দুর্ভাগাদের এক রানের আক্ষেপ

অনেকে ৯৯ রানেও আউট হয়েছেন। তবে টেস্ট ক্রিকেটে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকেও ইনিংস শেষ করতে হয়েছে এমন দুর্ভাগা ব্যাটসম্যান মাত্র ছয় জন। ক্রিকেটের দুর্ভাগা সেসব ব্যাটসম্যানদের নিয়েই এবারের আয়োজন।

এই তালিকাটি দুর্ভাগ্যের। তবে এই তালিকায় নাম আছে ক্রিকেটের কিংবদন্তি সব ব্যাটসম্যানদেরও।  ক্রিকেটে ইতিহাসে অনেক ব্যাটসম্যানই নার্ভাস নাইনটিজে উইকেট দিয়ে এসেছেন।

অনেকে ৯৯ রানেও আউট হয়েছেন। তবে টেস্ট ক্রিকেটে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকেও ইনিংস শেষ করতে হয়েছে এমন দুর্ভাগা ব্যাটসম্যান মাত্র ছয় জন। ক্রিকেটের দুর্ভাগা সেসব ব্যাটসম্যানদের নিয়েই এবারের আয়োজন।

  • জিওফ্রে বয়কট (ইংল্যান্ড)

১৯৭৯ সালে সেই টেস্টে ৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কিম হাগেস। পঞ্চম দিনে ৩৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে একাই এক প্রান্ত সামলে রেখে ব্যাট করে যাচ্ছিলেন বয়কট। তবে অন্যপ্রান্তে একের পর এক উইকেটের পতন ঘটছিল।

বয়কট যখন ৯৯ রানে ব্যাট করছেন তখন ইংল্যান্ডের ইতিমধ্যে ৯ উইকেট পড়ে গিয়েছে। এগারো নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন বব উইলিস। তবে বয়কটকে স্ট্রাইক দেয়ার আগেই আউট হয়ে যান তিনি। ফলে ২৫৮ বলে ৯৯ রান করেই অপরাজিত থাকেন জিওফ্রে বয়কট।

  • স্টিভ ওয়াহ (অস্ট্রেলিয়া)

১৯৯৫ সালে আবারো একটি অ্যাশেজ টেস্টে এই ঘটনার সাক্ষী হয় ক্রিকেট বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়ার যখন ৯ উইকেট পড়ে যায় তখনো ৯৯ রানে অপরাজিত স্টিভ ওয়াহ। তাঁর সেঞ্চুরি করার আগেই অল আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ফলে ১৮৩ বলে ৯৯ রানের ইনিংস খেলেই অপরাজিত থাকেন স্টিভ। তবে জিওফ্রে বয়কট ম্যাচ হারলেও জিতেছিল স্টিভ ওয়াহর দল। সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসেও ৮০ রান করে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছিলেন তিনি।

  • অ্যালেক্স টিউডর (ইংল্যান্ড)

১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৯ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেছিলেন টুডোর। ২০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। তিন নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাট করতে নামেন তিনি। তিনি যখন ৯৫ রানে অপরাজিত তখন ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন আর মাত্র দুই রান।

তারপর চার মেরে দলকে জেতালে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেন তিনি। তবে এটিই ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস। ১১৯ বলে ৯৯ রানের সেই ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ও হয়েছিলেন তিনি।

  • শন পোলক (দক্ষিণ আফ্রিকা)

২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ইনিংস খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অধিনায়ক। ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মার্ক বাউচারের সাথে ১৩২ রানের জুটি গড়েন তিনি। তারপর দশম উইকেট জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন পোলক ও নিতনি। তবে পোলক ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা অবস্থাতেই অল আউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ব্যাট-বলে দারুন পারফর্মেন্সের জন্য সেই ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছিলেন শন পোলক।

  • অ্যান্ড্রু হল (দক্ষিণ আফ্রিকা)

২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক টেস্ট ম্যাচে ৯৯ রানে অপরাজিত এক ইনিংস খেকে অ্যান্ড্রু হল। এর এক বছর আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক ক্রিকেটার শন পোলকের সাথেও ঘটেছিল একই কান্ড। হল ব্যাট করতে নেমেছিলেন আট নম্বর পজিশনে। ৮৭ বলে ৯৯ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন তিনি। এটিই এই তালিকার দ্রুততম ৯৯ রানের ইনিংস।

  • মিসবাহ উল হক (পাকিস্তান)

এই তালিকার সর্বেশেষ সংযোজন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান মিসবাহ উল হক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৭ সালে ২২৩ বলে ৯৯ রানের এক ইনিংস খেলেন মিসবাহ। শন পোলকের পর তালিকার দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে এই দুর্ভাগ্যের স্বীকার হন তিনি। তিনি ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা অবস্থাতেই ৪০৭ রানে অল আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। তবে ইয়াসির শাহ’র অসাধারণ বোলিং পারফর্মেন্সে সেই ম্যাচে জয় পায় পাকিস্তান।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...