তাসকিন আছেন, তাসকিন নেই!

ইনডোরের নেটে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে পুরো হৃদমে বোলিং করে গেলেন তাসকিন। প্রথমে তাঁর বল মোকাবেলা করছিলেন শান্ত। কয়েকটি বল শান্ত বেশ ভালো ভাবেই খেলছেন। তবে তাসকিনের অধিকাংশ বলেই যেন অগ্নি ঝড়ছিল। গুড লেন্থে দ্রুত গতির বল গুলোর প্রায় প্রতিটিই শান্তর শরীরের দিকে ছুটে যাচ্ছিল। অর্থাৎ তাসকিন যে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন সেটা আজ সকালে নেটে আরেকবার টের পেলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।

ইনডোরের নেটে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে পুরো রিদমে বোলিং করে গেলেন তাসকিন। প্রথমে তাঁর বল মোকাবেলা করছিলেন শান্ত। কয়েকটি বল শান্ত বেশ ভালো ভাবেই খেলছেন। তবে তাসকিনের অধিকাংশ বলেই যেন আগুন ঝড়ছিল। গুড লেন্থে দ্রুত গতির বল গুলোর প্রায় প্রতিটিই শান্তর শরীরের দিকে ছুটে যাচ্ছিল। অর্থাৎ তাসকিন যে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন সেটা আজ সকালে নেটে আরেকবার টের পেলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।

তাসকিন এই ফর্ম অবশ্য বয়ে চলেছেন এই বছরের শুরু থেকেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লাকেল্লেতে চার বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে আগুন ঝড়িয়েছিলেন। তাসকিনের বলে গতিটা আগে থেকেই ছিল। তবে এবার বোলিং নিয়ন্ত্রণে এক অন্য তাসকিনকে দেখা গেল। এরপর এবছর ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি সব ফরম্যাটেই দারুণ বোলিং করেছেন। পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তবে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে অনেক বেশি ম্যাচ খেলা হচ্ছিল তাসকিনের। একেবারেই বিশ্রাম পাচ্ছিলেন না। বিশ্বকাপ থেকে এসেই পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেন। অবশ্য প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হেরে যাওয়ার পর তাসকিনকে তৃতীয় ম্যাচে চাইলেই বিশ্রাম দেয়া যেত। কেননা এরপরই পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ছিল। আবার আগামী মাসেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আছে টেস্ট সিরিজ।

তবুও তৃতীয় ম্যাচে তাসকিনকে খেলানো হলো। এবং যে ভয়টা ছিল ঠিক সেটাই হলো। তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে হাতের ইনিজুরিতে পড়লেন। সে কারণে ছিটকে গেলেন চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে। তাসকিনকে না পাওয়ায় চট্টগ্রামে টেস্ট অধিনায়কের মুখে বেশ আক্ষেপও শোনা যায়। তবে এখন ধীরে ধীরে খেলার উপযোগী হয়ে উঠছেন তাসকিন।

আজ বোলিং করেছেন পুরো রিদমে। যদিও হাতে এখনো ব্যান্ডেজ করা ছিল। জানা যায় তাঁর ঘা টা পুরোপুরি শুকায়ও নি। তবুও আজ নেটে যেভাবে বোলিং করেছেন তা অতি মাত্রায় প্রশংসনীয়। তাসকিনের এমন বোলিং দাড়িয়ে দেখেছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুলও। ফলে এমন ফর্মে থাকা বোলারকে নিশ্চয়ই একাদশে পেতে চাইবেন তিনি।

তাসকিনের ফর্ম নিয়ে কারো মনেই কোন সন্দেহ নেই। তবে তাঁর হাতের কী অবস্থা সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে বড় চিন্তার কারণ। ফলে তাসকিন আদৌ ঢাকা টেস্ট খেলতে পারবেন কিনা সেটা নিয়েও আছে সংশয়। তবে আজ সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক জানিয়েছেন তাসকিনের জন্য তাঁরা ম্যাচের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি আছেন।

তাসকিনকে কালকে মাঠে নামানোর ব্যাপারে মুমিনুল বলেন, `আজ নেটে ও(তাসকিন) দারুণ বল করছিল। দেখে বোঝার উপায় নেই ইনজুরি আছে। তবুও আমরা এখনো নিশ্চিত নই কালকে তাঁকে পাওয়া যাবে কিনা। তবে আমরা সকালে আরেকবার দেখব। তখন যদি মনে হয় খেলতে পারবে তাহলে অবশ্যই খেলবে।’

তাসকিন খেললে অবশ্য কপাল পুড়বে চট্টগ্রাম টেস্টের দুই পেসাহ আবু জায়েদ রাহি ও এবাদত হোসেনের। ঢাকা টেস্টে খুব সম্ভবত এক পেসার নিয়ে খেলার পরিকল্পনাই করছে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে তাসকিন ফিট থাকলে তিনি অটোম্যাটিক চয়েজ। যদিও চট্টগ্রাম টেস্টে ভালো একটা স্পেল করেছিলেন এবাদত।

যতটুকু জানা যায় এই টেস্টেও আট ব্যাটসম্যান ও চার বোলার নিয়েই খেলবে বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্টে অবশ্য একাদশে যুক্ত হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। সেক্ষেত্রে সাকিবের সাথে মিরাজ ও তাইজুল স্পিন ডিপার্টমেন্ট সামলাবেন। আর নতুন বলে ঝড় তোলার দায়িত্বে থাকবেন তাসকিন আহমেদ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...