টানা চার জয় দিয়ে এবারের বিপিএলে রীতিমত উড়ন্ত শুরু করেছিল খুলনা টাইগার্স। তবে এরপর থেকেই যেন পরাজয়ের বৃত্তে বন্দী দলটা। টানা ৫ হারে এখন সেরা চারের দৌড় থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় এনামুল হক বিজয়ের দল।
সিলেট পর্ব থেকে যে ভাগ্য বিপর্যয়ের শুরু হয়েছিল, সেখান থেকে ঢাকা পেরিয়ে চট্টগ্রামে এসেও নিজেদের ভাগ্যবদল করতে পারল না খুলনা টাইগার্স। নিজেদের নবম ম্যাচে এসে এবার তারা হেরেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে, ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
স্কোরবোর্ডে যদিও ১৬৪ রানে লড়াকু সংগ্রহ জমা করেছিল খুলনা। তবে আগের ম্যাচে ২৩৯ রান তোলা কুমিল্লার কাছে এ রানও এ দিন যেন হয়ে উঠেছিল মামুলি একটা লক্ষ্য। তাওহীদ হৃদয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তাঁরা লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মাত্র ১৬.৩ ওভারেই।
চট্রগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এ দিন টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল খুলনা টাইগার্স। শুরুটা অবশ্য মন্দ হয়নি। অ্যালেক্স হেলসের আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরুরই আভাস পেয়েছিল খুলনা। তবে এ এ দিন ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন ইংলিশ এ ব্যাটার। ম্যাথু ফোর্ডের বলে বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ২২ রানে ফিরে যান তিনি।
এ দিকে আরেক ওপেনার আফিফ হোসেন ধ্রুব মন্থর গতিতে ইনিংস শুরু করলেও পরবর্তীতে রানগতি বাড়াতে পারেননি। ৩৩ বলে ২৯ রান করে ফেরেন তিনি। খুলনার ইনিংসে মূলত কেউ বড় রানের দেখা পাননি। তবে ওপেনিং থেকে চারে নামা এভিন লুইসের ৩৬, জয়ের ২৮ আর শেষ দিকে ওয়াইন পার্নেলের ২০ রানের ক্যামিওতে ১৬৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় খুলনা টাইগার্স।
১৬৫ রানের জবাবে শুরুতে লিটন দাসের উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লে-র পূর্ণ ফায়দা তুলে নিয়ে দারুণ একটা শুরু এনে দেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান উইল জ্যাকস। তবে ইংলিশ এ ব্যাটারের দারুণ শুরুর সেই ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে ১৮ রানেই। তাতে অবশ্য কুমিল্লার রানগতি থামতে দেননি তাওহীদ হৃদয়। রানের চাকা সচল রেখে পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারেই কুমিল্লাকে এনে দেন ৬০ রানের পুঁজি।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা জয়ের আভাস পেতে শুরু করে তখন থেকেই। তবে তাওহীদ হৃদয় যেন চোখ রেখেছিলেন আয়েশি জয়ের দিকে। ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেওয়ার পর খুলনার বোলারদের উপর রীতিমত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিলেন এ ব্যাটার। মাত্র ৪৭ বলে অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস খেলার পথে হাঁকান ৭ চার ও ৭ টা ছক্কা।
আর তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ৪০ রানের ইনিংসে দারুণ অবদান রেখেছিলেন জাকের আলী অনিকও। এ দুই ব্যাটারের ৮৪ রানের জুটিতেই বল হাতে রেখে সহজ জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
এ জয়ের ফলে সেরা চারের দৌড়ে নিজেদের জায়গা আরো শক্তপোক্ত করলো লিটনের দল। অন্যদিকে টানা ৪ জয় দিয়ে শুরু করে এরপর টানা ৫ হারে এখন সেরা চার থেকেই ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কায় পড়ে গেল খুলনা টাইগার্স।