ক্ষুধা পুষে রেখেছেন ঈশান কিষাণ

তিনি নিজে অবশ্য এত জটিল ভাবনা ভাবতে চান না। তাঁর চোখেমুখে এখন কেবল আগ্রাসন, যেখানেই সুযোগ পাবেন বোলারকে পিটিয়ে মাঠ ছাড়া করাই একমাত্র লক্ষ্য তাঁর। গত কয়েক মাসে এই তারকার গেমসেন্সেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে৷। তিনি এখন আর বাইরের কথায় প্রভাবিত হন না, দলের বাইরে থাকার সময়টা তাঁকে আসলেই বদলে দিয়েছে।

ঈশান কিষাণ – আকাশসম প্রতিভা আর সম্ভাবনা নিয়ে ভারতীয় দলে পা রেখেছিলেন। অথচ এখন জাতীয় দল তাঁর কাছে অতীত, প্রায় এক বছর হতে চলছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই তিনি। তবে ফেরার জন্য চেষ্টার কোন কমতি রাখছেন না, বড্ড ক্ষুধার্ত হয়ে আছেন।

ডিওয়াই প্যাটেল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট থেকে শুরু করে ইরানি কাপ, রঞ্জি ট্রফি – প্রতিটা ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় খেলেছেন এই ব্যাটার। পারফরম করেছেন, শতক হাঁকিয়েছেন তিনি। সেটারই পুরষ্কার হিসেবে ভারত এ দলে নাম উঠেছে তাঁর।

জাতীয় দলের পরিচিত মুখ থেকে এ দলে, কিষাণ কি তাতে হতাশ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই খুশি, এটা আমার জন্য পারফরম করার আরেকটা সুযোগ। কোন দলের হয়ে খেলি সেটা ব্যাপার না, আমি সবসময়ই ভাল খেলার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি ক্ষুধাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনি অনেক দিন ম্যাচ খেলতে পারবেন না তখন রান করার প্রচন্ড ইচ্ছে কাজ করবে মনের ভিতরে। এটা আমি এখন অনুভব করছি, কিন্তু সত্যি বলতে মাঝের সময়টাতে পারফরম্যান্সের ক্ষুধা হারিয়ে গিয়েছিল আমার ভিতর থেকে।’

যেকোনো পজিশনে ব্যাটিং করতে প্রস্তুত জানিয়ে এই বাঁ-হাতি বলেন, ‘আমি সব জায়গায় ব্যাটিং করতে রাজি আছি, অনেকেই হয়তো এভাবে ভাবতে পারে না। তবে আমি যথেষ্ট বাস্তববাদী এবং বাস্তবতা মেনেই ভাবতে পারি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে খেলার কারণে হার্দিক পান্ডিয়ার সাথে আমার দারুণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, সেও বেশ বাস্তববাদী। সবকিছু নিয়ে অভিযোগ করতে হয় না, যেটা দরকার সেটাই করতে হবে – আমরা এভাবেই ভাবি।’

সামাজিক মাধ্যমে ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সামাজিক মাধ্যমে সবসময় নেগেটিভিটি থাকবেই। প্রতিটা ক্রীড়াবিদেরই আসলে এসব মেনে নেয়া উচিত। কেননা, আপনি পারফরম করতে পারলে একই মানুষেরাই আবার আপনার প্রশংসা করবে’।

জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর একেবারে শুরু থেকে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছে ঈশান কিষাণকে। তবে এটা তাঁর দ্বিতীয় অভিষেক হতে যাচ্ছে ভারতীয় দলে?

তিনি নিজে অবশ্য এত জটিল ভাবনা ভাবতে চান না। তাঁর চোখেমুখে এখন কেবল আগ্রাসন, যেখানেই সুযোগ পাবেন বোলারকে পিটিয়ে মাঠ ছাড়া করাই একমাত্র লক্ষ্য তাঁর। গত কয়েক মাসে এই তারকার গেমসেন্সেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে৷। তিনি এখন আর বাইরের কথায় প্রভাবিত হন না, দলের বাইরে থাকার সময়টা তাঁকে আসলেই বদলে দিয়েছে।

Share via
Copy link