লিটন ও ৫/৭
উইকেটে ঘাস ছিল, বাউন্স ছিল। আগের রাতের বৃষ্টির কারণে আর্দ্রতা ছিল। প্রথম এক ঘণ্টায় ব্যাটিং বেশ কঠিন ছিল। জিম্বাবুয়ে চারটি উইকেট দ্রুত নিতেও পেরেছিল। এরপর... এরপর, লিটনের ব্যাটিংয়ে দেখা যায় লড়াইয়ের ছাপ। নিজের সহজাত প্রবৃত্তির সঙ্গে আপোস করার প্রতিজ্ঞা। পরিস্থিতিকে সম্মান করার পরিণত মানসিকতা। সময় নিজের পক্ষে এলে তা কাজে লাগানো।
প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হলেও লিটন দাসের এই ইনিংসটি আলাদা। ইনিংসটি আলাদা মূলত দুটি কারণে। প্রথমত, কন্ডিশন ও পরিস্থিতি। দ্বিতীয়ত, যেভাবে ইনিংসটি তিনি গড়েছেন। প্রথম ১৫ ওভারে তাঁর ব্যাটে কোনো বাউন্ডারি ছিল না, ভাবা যায়!
উইকেটে ঘাস ছিল, বাউন্স ছিল। আগের রাতের বৃষ্টির কারণে আর্দ্রতা ছিল। প্রথম এক ঘণ্টায় ব্যাটিং বেশ কঠিন ছিল। জিম্বাবুয়ে চারটি উইকেট দ্রুত নিতেও পেরেছিল। এরপর… এরপর, লিটনের ব্যাটিংয়ে দেখা যায় লড়াইয়ের ছাপ। নিজের সহজাত প্রবৃত্তির সঙ্গে আপোস করার প্রতিজ্ঞা। পরিস্থিতিকে সম্মান করার পরিণত মানসিকতা। সময় নিজের পক্ষে এলে তা কাজে লাগানো।
এসব কারণেই লিটনের এই ইনিংসটি আলাদা ও দারুণ। ওয়ানডেতে এর আগে তার একটি ফিফটিতেই কেবল পঞ্চাশের বেশি বল লেগেছে (৫৪ বলে) আজকে করেছেন ৭৮ বলে। পরে উইকেট সহজ হয়ে আসার পর, মূল বোলাররা সরে গেলে, দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন ৩২ বলে।
আজ তিনি ছটফট করেননি, তেড়েফুঁড়ে খেলেননি, আলগা বলের অপেক্ষা করেছেন। এজন্য ইনিংসটি আলাদা,
যদিও কাজটা শেষ করতে পারেননি। যখন আউট হয়েছেন, এরপর দল বিপদে পড়তে পারত। শুধু এই কারণেই ইনিংসটিকে তার সেরা ইনিংস বলতে পারছি না।
আশা করি, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হলেও এই ইনিংসটি লিটনকে নতুন করে বোঝাবে এবং নিজেকে নতুন করে চেনাবে।
অবশ্যই এই ইনিংসে তার ব্যাটিং নি সব সংশয় বা প্রশ্ন দূর হয়ে যায়নি। আসল সব পরীক্ষা সময়মতোই হবে। তবে এই ইনিংসটা তাকে পরিণত হতে সাহায্য করবে, এই আশা অন্তত করতে পারি।
[তবে, লিটন ডাবল সেঞ্চুরি করলেও নাঈমকে না খেলানো ন্যায্য হয় না। কোনোভাবেই না। লিটনকে মিডল অর্ডারে খেলিয়ে নাঈমকে সুযোগ দেওয়া যেত। লিটন সুযোগ পেয়েছেন, সেঞ্চুরি করেছেন। তার কৃতিত্ব। কিন্তু নাঈমও পেতে পারতেন সুযোগ। প্রসেস মানা হয়নি, যেটা কখনোই খুব ভালো নয়। আমাদের ক্রিকেটে অবশ্য নিয়মিতই হয়। ]
__________________
আফিফ হোসেন আজকে যেভাবে খেলেছেন, এটাকে বলে পাঁচ নম্বরের ব্যাটিং। এক-দুই করে প্রান্ত বদল করেছেন, নিজের জোনে বল পেলে বড় শট খেলেছেন। আফিফ কখনোই সাত নম্বরের ব্যাটসম্যান নন। উইকেটে গিয়েই বড় শট খেলার ব্যাটসম্যান নন। আমার চোখে, সাতের চেয়ে পাঁচেই তিনি বেশি উপযুক্ত।
যদিও আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের সংশয় আছে বলেই শুনেছি যে তিনি পাঁচে পারবেন না – জানি না, তারা ভালো বোঝেন অবশ্যই। তবে আফিফ প্রোপার ব্যাটসম্যান। এই সিরিজ একটা ভালো সুযোগ হতে পারত তাঁকে জেনুইন ব্যাটসম্যান হিসেবেই বাজিয়ে দেখার।
– ফেসবুক থেকে