ক্যারিয়ার শেষ হতে বসেছিল দীপক চাহারের

নিজেদের ইতিহাসের পঞ্চম শিরোপা জেতার মিশনে এবারের আইপিএল ফাইনাল গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হবে চেন্নাই সুপার কিংস। ফাইনাল জেতার মিশনে পাওয়ার প্লেতে মহেন্দ্র সিং ধোনির মূল তুরুপের তাস দীপক চাহার। ইনিংসের শুরুতে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিতে এই পেসারের দিকে তাকিয়ে থাকবে দলটি।

আইপিএলে চেন্নাইয়ের এক প্রকার ঘরের ছেলেই বনে গেছেন দীপক চাহার। বারবার ইনজুরিতে বড় একটা সময় মাঠের বাইরে কাটালেও চেন্নাই কখনোই আস্থা হারায়নি এই পেসারের উপর থেকে। তবে আইপিএল ক্যারিয়ারের শুরুটা মোটেই সহজ ছিল না তাঁর। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে দিল্লীর বিপক্ষে এক ম্যাচের কথা স্মরণ করেন এই পেসার।

চাহার বলেন, ‘স্ট্রাইকে তখন সরফরাজ খান ব্যাট করছিল। সত্যি বলতে আমি সেদিন প্রথমবারের মতো ডেথ ওভারে বল করছিলাম। তাঁরা আমাকে কখনোই ডেথ ওভারে বল করায়নি কারণ কখনো প্রয়োজনই হয়নি। শার্দুল ঠাকুর এবং ডোয়াইন ব্রাভোই সব সময় ইনিংসের শেষদিকে বল করতেন। কিন্তু ব্রাভোর ইনজুরিতে গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে ডেথ ওভারে আমার ডাক পড়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের সেই সময়ে তিন ওভারে ৪২ রান দরকার ছিল। আমি স্লোয়ার দিতে গিয়ে অ্যাংকেলে ব্যথা পাই। বলটা পুরো ফুলটস হয়ে যায় এবং আমি ভেবেছিলাম আম্পায়ার নো বল ডেকেছেন। আমার পরের ডেলিভারিটাও একই রকম হয়ে যায়। আমি ভেবেছিলাম টানা দুটো বিমার দেয়ায় ধোনি ভাই  আর আমাকে বল করতে দেবেন না। ডেথ বোলার হিসেবে আমার ক্যারিয়ার শেষ।’

তিনি বলেন, ‘এরপর ধোনি ভাই আমার কাছে আসেন এবং বলেন তুমি সব সময় স্মার্ট আচরণ করো যে তুমি সব জান। তবে এখন এভাবে বল করছো কেন? আমি তো ভাবছিলাম আমার ক্যারিয়ারের আর কোনো আশা নেই। পরের পাঁচ বলে আমি মাত্র পাঁচ রান দেই এবং ম্যাচ শেষে সে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল।’

এছাড়া ২০১৮ আইপিএল নিলামের কথাও স্মৃতিচারণ করেন চাহার। সেবারে চেন্নাই কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং তাঁকে নিয়ে তেমন আগ্রহী না থাকলেও ধোনি তাঁকে দলে নিয়েছিলেন এবং সবগুলো ম্যাচ একাদশে সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

চাহার বলেন, ‘তাঁরা আমাকে ২০১৮ মৌসুমে দলে নিয়েছিল। প্রথম ম্যাচের আগে ফ্লেমিং আমাকে জানায় সে আমাকে শুরুর দিকের ম্যাচগুলোকে খেলানোর কথা ভাবছে না। আমার বদলে সিনিয়র কাউকে সুযোগ দিতে চায়। কিন্তু এরপরেই মাহি ভাই বলেন সে সবগুলো ম্যাচই খেলবে যাই ঘটুক না কেনো। বাকি ব্যাপারগুলো নিয়ে আমি তোমার সাথে কথা বলছি।’

এরপর আইপিএলে নিয়মিত পারফর্ম করার সুবাদেই ভারত জাতীয় দলে ডাক পান দীপক। জাতীয় দলের হয়ে ১৩ ওয়ানডেতে ১৬ উইকেটের পাশাপাশি ২৪ টি-টোয়েন্টিতে ২৯ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। ক্যারিয়ারের আরো এগোনোর সম্ভাবনা থাকলেও বারবার ইনজুরিতে পিছিয়ে গিয়েছেন এই পেসার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link