সরব ব্যাটে আত্মবিশ্বাসের প্রত্যাবর্তন

মোনালিসার হাসি নয়, কানাডাতে বরং বিরক্তিই ছড়াচ্ছিল লিটন দাসের ব্যাট। প্রথম চার ম্যাচের যে তিন ইনিংসে ব্যাট করতে পেরেছিলেন, ছিলেন স্রেফ নিজের ছায়া হয়ে।

তিন ইনিংসে ১৮ গড়ে ৫৫ রান করেছেন তিনি। সবচেয়ে দৃষ্টিকটু বিষয় তাঁর স্ট্রাইক রেট। ৯০ স্ট্রাইকরেটে লিটনের ব্যাটিংটা যেন চোখের জন্য ঠিক সুখকর ছিল না।

তবে, লিটনের ব্যাটের দুর্দশাটা খুব লম্বা হল না। মোনালিসার হাসি ফিরল, হাসল লিটনের ব্যাট। খেললেন ম্যাচ জয়ী ইনিংস। সাথে, উইকেটের পেছনেও ছিলেন দারুণ চটপটে।

৪৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আত্মবিশ্বাস ফেরানোর জন্য এটুকুই তো আপাতত যথেষ্ট। সারে জাগুয়ার্সের হয়ে খেলা এই ইনিংসে ছিল তিনটি করে চার ও ছক্কা। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আঠারতম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন লিটন।

তাতে, পঞ্চম ম্যাচে গিয়ে ষষ্ঠ ম্যাচে গিয়ে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিতে পেরেছে সারে। ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠল সারে। এর অর্থ হল চলমান গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডায় এখনও কোয়ালিফায়ারে যাওয়া সম্ভব তাঁদের।

ফলে, স্বস্তি খানিকটা পেতেই পারে দলটি। তবে, বেশি স্বস্তি অনুভব নিশ্চয় লিটনই করছেন। এমন খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসাটা খুবই জরুরী ছিল তাঁর জন্য।

ব্রাম্পটনে এদিন উইকেট ছিল তুলনামূলক স্লো। তার ওপর লো স্কোরিং ম্যাচ। পাঁচ ওভারেই ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল সারে। দল চাপে পড়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি বুঝে খেলেছেন লিটন।

জুটি গড়েন পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে। সারের এই অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে ৭৭ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়েন লিটন। এই জুটিতে লিটনের অবদান ৩৭ বলে ৫৩, ইফতিখারের ৪০ বলে ৩৮। মানে, লিটনের ব্যাটই ছিল বেশি দাপুটে।

আর ভাগ্যও সহায় ছিল। ৪৪ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ মিস হয়। কিন্তু, কথায় আছে না – ভাগ্য সাহসীদের সহায় হয়। লিটন ভাগ্যের সহায়তায় নিজের ইনিংস বড় করার সাথে সাথে ম্যাচের লাগামটাও দলের দিকে রাখতে সক্ষম হন। এবার এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করার পালা।

ব্যাটে রান ফেরানোর ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও লিটন। আর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা আবার নিয়েছেন স্বয়ং ক্লাইভ লয়েডের হাত থেকে। বিশ্বকাপের আগে টানা দুই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার প্রাপ্তিটাও তো কম নয়।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link