মন্থর মিরপুর উদ্বেলিত রিশাদে

পুরো ইনিংস জুড়ে ডট বলের পরিমান শতকরা ৬১ ভাগ। সেখানে শেষ ৫০ রান তুলতে বাংলাদেশ খরচ করে ৪৪ বল। শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ ছয় উইকেট হারালেও বোর্ডে জমা করতে পেরেছে ৬৭ রান। শেষ ২৮ বলে বাংলাদেশ তুলেছে ৪৩ রান, আর এখানেই ধন্যবাদ প্রাপ্য রিশাদ হোসেনের।

১৩ বলের পরিপূর্ণ এক বিনোদন, তাতে দুই ছক্কা আর একটি চার হাঁকালেন রিশাদ হোসেন, করলেন ২৬ রান। আর তাঁর এই ক্যামিও ইনিংসেই বাংলাদেশের রানটা ২০০-এর ওপরে গেল। অলআউট হওয়ার আগে বোর্ডে বাংলাদেশ দল জমা করে ২০৭ রান।

মিরপুরে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট অনেক চেষ্টার পরও পরিবর্তন করা যায়নি। চিরচেনা মন্থর উইকেট যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মন্থরতার চূড়ান্তই দেখাল। বাংলাদেশ প্রথম ৫০ রান তুলতেই খরচ করে ফেলে ৯৭ টি বল।

উইকেটটা একেবারেই সহজ ছিল না। স্পিনারদের জন্য রয়েছে তীব্র টার্ন, আর ব্যাটসম্যানদের জন্য বল আসছে না ঠিকঠাক ব্যাটে। তাই শট খেলাও বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। ইনিংস জুড়েই বাংলাদেশের রানরেট ছিল ওভার প্রতি তিন থেকে চার রানের আশেপাশে।

আট রানের মধ্যে দুই উইকেট পতনের পর একটু রয়েসয়েই খেলে তাওহীদ হৃদয় ও  নাজমুল হোসেন শান্ত। ১২০ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। হৃদয় ৯০ বল খেলে করেন ৫১ রান। বাংলাদেশের ইনিংসে একটাই হাফ সেঞ্চুরি। অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৭৬ বলে ৪৬ রান করে বাংলাদেশকে ২০০-এর পথে নিয়ে যান। আর শেষটা রাঙিয়ে দেন রিশাদ হোসেন।

পুরো ইনিংস জুড়ে ডট বলের পরিমান শতকরা ৬১ ভাগ। সেখানে শেষ ৫০ রান তুলতে বাংলাদেশ খরচ করে ৪৪ বল। শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ ছয় উইকেট হারালেও বোর্ডে জমা করতে পেরেছে ৬৭ রান। শেষ ২৮ বলে বাংলাদেশ তুলেছে ৪৩ রান, আর এখানেই ধন্যবাদ প্রাপ্য রিশাদ হোসেনের।

Share via
Copy link