জয়ের ব্যবধানটা ১৭৯। যা রানের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। মিরপুর সাম্রাজ্যে আরও একবার নিজেদের আধিপত্য দেখাল ঘরের ছেলেরা।
টসে জিতে বাংলাদেশ নিল ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। সূচনাটা হলো একেবারেই স্বপ্নের মতো। সাইফ হাসান আর সৌম্য সরকারের ব্যাট শুরু থেকেই চলল ভিন্ন মেজাজে। ওপেনিং জুটি থেকেই এলো ১৭৬ রান, যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উদ্ভোধনি জুটি।
দুজনেরই সুযোগ ছিল সেঞ্চুরি করার। তবে ভাগ্যের খেলায় হেরে গেলেন তাঁরা। ৭২ বলে ৮০ রান করে ফিরলেন সাইফ, কিছুক্ষণ পরেই সৌম্যও হাঁটলেন একই পথে, তাঁর ব্যাট থেকে এলো ৯১ রানের এক আক্ষেপে মোড়া ইনিংস।

তাঁরা ফিরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের রানের চাকাও ক্রমশ গতি, ছন্দ দুটোই হারাল। তাওহীদ হৃদয় যার মূল হোতা। ৬৩ স্ট্রাইকে রেটে করেন ২৮ রান, ওটাই একপ্রকার নষ্ট করে মোমেন্টাম। নাজমুল হোসেন শান্তও মাঝের সময়ে খোলস ছেড়ে বেরোতে পারেননি। যদিও ৪৪ রান করেছেন, তবে তার অনেকটা কৃতিত্ব ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডারদের।
যে রান অনায়াসে ৩২০-এর উপরে থাকতে পারত মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায়, শেষ পর্যন্ত তা দাঁড়ায় ২৯৬ রানে। ওত ভালো ওপেনিং জুটির পর স্কোরকার্ডে এই রানটা বড্ড দৃষ্টিকটু লাগে।
২৯৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা চেজ করে জিততে হলে আজও বিশেষ কিছু করা লাগতো। তবে নাসুম আহমেদ সে সুযোগ আর দিলেন না। টপ অর্ডার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আগেই তা গোড়া থেকে ছেটে ফেললেন তিনি।

এরপর তানভীর আহমেদ এবং রিশাদ হোসেন যোগ দিলেন উইকেট তোলার মিশনে। মিরপুরের দুর্গে নাসুম-রিশাদদের ঘুর্নির সামনে টাল সামলাতে না পেরে একে একে আত্মাহুতী দিলেন ক্যারিবীয় ব্যাটাররা, গুটিয়ে গেল ১১৭ রানে। বাংলাদেশ জয় পেল ১৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে।
গত ম্যাচে সুপার ওভারে পরাজয়ের হিসাবটা সুদে আসলে উইন্ডিজকে ফিরিয়ে দিল বাংলাদেশ। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ পকেটে পুরে নিল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ঘরের মাঠে দেখিয়ে দিল নিজেদের শক্তিমত্তা, ক্যারিবীয়ানদের বুঝিয়ে মিরপুর দুর্গে বাংলাদেশই সেরা।











