‘অনভিজ্ঞ’দের আইপিএল অভিজ্ঞতা

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পথচলার শুরুতেই পারফর্ম করতে চেষ্টা করেন সবাই। কিন্তু এমনও বিদেশি ক্রিকেটার আছেন যারা কিনা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাঠেই নামেননি, অথচ ডাক পেয়েছেন আইপিএলের ময়দানে। তাঁরা কারা?

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলা যেকোন ক্রিকেটারের জন্যেই থাকে আকাঙ্খার মত। বিশ্বের সবচাইতে রমরমা এই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে খেলতে মুখিয়ে থাকেন ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশের ক্রিকেটাররা। সে অনুযায়ীই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পথচলার শুরুতেই পারফর্ম করতে চেষ্টা করেন সবাই। কিন্তু এমনও বিদেশি ক্রিকেটার আছেন যারা কিনা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাঠেই নামেননি, অথচ ডাক পেয়েছেন আইপিএলের ময়দানে। তাঁরা কারা?

  • হারডাস ভিলজোয়েন

দক্ষিণ আফ্রিকান ডানহাতি পেসার হারডাস ভিলজোয়েন দেশের হয়ে খেলেছেন মাত্র এক টেস্ট ম্যাচ। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে নির্বাচকদের নজরে থাকলেও এখনও রঙিন পোশাক গায়ে চড়াতে পারেননি তিনি।

তবে দেশের হয়ে না পারলেও আইপিএলে ঠিকই তিনি দল পেয়েছিলেন, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে মাঠেও নেমেছিলেন। অবশ্য সে ছয় ম্যাচে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি, বেশিরভাগ সময়ই থেকেছেন খরুচে বোলার হয়ে। এমনকি এবারের আইপিএলেও মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাইয়ে নেট বোলার হিসেবে থাকবেন তিনি।

  • গ্রাহাম নেপিয়ার (ইংল্যান্ড)

এসেক্সের হয়ে খেলা অন্যতম ঈশ্বরপ্রদত্ত প্রতিভাবান অলরাউন্ডার গ্রাহাম নেপিয়ার। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ৫৮ বলে ১৫২ রানের ইনিংস খেলে প্রথম শিরোনামে আসেন তিনি। আর সেই ইনিংসের পরই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স নিজেদের শিবিরে নিয়ে আসে গ্রাহামকে।

তবে মুম্বাইয়ের হয়ে তিনি মাঠে নেমেছিলেন মাত্র ১ ম্যাচ, করেছিলেন ১৬ বলে ১৫ রান। আইপিএলে এক ম্যাচ খেললেও কখনওই ইংল্যান্ডের জার্সিতে মাঠে নামা হয়নি গ্রাহাম নেপিয়ারের। অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একবার ইংল্যান্ড দলে ছিলেন নেপিয়ার কিন্তু এক ম্যাচেও তাকে মাঠে নামায়নি ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট। এসেক্সের হয়েও সর্বশেষ তিনি মাঠে নেমেছেন ২০১৬ সালে।

  • এইডেন ব্লিজার্ড (অস্ট্রেলিয়া)

তাসমানিয়ার ক্রিকেটার এইডেন ব্লিজার্ড স্ট্রাইকরেট বাড়িয়ে খেলতে ভালোবাসেন। ভিক্টোরিয়া বুশরেঞ্জার্সের হয়ে ২০০৭ সালে অভিষেকেই তিনি খেলেছিলেন ৩৮ বলে ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর এই ইনিংসের কল্যাণেই কিনা কে জানে, ২০১১ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স নিজেদের দলে ভিড়ায় এইডেন ব্লিজার্ডকে।

মুম্বাইয়ের হয়ে ব্লিজার্ড মাঠে নেমেছিলেন ৭ ম্যাচে, এক হাফ-সেঞ্চুরিতে করেছিলেন ১২০ রান। তবে ২০১২ এর পর আর মুম্বাই দলে দেখা যায়নি এইডেন ব্লিজার্ডকে। আর জাতীয় দলে তো কখনওই দেখা যায়নি এই ক্লিন হিটারকে!

  • ড্যারেন লেহম্যান (অস্ট্রেলিয়া)

ড্যারেন লেহম্যানের নাম দেখে চমকে উঠতে পারেন। কিন্তু আইপিএলের ২০০৮ এর আসরে গ্রায়েম স্মিথের অনুপস্থিতিতে ২ ম্যাচ মাঠে নেমেছিলেন ড্যারেন লেহম্যান ।

সেই ২ ম্যাচে তিনি করেছিলেন মাত্র ১৮ রান, তবে সে আসরের পরের আসরেই তিনি ডেকান চার্জার্সের ডাগআউটে যোগ দেন কোচ হিসেবেই। যা হোক, আইপিএলে ২ ম্যাচ খেললেও কখনওই অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলে দেখা যায়নি ড্যারেন লেহম্যানকে। তবে সেটা যাওয়ার কথাও না!

  • শেন ওয়ার্ন (অস্ট্রেলিয়া)

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দুর্দান্ত এক আইপিএল ক্যারিয়ার কাটিয়েছেন শেন ওয়ার্ন। অধিনায়কত্ব, পারফরম্যান্স সব মিলিয়ে নিজের সময়ে দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। রাজস্থানকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ২০০৮ এর আসরে শিরোপাও জিতিয়েছিলেন তিনি।

তবে, আইপিএল অভিষিক্ত হয়ে মাতালেও অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে কখনওই টি-টোয়েন্টিতে দেখা যায়নি শেন ওয়ার্নকে। সেটা অবশ্য স্বাভাবিকই, ২০০৭ সালেই যে তিনি অস্ট্রেলিয়া দল থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছিলেন!

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...