ক্রিকেটের বাইরেও নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন আছে, নিজেদের পরিবার আছে। তাঁদের ক্রিকেট ক্যারিয়ার ও পরিবার দুটোই তাদের কাছে সমান গুরুত্ব রাখে। কিন্তু তাঁদের মাতৃত্বকালীন ও পিতৃত্বকালীন সময়ে তাদের ক্যারিয়ারেও অনেক প্রভাব ফেলে।

ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব থাকে তাদের ক্রিকেটারদের প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখভাল করা, সহযোগিতা করা। কিন্তু সব বোর্ডে এই জন্য নির্দিষ্ট কোন নীতিমালা নেই। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাদের নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারদের জন্য মাতৃত্বকালীন ও পিতৃত্বকালীন ছুটির নিয়ম করেছেন যেখানে চুক্তির অন্তর্ভুক্ত নারী ক্রিকেটাররা তাদের চুক্তি অনুযায়ী বেতনসহ ১২ মাসের ছুটি ও পুরুষ ক্রিকেটাররা স্ত্রীর সন্তান জন্মদানের সময় চুক্তি অনুযায়ী বেতনসহ ১ মাসের ছুটি পাবেন।

দেখা যায়, সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে অনেক সময় সময় পুরুষ ক্রিকেটাররা ১-২ সিরিজের জন্য ছুটি নেন, এই সময় তাদের ছুটির নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে না, আবার অনেক ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে ফিরে এসে দলে জায়গা পেতে কষ্ট হয়। কিন্তু এই নীতিমালা অনুযায়ী স্ত্রীর সন্তান সম্ভবা হওয়া ও সন্তান জন্মের ৫৬ দিন সময়ের মধ্যে ৩০ দিন ছুটি নিতে পারবেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।

নারী ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এই ভোগান্তি আরও অনেক বেশি। তাদের জন্য এই সময়টা খুব সংবেদনশীল থাকে। এই সময় তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি সর্বোচ্চ সচেতন হতে হয়। এই সব কিছুর জন্য তাদের দীর্ঘমেয়াদি ছুটির প্রয়োজন হয়। আবার এই সময়ে ক্রিকেটের সাথে থাকতে পারে না বলে অনেক ক্রিকেটারদের আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাছাড়াও আবার ফিরে এসে দলে সুযোগ পাওয়ার অনিশ্চয়তা তো থাকেই।

সাম্প্রতিক সময়েই পাকিস্তানের নারী দলের অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ সন্তান সম্ভাবা হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্রিকেট থেকে বিরতি নেন। তারপরই মূলত পিসিবি উক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে এই নীতিমালা প্রনয়ন করে। বিসমাহ মারুফই এই নীতিমালার অধীনে প্রথম সুবিধা ভোগ করা নারী ক্রিকেটার হবে।

‘ক্রিকেটারদের পাশে থাকতেই এই নীতিমালা’, বললেন পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান। তিনি আরো ও বলেন, ‘ক্রিকেটারদের দেখভাল করার দায়িত্ব আছে পিসিবির। সব পর্যায়ে তাদের সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বোর্ড। এই সম্পর্কের মধ্যে মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন একটি নীতিমালা আমাদের থাকা উচিত। যেন আমাদের পেশাদার ক্রিকেটাররা জীবনের একটি গুরত্বপূর্ণ পর্যায়ে অনুভব করে, ক্যারিয়ার নিয়ে দুর্ভাবনা না করে ওই বিশেষ সময়ে বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাবে তারা।’

ইতোমধ্যে শুধু অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেটারদের জন্য এই নিয়ম কার্যকর রয়েছে। তবে পিসিবি প্রনীত এই নীতিমালার মধ্যে আরো কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন – নারী ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে ১২ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি ধার্য করা হলে তারা ১২ মাস চুক্তি অনুযায়ী বেতন পাওয়ার পরও পরের বছর আবার চুক্তিবদ্ধ হবে।

যদি কোন নারী ক্রিকেটার সেই সময়ের পর ক্রিকেটিয় কোন কার্যক্রমের জন্য দেশের বাইরে যেতে হয়, তাহলে তাদের শিশুদেরকে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র থেকে পূর্নাঙ্গ সহযোহিতা দেওয়া হবে অথবা বাচ্চা দেখভালের জন্য আরেকজনকে সঙ্গে নেওয়ার অনুমতি দিবে পিসিবি। এই ক্ষেত্রে তার জন্য ভ্রমণ ও বাড়তি থাকার খরচ পিসিবি ও সেই নারী ক্রিকেটার ভাগাভাগি করে নিবে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...