বাংলাদেশই সিরিজে ফেবারিট

তারুণ্য নির্ভর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে খুব পিছিয়ে রাখছেন না সিমন্স। তিনি জানিয়েছেন উৎসাহ ও জয়ের ক্ষুধা অভিজ্ঞতাকে পরাস্ত করতে পারে। ক্যারিবিয়ান কোচ বলেন, 'অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু কিছু কিছু সময় উৎসাহ এবং জয়ের ক্ষুধা অভিজ্ঞতাকে পরাস্ত করে। আমাদের কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছে।’

তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে ওয়েস্ট  ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের মাটিতে ক্যারিবিয়ানদের সাম্প্রতিক রেকর্ড খুব একট ভালো নয়। এরপর করোনা ইস্যুতে সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা। বাধ্য হয়েই বাংলাদেশ সফরে অনভিজ্ঞ দল পাঠিয়েছে সফরকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে সিরিজে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স।

শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা না আসার কারণেই বাংলাদেশকে ফেভারিট মানছেন না সিমন্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ জানিয়েছেন ঘরের মাঠে ভালো খেলার কারণেও এগিয়ে থাকবে টাইগাররা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্পষ্ট ফেভারিট, কারণ তারা ঘরের মাঠে ভালো খেলে। আমরা এটির সাথে দ্বিমত পোষণ করতে পারি না।’

তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ানডে স্কোয়াডের ৯ জন ক্রিকেটার এবং টেস্ট স্কোয়াডের ৪ জন ক্রিকেটার রয়েছে অভিষেকের অপেক্ষায়। অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের থেকে অনেক পিছিয়ে ক্যারিবিয়ানরা।

গত কয়েকটা সিরিজ ধরেই জৈব সুরক্ষা বলয়ের ভিতর ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। দীর্ঘ দিন বায়ো বাবলে থাকার ধকল ও করোনার ভয়ে এই সিরিজ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, সহ-অধিনায়ক রস্টন চেজ, শাই হোপ, কাইরন পোলার্ড, শামার ব্রুকস, শেলডন কটরেল, এভিন লুইস, শিমরন হেটমায়ার, নিকোলস পুরান, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও শেন ডওরিচ।

তবে তারুণ্য নির্ভর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে খুব পিছিয়ে রাখছেন না সিমন্স। তিনি জানিয়েছেন উৎসাহ ও জয়ের ক্ষুধা অভিজ্ঞতাকে পরাস্ত করতে পারে। ক্যারিবিয়ান কোচ বলেন, ‘অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু কিছু কিছু সময় উৎসাহ এবং জয়ের ক্ষুধা অভিজ্ঞতাকে পরাস্ত করে। আমাদের কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছে।’

এর আগে বাংলাদেশে স্পোর্টিং উইকেটে খেলে গিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারও স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হবে বলে আশাবাদী সিমন্স। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ভিন্ন দল নিয়ে এর আগেও এসেছি। আমরা এখানে ভালো ওয়ানডে পিচ পেয়েছিলাম। আমরা এই সিরিজেও ভালো পিচ আশা করছি।’

২০ জানুয়ারি ১ম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। ২২ জানুয়ারি ২য় ওয়ানডে ও ২৫ জানুয়ারি ৩য় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দুই ম্যাচ হোম অফ ক্রিকেট শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে জহুর আহম্মেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামে। সিরিজের সব গুলো ম্যাচই পরিবর্তিত সময় অনুযায়ী শুরু হবে ১১.৩০ মিনিটে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে ১ম টেস্ট ও ১১ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে ২য় টেস্ট শুরু হবে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...