অবসরপ্রাপ্তদের কাউন্টি অভিজ্ঞতা

আজকালকার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জমানায় অবশ্য কাউন্টির জৌলুস অনেকটাই কমে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে কিংবা অবসর নিয়ে ফেলে অনেক তারকাই মন দেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আর্থিক ভাবেও সেটা বেশ লাভজনক। তবে, এর মাঝেও কিছু ব্যতিক্রম আছে। কয়েকজন ধ্রুপদী ও বিশুদ্ধ ক্রিকেটপ্রেমী আছেন – যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকৈ অবসর নিলেও নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন কাউন্টি ক্রিকেট।

সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ঘরোয়া ক্রিকেট আসর কোনটা, যেখানে বিদেশি ক্রিকেটারদের খেলা সুযোগ আছে? – এই প্রশ্নের জবাব দিতে আসলে কোনো তর্ক বিতর্কের প্রয়োজন নেই। উত্তরটা সহজ – কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ। লাল বলের এই ক্রিকেট আসর ঐতিহ্যগত ও ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আজকালকার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জমানায় অবশ্য কাউন্টির জৌলুস অনেকটাই কমে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে কিংবা অবসর নিয়ে ফেলে অনেক তারকাই মন দেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আর্থিক ভাবেও সেটা বেশ লাভজনক। তবে, এর মাঝেও কিছু ব্যতিক্রম আছে। কয়েকজন ধ্রুপদী ও বিশুদ্ধ ক্রিকেটপ্রেমী আছেন – যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকৈ অবসর নিলেও নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন কাউন্টি ক্রিকেট। তাঁদের নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন।

  • অ্যালিস্টেয়ার কুক (ইংল্যান্ড)

অবশ্যই তিনি ইংল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান। এমনকি, অ্যালিস্টেয়ার কুক প্রথম ইংলিশ হিসেবে দেশের হয়ে ১০ হাজার রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বেশ অনেকদিন আগে বিদায় বলে দিলেও তিনি দিব্যি খেলে যাচ্ছেন কাউন্টি ক্রিকেট। এসেক্সের হয়ে চলতি আসরে তিনি এরই মধ্যে ৩০০’র ওপর রানও করে ফেলেছেন।

  • হাশিম আমলা (দক্ষিণ আফ্রিকা)

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু দেরিতেই আগমন হয় হাশিম আমলার। আবার তিনি একটু আগাম বিদায় বলে ফেলেছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চকে। তবে, বিশুদ্ধবাদী এই ব্যাটসম্যান অবসরের পর মন দিয়েছেন কাউন্টি ক্রিকেট। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ৩৮ বছর বয়সী এই প্রোটিয়া খেলছেন সারের হয়ে। চলতি আসরে তিনি দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এর মধ্যে একটা ডাবল সেঞ্চুরিও করে ফেলেছেন।

  • পিটার সিডল (অস্ট্রেলিয়া)

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার পিটার সিডল। পাঁচ দিনের ক্রিকেটে এই অজির কার্য্যকারিতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে, ডান হাতি এই ফাস্ট বোলার একের পর এক ইনজুরির ধকলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বড় করতে পারেননি। তবে, কাউন্টি খেলছেন। চলতি আসরে তিনি খেলছেন এসেক্সের হয়ে। এর মধ্যে এক ইনিংসে ছয় উইকেটও পেয়েছেন প্রবীন এই বোলার।

  • ওয়েন পারনেল (দক্ষিণ আফ্রিকা)

কলপ্যাক চুক্তিতে যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ওয়েন পারনেল – তখন সেটা গোটা ক্রিকেট বিশ্বের জন্যই ছিল বিস্ময়কর এক খবর। কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বিরাট এক সম্পদ হতে পারতেন তিনি। তবে, ভাগ্য তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল কাউন্টি ক্রিকেটে। এখন তিনি খেলছেন নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে। সেখানে তিনি চলতি আসরে পাঁচ ম্যাচ খেলে এখন অবধি ১৫ টি উইকেট পেয়েছেন ১০৪ রান করেছেন। বোঝাই যাচ্ছে, দারুণ ফর্মে আছেন তিনি।

  • কাইল অ্যাবট (দক্ষিণ আফ্রিকা)

তিনিও কলপ্যাক চুক্তিতে এসেছেন কাউন্টিতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে কিছুদিন আগে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময় এই পেসার আছেন তুখোড় ফর্মে। এই মুহূর্তে হ্যাম্পশায়ারের সেরা বোলার তিনি। চলতি কাউন্টি মৌসুমে সাত ম্যাচে নিয়েছেন ৩০ উইকেট। এমন যার ফর্ম, তিনি যদি অবসর ভেঙে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেও আসেন তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...