তবুও রুটই সেরা

ব্যাটসম্যান হিসেবেও ইংল্যান্ডের অন্যতম সফলদের একজন জো রুট। গত কয়েকবছর ধরে বিশ্ব ক্রিকেটেরই সেরাদের একজন তিনি। তবে ব্যাটসম্যান জো রুটের আড়ালে খানিকটা চাপা পড়ে যেত অধিনায়ক জো রুট। ব্যাটসম্যান রুটকে আমরা এতটাই মুগ্ধতা নিয়ে দেখেছি যে কখন যে তিনি ইংল্যান্ডের সফলতম অধিনায়ক হয়ে গিয়েছেন তা খেয়ালও করা হয়নি।

ইংল্যান্ডের টেস্ট দলটাকে তখন এক সুতোয় গেঁথে ফেলেছেন অ্যালিস্টার কুক। সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাদা পোশাকের ক্রিকেটে। দলের সেরা ব্যাটসম্যান, সেরা অধিনায়ক। তবে কুকের সেই দলে তৈরি হচ্ছিল ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক, খুব সম্ভবত দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক জো রুট।

ব্যাটসম্যান হিসেবেও ইংল্যান্ডের অন্যতম সফলদের একজন জো রুট। গত কয়েকবছর ধরে বিশ্ব ক্রিকেটেরই সেরাদের একজন তিনি। তবে ব্যাটসম্যান জো রুটের আড়ালে খানিকটা চাপা পড়ে যেত অধিনায়ক জো রুট। ব্যাটসম্যান রুটকে আমরা এতটাই মুগ্ধতা নিয়ে দেখেছি যে কখন যে তিনি ইংল্যান্ডের সফলতম অধিনায়ক হয়ে গিয়েছেন তা খেয়ালও করা হয়নি।

ফ্যাভ ফোরের একজন হয়ে ওঠা রুট যে ইংল্যান্ডকে টেস্ট ক্রিকেটে ৬৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ফেলেছেন তাও বা খেয়াল করলো কজনে। ইংল্যান্ডের কোন অধিনায়কই  দেশটিকে এতগুলো টেস্ট ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে পারেনি। অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডকে সবচেয়ে বেশি জয় এনে দেয়া নামটাও তো জো রুট। তাঁর নেতৃত্বে ২৭ টি টেস্ট ম্যাচ জিতেছে ইংল্যান্ড।

তবে শেষের সময়টা ভালো কাটছিল না। শেষ ১৭ টেস্ট ম্যাচে ইংল্যান্ড জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে। এরমধ্যে অ্যাশেজ সিরিজ ও ক্যারিবীয়দের সাথে অসহায় আত্মসমর্পণ চোখে লেগেছে। ফলে ইংল্যান্ড ক্রিকেটে একটা বড় রদবদল হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই নতুন অধিনায়ক নিয়ে আসার পরিকল্পনাও ছিল। তবে এর আগে নিজে থেকেই অধিনায়কত্বের টুপিটা খুলে রাখলেন জো রুট।

অ্যালিস্টার কুকের পরেই ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন জো রুট। ২০১৭ সালে লর্ডসে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু। অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম টেস্টেই খেলেছিলেন ১৯০ রানের ইনিংস। বোঝা যাচ্ছিল সঠিক মানুষের হাতেই পড়েছে দেশটির ক্রিকেট। যার প্রমাণ মিলেছে গত পাঁচ বছরেও।

অধিনায়ক  থাকাকালীন সময়ে ব্যাট হাতেও রান করে গিয়েছেন বিশ্বসেরাদের মত করে। এই সময়ে তিনি ৪৬ গড়ে করেছেন ৫২৯৫ রান। যেই ৬৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর ২৭ টিতে জয়ের বিপরীতে আছে ২৬ টি হার। ড্র করেছেন ১১ টেস্ট ম্যাচে। অধিনায়ক হিসেনে রুটের জয় ও হারের অনুপাত ছিল ১.০৩। জয় এনে দিয়েছেন ৪২ শতাংশ ম্যাচে।

ওদিকে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় এনে দিয়েছিলেন মাইকেল ভন। দেশটিকে ৫১ টেস্ট ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়া ভন জয় পেয়েছিলেন ২৬ ম্যাচে। ওদিকে অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস ইংল্যান্ডকে এনে দিয়ছিলেন ২৪ টি টেস্ট জয়।

ইংল্যান্ডকে সমান সংখ্যা জয় এনে দিয়েছিলেন  অ্যালিস্টার কুকও। ৫৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়া কুক ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছিলেন ২৪ টি জয়। কুক ইংল্যান্ডকে জয় এনে দিয়েছেন ৪০.৬৭ শতাংশ ম্যাচে। এছাড়া পিটার মে’র নেতৃত্বে ইংল্যান্ড পেয়েছিল ২০ টি টেস্ট জয়।

তাই এতকিছুর পরেও ইংল্যান্ডকে সবচেয়ে বেশি জয় এনে দেয়া অধিনায়কের নাম জো রুটই। ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। অধিনায়ক হিসেবে রুটের যাত্রাটা থামলো। তবে ব্যাটসম্যান রুটের আরো দেয়ার আছে অনেক কিছুই। সুযোগ আছে টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হবার। হয়তো অধিনায়কের মত, ব্যাটসম্যান রুটও তালিকায় সবার উপরে থেকেই শেষ করবেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...