Social Media

Light
Dark

বুঝেশুনেই ভেট্টোরির পেছনে বিনিয়োগ করছে বিসিবি

২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ দলের স্পিন পরামর্শক হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। ভেট্টোরির সাথে ১০০ দিনের চুক্তি করেছিলো বিসিবি। চুক্তির শর্ত ছিলো বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের স্পিনারদের ১০০ দিন কোচিং করাবেন তিনি। দৈনিক সাড়ে তিন হাজার ডলারের বিনিময়ে কাজ করার কথা ছিল তাঁর।

বাংলাদেশের কোচিং স্টাফদের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ পারিশ্রমিক নেন সাবেক এই কিউই অলরাউন্ডার। যেটা প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর বেতনের থেকেও প্রায় দশ গুণ বেশী। কিন্তু করোনা ও পারিবারিক কারণে বাংলাদেশ দলের সাথে বেশী কাজ করা হয়নি ভেট্টোরির। কোয়ারেন্টাইন জটিলতায় আগের সিরিজেও দলের সাথে ছিলেন না তিনি।

তবে নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের স্পিনারদের সাথে ২০-২২ দিন কাজ করবেন ভেট্টোরি। আর এই কয়েক দিনে তাঁর পেছনে বিসিবিকে খরচ করতে হবে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এরকম বিলাসী চুক্তি করে তাঁর কাছে থেকে কতটুকু আদায় করতে পারছে বোর্ড? – এমন প্রশ্ন উঠছেই।

বাংলদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থেকে বুঝে শুনেই ভেট্টোরির পেছনে কাড়ি কাড়ি অর্থ ঢালছে বোর্ড। তাঁরা বিশ্বাস করেন ভেট্টোরির মতো একজন কিংবদন্তির দলের সাথে থাকা ও ড্রেসিংরুম শেয়ার করা আলাদা মাত্রা যোগ করে।

সুজন বলেন, ‘ভেট্টোরি কিন্তু অনেকদিন ধরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন এবং সার্ভিস দিচ্ছেন। কিন্তু করোনার কারণে হয়তো উনার আসা-যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। মূল বিষয় হলো উনি বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যেখানেই যোগ দেন না কেন দেশে ফিরে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে এটাই উনার জন্য মূল চ্যালেঞ্জ দেশে ফিরে আবার ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন। উনি বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফরেই যুক্ত হচ্ছেন।’

এ প্রসঙ্গে সুজন আরো বলেন, ‘যেটা বলা হচ্ছে উনার মতো একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে আমরা সেগুলো অন্যভাবে দেখছি। বোর্ড মনে করে যে ভেট্টোরির মত একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার বাংলাদেশ দলের সাথে থাকা কিংবা ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করাটা কিন্তু আলাদা মাত্রা যোগ করে। উনার মতো একজন সাবেক অধিনায়ক, বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে উনার অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান। সুতরাং বোর্ড যেটা করেছে সবকিছু চিন্তাভাবনা করেই করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘দিনের হিসেবে উনি ২০-২২ দিন বাংলাদেশ দলের সাথে থাকবে।’

জানিয়ে রাখা ভাল, আসছে ২০ মার্চ ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ। ২৩ মার্চ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে হ্যাগলি ওভাল, ক্রাইস্টচার্চে এবং ২৬ মার্চ শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে বেসিন রিজার্ভ, ওয়েলিংটনে।

ওয়ানডে সিরিজ শেষে ২৮ মার্চ সেডন পার্ক, হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ৩০ মার্চ ম্যাকলিন পার্ক, নেপিয়ারে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে ইডেন পার্ক, অকল্যান্ডে এক এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে শেষ টি-টোয়েন্টি। জানিয়ে রাখা ভাল, এর আগে কোনো ফরম্যাটেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয় পায়নি বাংলাদেশ দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link