ক্রিকেটার থেকে আইসিসির পদাধিকারী

ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেও অনেকেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারেননি। হয়তো নিজ দেশের বোর্ডের দায়িত্বে, নয়তো কোচিং কিংবা ধারাভাষ্যকার হিসেবেও অনেককেই দেখা যায় ক্রিকেটের সাথে জুড়ে থাকতে। তবে, এতো এতো ক্রিকেটারের মাঝে ব্যাতিক্রমও ছিলেন কিছু! কয়েকজন ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে সুনাম কুরিয়েছেন, কেউ কেউ ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষেও কাজ করেছেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সর্বোচ্চ পর্যায়ে।

ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেও অনেকেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারেননি। হয়তো নিজ দেশের বোর্ডের দায়িত্বে, নয়তো কোচিং কিংবা ধারাভাষ্যকার হিসেবেও অনেককেই দেখা যায় ক্রিকেটের সাথে জুড়ে থাকতে। তবে, এতো এতো ক্রিকেটারের মাঝে ব্যাতিক্রমও ছিলেন কিছু! কয়েকজন ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে সুনাম কুরিয়েছেন, কেউ কেউ ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষেও কাজ করেছেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সর্বোচ্চ পর্যায়ে।

ক্রিকেটার থেকে আইসিসির প্রেসিডেন্ট হয়েছেন এখন পর্যন্ত তিনজন ক্রিকেটার। আর প্রধান নির্বাহী পদে এখন পর্যন্ত কাজ করেছেন দু’জন ক্রিকেটার। সেই পাঁচজনকে নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন।

  • লর্ড কলিন কাউড্রে (১৯৮৯-১৯৯৩*)

মাত্র ১৩ বছর বয়সেই লর্ড কলিন কাউড্রে নিজের ক্রিকেটীয় প্রতিভা জানান দিয়েছিলেন পুরো বিশ্বকে। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে খেলেন একশো টেস্ট! ইংল্যান্ডের হয়ে সাদা পোশাকে করেছেন সাড়ে সাত হাজারের বেশি রান। অপরদিকে, ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ৪৩ হাজার রানের মালিক ছিলেন তিনি! ১৯৮৯ সালে তিনি প্রথমবার আইসিসির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

চার বছর সেখানে প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন কলিন। আর সেসময় থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চালু হয় রেফারি কিংবা নিরপেক্ষ আম্পায়ার রাখার প্রচলন। ২০০০ সালের ডিসেম্বরে ৬৭ বছর বয়সে স্ট্রোক করে মারা জান তিনি। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের বাইরেও কলিন অর্জন করেছেন বহু সম্মাননা। তাঁকে ডাকা হয় ব্যারন কাউড্রে অফ টনব্রিজ নামেও।

  • স্যার ক্লাইড ওয়ালকট (১৯৯৩-১৯৯৭*)

লর্ড কলিন কাউড্রে’র পরবর্তীতে আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান স্যার ক্লাইড ওয়ালকট। ১৯৯৩ সালে দায়িত্ব পাওয়ার পর চার বছর ওই পদে ছিলে ক্লাইভ। তিনিই প্রথম নন ইংলিশ হিসেবে আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অবশ্য ক্রিকেটার হিসেবেও তাঁর সময়ের অন্যতম সেরা ছিলেন ক্লাইড।

বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া ক্লাইভ ১৯৪৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্টে অভিষিক্ত হন। ১৯৫০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টেস্ট জয়েও ছিলেন ক্লাইভ! ৫০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে তাঁকে বলা হতো সেসময়ের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অনেকটা আগ্রাসী ব্যাটিং করতেই বেশি পছন্দ করতেন।

  • জহির আব্বাস (২০১৫-২০১৬*)

১৯৬৯ সালে টেস্টে অভিষিক্ত হওয়া সাবেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান জহির আব্বাস নিজের দ্বিতীয় টেস্টেই করেন ডাবল সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারে মোট চারটি ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন জহির! শুধু ইউনিস খান ও জাভেদ মিঁয়াদাদেরই তাঁর চেয়ে বেশি ডাবল সেঞ্চুরি আছে।

জহির আব্বাসকে পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে মানা হয়। ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে ২০১৫ সালে তিনি আইসিসির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির চেয়ারম্যান হন আব্বাস। দুই বছর মেয়াদ শেষে ২০১৬ সালে দায়িত্ব শেষ হয় তাঁর।

  • হারুন লরগাত (২০০৮-২০১২)

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন হারুন লরগাত। অবশ্য জাতীয় দলে ঠাই মেলেনি তাঁর। ঠাই মেলেনি বললে ভুলই হবে; কারণ সেসময় তো দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট ছিলো নির্বাসনে! নির্বাসন থেকে ফিরতে ফিরতে ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছিলেন লরগাত।

পরবর্তীতে ২০০৮ সালে আইসিসির তৃতীয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে পদে যোগ দেন। তার দেশেরই আরেকজন ইমতিয়াজ প্যাটেল এই দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করলে প্রধান নির্বাহী পদে দায়িত্ব পান লরগাত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রায় তিন হাজার রানের মালিক তিনি।

  • ডেভ রিচার্ডসন (২০১২- বর্তমান)

ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট যখন খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট তখন নির্বাসনে। নির্বাসন শেষে যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলো দক্ষিণ আফ্রিকা, তখন জাতীয় দলে এলেন ডেভ রিচার্ডসন। নব্বইয়ের দশকে উইকেটের পেছনে যাকে বলা হতো দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে ভরসার নাম।

ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে ডেভ বনে গেছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী হিসেবে। ২০১২ সালে হারুন লরগাটের পর এই পদে দায়িত্ব নেন তিনি। গেলো সাত বছর যাবৎ এখন পর্যন্ত এই পদে বহাল আছেন ডেভ। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেছেন বহু ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৬৪ ম্যাচে ২ হাজারের বেশি রান করেছেন ডেভ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...