কঠিন সমীকরণের সামনে রাজস্থান

শেষ চার প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছেন চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লী ক্যাপিটালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। শেষ ম্যাচে জিতলেও প্লে অফের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গেছে হায়দ্রাবাদ। এছাড়া আর বাকি চার দলেরই সুযোগ রয়েছে প্লে অফ নিশ্চিত করার। প্রতিটা দলই দশ ম্যাচ খেলে চারটি করে জয় পেয়েছে।

আগের ম্যাচে হেরে প্লে অফের সমীকরণ কঠিন করে তোলার পর নিজেদের দশম ম্যাচেও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে রাজস্থান রয়্যালস। আজকের ম্যাচে হারার ফলে শেষ চারে যেতে পরের সব গুলো ম্যাচে নিজেদের জয়ের পাশাপশি অন্য দলের ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে মুস্তাফিজুর রহমানদের।

শেষ চার প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছেন চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লী ক্যাপিটালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। শেষ ম্যাচে জিতলেও প্লে অফের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গেছে হায়দ্রাবাদ। এছাড়া আর বাকি চার দলেরই সুযোগ রয়েছে প্লে অফ নিশ্চিত করার। প্রতিটা দলই দশ ম্যাচ খেলে চারটি করে জয় পেয়েছে।

শেষ চারের দৌড়ে এগিয়ে যেতে অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনের ৫৭ বলে ৮২ রানের দারুণ এক ইনিংসে ভর করে লড়াই করার জন্য ১৬৫ রানের পুঁজি পেয়েছিল রাজস্থান। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতায় হারতে হয়েছে তাদের। ৩.৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।

১৬৫ রান তাড়া করতে নামা হায়দ্রাবাদকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও জেসন রয়। উদ্বোধনী জুটিতেই দুই ওপেনার সংগ্রহ করেন ৫৭ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে মহিপাল লোমররের বলে সাহা স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়লে ভাঙে এই জুটি। ১১ বলে ১৮ রান করে সাহা ফিরে গেলেও থেমে থাকেনি হায়দ্রাবাদের রানের গতি।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কেন উইলিয়ামসন ও রয়ের ৫৭ রানের জুটিতে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় হায়দ্রাবাদ। ৪২ বলে ৬০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে রয় আউট হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি। রয় বিদায় নেওয়ার পর উইকেটে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি প্রিয়াম গার্গ। মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান তিনি।

তবে ১১৯ রানে ৩ উইকেট হারালেও জয় পেতে সমস্য হয়নি হায়দ্রাবাদের। চতুর্থ উইকেটে অভিষেক শর্মা ও উইলিয়ামসনের ৪৮ রানের জুটিতে জয় নিশ্চিত করে হায়দ্রাবাদ। শর্মা ২১ রান করে এবং উইলিয়ামসন ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। রাজস্থানের বোলারদের ভিতর একটি করে উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, চেতন সাকারিয়া ও মাহিপাল লোমরর।

এর আগে টসে জিতে প্রথম ব্যাট করতে নামা রাজস্থানের শুরুটাই ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ভূবনেশ্বর কুমারের শর্ট বল ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এভিন লুইস। দলীয় ১১ রানে ৪ বলে ৬ রান করে লুইস ফিরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জয়স্বী জয়সওয়ালকে সাথে নিয়ে ৫৫ রান যোগ করেন সাঞ্জু স্যামসন।

২৩ বলে ৩৬ রান করা জয়সওয়ালকে ফিরিয়ে দিয়ে এই জুটি ভাঙেন সন্দীপ শর্মা। এরপর রশিদ খান লিয়াম লিভিংস্টোনকে ফিরিয়ে দিলে ৭৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রাজস্থান। ৬ বলে ৪ রান আসে লিভিংস্টোনের ব্যাট থেকে। দ্রুত উইকেট হারালেও রানের গতি থেমে থাকেনি রাজস্থানের। চতুর্থ উইকেটে মহিপাল লোমররকে নিয়ে ৫৫ বলে ৪৪ রান যোগ করেন স্যামসন।

এই জুটিতেই লড়াই করার পুঁজি পায় রাজস্থান। শেষ ওভারে ৫৭ বলে ৮২ রান করে স্যামসন আউট হলেও ২৮ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন লোমরর। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে রাজস্থান। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বোলারদের ভিতর দুটি উইকেট শিকার করেন সিদ্ধার্থ কৌউল। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন রশিদ খান, ভূবনেশ্বর কুমার ও সন্দীপ শর্মা।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

রাজস্থান রয়্যালস: ১৬৪/৫ (ওভার: ২০; লুইস- ৬, জয়সওয়াল- ৩৬, স্যামসন- ৮২, লোমরর- ২৯*, লিভিংস্টোন- ৪, পরাগ- ০) ( সিদ্ধার্থ- ৪-০-৩৬-২, রশিদ- ৪-০-৩১-১)

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ: ১৬৭/৩ (ওভার: ১৮.৩; রয়- ৬০, সাহা- ১৮, উইলিয়ামসন- ৫১*, শর্মা- ২১*) (সাকারিয়া- ৪-০-৩০-১, মুস্তাফিজুর- ৩.৩-০-২৬-১)

ফলাফল: সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ৭ উইকেটে জয়ী।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...