সাকিবের ‘ব্যাসিক ওয়ার্করেট ভ্যালু’
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে - এবার চলমান বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এখানে স্পষ্টত দুটো পক্ষ দাঁড়িয়ে যায়, যদিও এই পক্ষ-বিপক্ষ আমার বরাবরই অপছন্দ কারণ সাকিব যদি খারাপ করে, সেটার সাথে তামিম খারাপ করা বা মুশফিকের খারাপ করার কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ এরা কেউ কোনো জায়গায় একে অন্যের জায়গায় খেলবে না।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) স্ট্যাট নিয়ে আমার খুব আগ্রহ ছিল। তাই নানা ধরনের পরিসংখ্যান পড়তাম একটা সময়। সেখানে সবচেয়ে মজার ছিল, ভ্যালু ফর মানি। এটা হচ্ছে একটা ক্রিকেটারের দামের তুলনায় ব্যাসিক ওয়ার্করেটের ভ্যালু!
এই দিক থেকে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের অবস্থান ছিল দীর্ঘসময় সবার ওপরে। সাকিব কিন্তু আহামরি পারফর্ম করেননি আইপিএলে। এটা একটা গ্রাফ মতোন, আপনি ২০-৩০ রান করবেন সেটা ১৪-১৮ বলে।
আপনি চার ওভার বল করবেন রান দিবেন অন এভারেজ ২৮, উইকেট দুইটা।
এই সামান্য কাজ একদিন দুইদিন হইলে সেটাকে খারাপ বা ভালো বলে বিবেচনা করা যায়। কিন্তু নিয়মিত করে গেলে সেটা অসাধারণ। তাই আইপিএলে টিম ম্যানেজমেন্ট সাকিবের ওপর বাড়তি ভরসা করতো।
২০১৪ সালে সাকিব যেবার আইপিএলে ব্যক্তিগত সেরা শো করেন, সেবার তার এভারেজ ছিল ৩২, টি টোয়েন্টিতে ৩২ এভারেজ! আর স্ট্রাইক রেট ১৪৯!
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে – এবার চলমান বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এখানে স্পষ্টত দুটো পক্ষ দাঁড়িয়ে যায়, যদিও এই পক্ষ-বিপক্ষ আমার বরাবরই অপছন্দ কারণ সাকিব যদি খারাপ করে, সেটার সাথে তামিম খারাপ করা বা মুশফিকের খারাপ করার কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ এরা কেউ কোনো জায়গায় একে অন্যের জায়গায় খেলবে না।
চলতি একেবারেই ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টে সাকিব জেমকন খুলনা দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৯ ওভার বল করে ৮৯ রান দিয়েছেন। সাথে তিনটি উইকেট।
আরো পড়ুন
- ‘কৈশোরে ফিরে গিয়েছিলো সাকিব’
- যেমন হচ্ছে সাকিবের অ্যাকাডেমি
- সাকিবের প্রত্যাবর্তনের নেপথ্যে…
- যিনি বুঝেছিলেন সাকিবের গ্রেটনেস
- সাকিব মানে লেগুনায় শ্যামলী থেকে মিরপুর স্টেডিয়াম…
- স্বাগত, সাকিব আল হাসান ২.০
- সাকিব, রাজেন্দ্র কলেজ মাঠ ও আমি
উইকেটের তাৎপর্য হিসেব না করলেও চলে এই টি-টোয়েন্টি বোলিং ফিগারের সাথে, টি টোয়েন্টিতে সাড়ে চারের কিছুটা বেশি রান দিয়ে যদি ব্যাট হাতে পাঁচ ম্যাচে ৫৫ রান করে সেটাতেও মনে হয় না অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে খুব একটা ঘাটতি দেখা যায়। বিশেষত দুইটা ম্যাচে ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্স বলা যায়, একদল মাত্র ১২৫ রানে প্যাকেট আরেক দল, শুরুতে মেইডেন দিয়ে সাকিবকে আর চাপই সামলাতে পারেনি।
আশা করি ব্যাটেও বড় রান আসবে!