দ্য রিটার্ন অব সুপার লিগ

২০২১ সালের এপ্রিল। হঠাৎ করেই ফুটবল বিশ্বে বিপ্লব - আয়োজিত হবে দ্য সুপার লিগ - যা নাকি ভেঙে দেবে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের কাঠামোকে। রিয়াল মাদ্রিদ ছিল ফ্লেরেন্তিনা পেরেজের নেতৃত্বে, আরো ছিল শীর্ষ ১১ ক্লাব। তবে, তাঁদের সেই বিপ্লবের আগুনে পানি ঢেলে দেয় উয়েফা। সেই থেকে সুপার লিগ ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যর্থ প্রজেক্টের একটি।

২০২১ সালের এপ্রিল। হঠাৎ করেই ফুটবল বিশ্বে বিপ্লব – আয়োজিত হবে দ্য সুপার লিগ – যা নাকি ভেঙে দেবে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের কাঠামোকে। রিয়াল মাদ্রিদ ছিল ফ্লেরেন্তিনা পেরেজের নেতৃত্বে, আরো ছিল শীর্ষ ১১ ক্লাব। তবে, তাঁদের সেই বিপ্লবের আগুনে পানি ঢেলে দেয় উয়েফা। সেই থেকে সুপার লিগ ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যর্থ প্রজেক্টের একটি।

তবে, বিতর্কিত এই সুপার লিগ আয়োজনের কার্যক্রম থেকে এখনো সরে আসেনি এর উদ্যোক্তারা। বার্সেলেনার সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা গতকাল বলেছেন, ইউরোপীয় সুপার লিগ আয়োজনের কাজ ‘প্রক্রিয়াধীন’ আছে। তার, প্রত্যাশা উয়েফা ও ফিফার বিরোধীতা স্বত্বেও আদালতের রায় তাঁদের পক্ষেই আসবে।

ইউরোপের ১২টি শীর্ষ ক্লাব নিয়ে ২০২১ সালে সুপার লিগ আয়োজনের উদ্যোগ আলোড়িত করেছিল ইউরোপীয় ফুটবলকে। কিন্তু সমর্থক ও বিভিন্ন দেশের ফুটবল কর্তৃপক্ষের বিরোধীতায় ওই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসে অধিকাংশ ক্লাব।

তবে প্রকল্পের বিষয়ে অটল থাকে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাস। বিভিন্ন মহলের আপত্তি সত্বেও সম্ভাব্য সুপার লিগ আয়োজনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ক্লাবগুলো। এক সংবাদ সম্মেলনে লাপোর্তা বলেন, ‘সুপার লিগ আয়োজনের কাজ এগিয়ে চলেছে। এটি হবে আরো টেকসই।’

সুপার লিগের প্রচারনার দায়িত্ব প্রাপ্ত স্পোর্টস ব্যাবস্থাপনা কোম্পানি এ২২ ইতোমধ্যে টুর্নামেন্ট সম্পর্কে ১০টি নীতি প্রকাশ করেছে এবং ইউরোপের বেশ কিছু সংবাদপত্রে এগুলো প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে একাধিক বিভাগ এবং ৬০ থেকে ৮০ টি দল নিয়ে একটি ‘উন্মুক্ত’ প্রতিযোগিতার কথা বলা হয়েছে।
এ২২ আরো বলেছে, ‘অংশগ্রহনকারী দলগুলোর অবশ্যই ঘরোয়া টুর্নামেন্টের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে।’

তবে, সমালোচকরা বলছে সুপার লিগ (বিভিন্ন দেশের) জাতীয় লিগ ও উয়েফা আয়োজিত ক্লাব প্রতিযোগিতার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেস্টা করছে।
লাপোর্তা বলেন, ‘আমরা চাই ঘরোয়া লিগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এবং উইয়েফার সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যেতে। আমার মনে হয় সংলাপের মাধ্যমে আমরা উয়েফার সঙ্গে ভালো একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারব।’

উল্লেখ্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ‘শীর্ষ ছয়’ ক্লাব আর্সেনাল, চেলসি, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম হটস্পার্সসহ ইউরোপের আরো ছয়টি শীর্ষ ক্লাব নিয়ে গঠিত হয়েছিল সুপার লিগের প্রথমিক প্রকল্প। পরে অবশ্য সুপার লিগের ওই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...