‘ঘুরে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়’

গতবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে শুরুটাই ভালো হয়েছিল না বাংলাদেশের। প্রথম সিরিজেই ভারত সফরে গিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বিধ্বস্ত হয়েছিল সাকিব - তামিমরা। তবে এবার ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিনশিপে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে খেলা হওয়ার কারণেই এবার ভালো শুরু করতে আশাবাদী সুমন।

টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের প্রথম আসরে কোন জয়ই পায়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে প্রথম আসর শেষ করতে হয়েছে পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে থেকে। তবে এবার ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ। নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন মনে করছেন টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপে ঘুরে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়।

গতবার টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপে শুরুটাই ভালো হয়েছিল না বাংলাদেশের। প্রথম সিরিজেই ভারত সফরে গিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বিধ্বস্ত হয়েছিল সাকিব – তামিমরা। তবে এবার ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে খেলা হওয়ার কারণেই এবার ভালো শুরু করতে আশাবাদী সুমন।

সবার সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নিজেদের আরো উন্নতি করার তাগিদও দিয়েছেন জাতীয় দলের এই নির্বাচক। আজ (২৬ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন এবার প্রস্তুতি ভালো হওয়ার কারণেই টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপে ভালো শুরু করতে আশাবাদী তাঁরা।

তিনি বলেন, ‘এবার আমরা প্রস্তুতি নিয়ে নামতে পারছি। আমি আশা করছি এবারের সিজনে ভালো শুরু করতে পারবো। শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ। গত বার শুরুটা ভালো হয়নি। এরপর আর আমরা ফিরে আসতে পারিনি। আর টেস্টে সবাই ভালো উন্নতি করছে, তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে গেলে আমাদের এক ধাপ এগিয়ে থাকতেই হবে। গতবার যেটা হয়েছে আমরা সেটা চাইনা। এবার আমরা ভালো শুরু করতে চাই। এবার আমরা শুরুটা দেশের মাটিতে করতে পারছি। যদিও টেস্টে পাকিম্তান খুব ভালো দল। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এটাই সঠিক সময়।’

আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) শুরু হবে। এনসিএলেও খেলবেন জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার। সুমন মনে করছেন পাকিস্তান সিরিজের আগে এনসিএল হওয়ার কারণে ক্রিকেটাররা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

সুমন বলেন, ‘বিশ্বকাপের পরেই কিন্তু পাকিস্তানের সাথে টেস্ট আছে আমাদের। এটা একটা ভালো সুযোগ। খেলোয়াড়দের জন্য ভালো সুযোগ নিজেদের প্রস্তুত করার। এর আগে যখন আমরা টেস্ট খেলতে নেমেছি খুব একটা সুযোগ পাইনি ম্যাচ খেলার। প্রস্তুতি ম্যাচ এবং প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের ভিতর একটা পার্থক্য আছে। এই এনসিএলে যে ম্যাচ গুলো খেলবে তাতে পাকিস্তান সিরিজের আগে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি হবে আমাদের।’

এনসিএলের সূচি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। খুব দ্রুতই প্রকাশ করা হবে সূচি। তবে ইতোমধ্যে অনুশীলন শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা। সুমন জানিয়েছেন এবার এনসিএল শুরুর আগে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এক মাস সময় পাবেন ক্রিকেটাররা। তিনি বলেন, ‘এনসিএলের কার্যক্রম চলমান। এবার আমরা সময় নিয়েই সব করছি। সময় নিয়ে বলতে দল গুলোকে সময় দেওয়া হচ্ছে। এনসিএল শুরুর আগে দল গুলো সাধারণত সময় পায় না। এবার এক মাস সময় পাবে।’

এর আগে এনসিএলের প্রতিটা দলের স্কোয়াড ১৪ জনের হলেও এবার ১৬ জনের স্কোয়াড দেওয়া হয়েছে দল গুলোকে। মূলত করোনার কারণেই দুই জন অতিরিক্ত ক্রিকেটার দলে নিয়েছে দলগুলো। সুমন জানিয়েছেন এক তারিখ থেকে ফিটনেস টেস্ট নেওয়া হবে ক্রিকেটারদের। ফিটনেস টেস্টে যেন সবাই উত্তীর্ণ হতে পারে তাই ফিটনেস টেস্টের আগেও সময় দেওয়া হচ্ছে সবাইকে।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন ২০-২২ জনের একটা করে দল করে দেওয়া হয়েছে। এখন ফিটনেস ট্রেনিং চলছে। এক তারিখে ফিটনেস টেস্ট হবে। আগে ফিটনেস টেস্টের আগে সবাই সে ভাবে প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ পাই নাই। এবার সেই সুযোগটা করে দেওয়া হচ্ছে। ফিটনেস টেস্টের পরে আমরা ১৬ জনের দল করে দেবো। এমনিতে ১৪ জনের দল থাকে। করোনার কারণে দুই জন বেশি থাকবে।’

এনসিএলের ম্যাচ গুলো সাধারণতো হোম এবং অ্যাওয়ে ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটা দলই নিজেদের বিভাগে ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। আর এজন্য এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে ভ্রমণ করতে হয় দলগুলো। যার কারণে করোনায় আক্রন্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় ক্রিকেটারদের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে করোনার কারণেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এনসিএল।

তাই এবার আর এই ঝুঁকি নিতে চায়না বোর্ড। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতেই এবার এনসিএল অনুষ্ঠিত হবে শুধুমাত্র কক্সবাজার এবং সিলেটে। বাশার জানিয়েছেন এটাই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত। সব কিছু ঠিক থাকলে এবারের এনসিএলে হোম এবং অ্যাওয়ে পদ্বতি থাকছে না।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এই এনসিএলটা যখন শুরু হওয়ার পর বন্ধ হয়ে গেলো তাঁর পিছনে বড় কারণ ছিলো ভ্রমণ। আমাদের প্রচুর ভ্রমণ করতে হয়েছে। আমরা চাই সবাই নিজ বিভাগে ম্যাচ খেলুক। কিন্তু করোনার কারণে ভ্রমণ করাটা ঝুঁকিপূর্ণ সবসময়। ভ্রমণ করতে গিয়েই এনসিএল বন্ধ করতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি দুইটা ভেন্যুতে খেলা হবে। একটা কক্সবাজার এবং একটা সিলেটে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...