পরাগ মাখা ভবিষ্যতের খোঁজে

১৯৯৯ সালে বিহারের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে আসামের এক ব্যাটসম্যানকে স্ট্যাম্পিং করেছিলেন ধোনি। এরপর প্রায় বিশ বছর পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মাত্র ১৭ বছরে অভিষিক্ত রাজস্থানের এক ব্যাটসম্যান ধোনির হাতে ক্যাচ তুলে আউট হন। মজার ব্যাপার হচ্ছে আসামের সেই ব্যাটসম্যন রাজস্থানের এই ব্যাটসম্যানের বাবা। পিতা-পুত্র দুজনই খেলেছেন ধোনির বিপক্ষে। আপনার কী ছোট বেলার সেই পিতা-পুত্রের অংক মনে পড়ে যাচ্ছে!

১৯৯৯ সালে বিহারের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে আসামের এক ব্যাটসম্যানকে স্ট্যাম্পিং করেছিলেন ধোনি।

এরপর প্রায় বিশ বছর পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপএল) মাত্র ১৭ বছরে অভিষিক্ত রাজস্থানের এক ব্যাটসম্যান ধোনির হাতে ক্যাচ তুলে আউট হন। মজার ব্যাপার হচ্ছে আসামের সেই ব্যাটসম্যন রাজস্থানের এই ব্যাটসম্যানের পিতা। পিতা-পুত্র দুজনই খেলেছেন ধোনির বিপক্ষে। আপনার কী ছোট বেলার সেই পিতা-পুত্রের অংক মনে পড়ে যাচ্ছে!

এক্ষেত্রে পিতা পুত্রের বয়সের পার্থক্য ২৭ বছর। তবে ধোনি তাঁদের ক্রিকেট মাঠে এক করেছেন। পিতা-পুত্র দুজনই ক্রিকেট খেলেছেন ধোনির সাথে। পরাগ দাস ছিলেন আসামের ক্রিকেটার। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত খেলেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। তবে পিতাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী রিয়ান পরাগ। ১৭ বছর বয়সেই আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের অভিষিক্ত হন এই মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

২০১৮ সালে ভারতের হয়ে অনুর্ধব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা রিয়ান পরাগ পরের বছরই সুযোগ পান আইপিএলে। মূলত মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবেই দলে অন্তুর্ভুক্ত হন তিনি। তবে দলের প্রয়োজনে এখন তিনি ফিনিশারের রোলই প্লে করেন।

মূলত ৬-৭ এ ব্যাট করে দ্রুত ২০-৩০ রান করাটাই তাঁর ভূমিকা। ২০১৯ আইপিএলে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে একটি ম্যাচে ব্যাট হাতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি।

মাত্র ১৭ বছরে আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি সবসময়ই তুলনামূলক বড়দের সাথে খেলি। আমি মাত্র ১৪ বছর বয়সে অনুর্ধব-১৬ দলে খেলা শুরু করি। অনুর্ধব-১৯ খেলি ১৬ বছর বয়সে। তাই মানিয়ে নিতে আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। বরং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বড় সব তারকাদের সাথে খেলতে পারায় আমি আনন্দিত।’

এবছর আইপিএলেও রাজস্থানের হয়ে খেলছেনতিনি। তবে অনুশীলনে তাঁর বোলিং করার ব্যাপরটাও বেড়িয়ে আসে। তাই রাজস্থানের হয়ে এখন প্রায়শই বল করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে ব্যতিক্রমী বোলিং অ্যাকশনের কারণে ইতিমধ্যেই বেশ আলোচিত ও সমালোচিত তিনি। তবে রিয়ান পরাগ একজন ক্রিকেটীয় প্যাকেজ। ভালো ব্যাটিং করতে জানেন, দলের প্রয়োজনে স্পিন বোলিং ও করেন এবং ফিল্ডার হিসেবেও অসাধারণ তিনি।

আগে মিডল অর্ডারে ব্যাট করলেও এখন ৬-৭ এর জন্যই নিজেকে প্রস্তুত করছেন তিনি। সম্প্রতি ভারতের অনেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকেই এই রোল প্লে করতে দেখা গিয়েছে।

এই বিষয়ে পরাগ বলেন, ‘আমি অনেক বড় স্বপ্ন দেখি। হয়তো আমিও এই পজিশনে একদিন ভারতের হয়ে খেলব। জানি দলের ব্যাটিং লাইন আপে এখন ভীষণ কঠিন প্রতিযোগিতা। তবে এটাও তো সত্য গত কয়েকমাসে প্রায় ৮-১০ জন ক্রিকেটার অভিষিক্ত হয়েছেন। আমারও যেকোনো সময় সুযোগ আসতে পারে। তবে কারো সাথে প্রতিযোগিতা করে আমি নিজের খেলায় বেশি মনযোগ দিতে চাই।’

তবে তরুণ এই প্রতিভার সামনে এখনো লম্বা সময় আছে। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই রাজস্থানের হয়ে অসাধারণ পারফর্ম করছেন তিনি। তাছাড়া আইপিএলও ক্রিকেটার তৈরির কারখানা। পরাগের স্কিল নিশ্চই আছে। এখন শুধু ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করা আর নিজেকে বড় মঞ্চের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত করা। আর এই ফিনিশিং দেয়ার কাজ আইপিএলের চেয়ে ভালো কেই বা করতে পারে!

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...