ভাল খেলেও পরাজিতদের দলে

আগে ব্যাট করে যাঁরা অন্তত নিজের ক্যারিয়ারে হারা ম্যাচে ১০০০ রান করেছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল গড় হলো রোহিত শর্মার। তিনি প্রায় ৪৩ গড় নিয়ে সবার উপরে। এখানে যেহেতু হারা ম্যাচ নিয়ে চর্চা হচ্ছে, আর হারা ম্যাচে সাধারণত নট আউট এর সংখ্যা কমই হয় তাই এখানে গড় নেওয়া হলো, রান পার ইনিংসের সাথে বিশেষ পার্থক্য না থাকায়।

একটা কথা শুরুতেই বলা উচিত, যে স্ট্যাট হলো নীরস পরিসংখ্যান। আপনি কিভাবে সেটাকে ইন্টারপ্রিট করছেন তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। যেমন দেখা গেলো কেউ হারা ম্যাচে ওভার-অল ক্যারিয়ারে বেশ ভালো পারফর্ম করেছেন। এ থেকে আপনি সিদ্ধান্তে আসতে পারেন –

  • সেই খেলোয়াড় ভাল খেললেই দল হেরে যায়
  • সেই খেলোয়াড় দলের দু:সময়ে যখন বাকিরা ব্যর্থ হয় তখন একাই রুখে দাঁড়ান
  • জয় হার নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে সেই খেলোয়াড় নিজের মতো খেলে যান.. ইত্যাদি ইত্যাদি… এবারে আমি শুধু ডেটা দিয়ে দিচ্ছি, সিদ্ধান্ত আপনার

আগে ব্যাট করে যাঁরা অন্তত নিজের ক্যারিয়ারে হারা ম্যাচে ১০০০ রান করেছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল গড় হলো রোহিত শর্মার। তিনি প্রায় ৪৩ গড় নিয়ে সবার উপরে। এখানে যেহেতু হারা ম্যাচ নিয়ে চর্চা হচ্ছে, আর হারা ম্যাচে সাধারণত নট আউট এর সংখ্যা কমই হয় তাই এখানে গড় নেওয়া হলো, রান পার ইনিংসের সাথে বিশেষ পার্থক্য না থাকায়।

এরপর আছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, তাঁর গড় ৪১.৫। এর পরে শচীন টেন্ডুলকার ও বিরাট কোহলি যাদের গড় ৩৬ ও ৩৫ এর কাছে। এই দুটি গড় তাদের কেরিয়ার গড় বা জয়ী ম্যাচে গড়ের থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। অর্থাৎ, শচীন বা কোহলি ভালো খেলতে না পারলে সেটা দলের পরাজয় ডেকে এনেছে বা পরাজয়ে প্রভাব ফেলেছে সেটা বলে দেওয়া যায়।

এরপরে আছেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ও সৌরভ গাঙ্গুলি, ৩৪ এর আশেপাশে গড় নিয়ে। সৌরভের ক্যারিয়ার গড় ৪২ এর কাছে, জয়ী ম্যাচে আরও বেশি, প্রায় ৪৭; অতএব সৌরভ ভাল না খেললেও দল কিন্তু হারের মুখ দেখেছে।

আজহারউদ্দিন এর গড় সব সময়েই ৩৫ এর আশেপাশে থাকে, অতএব দল জিতলো কি হারলো তাতে তাঁর খেলার মান একই থাকে, প্রকারান্তরে বলা যায় আজহারের ওয়ান ডে রান দলের জয় বা হারে এককভাবে তেমন অবদান রাখতে পারেনি। শেবাগের গড় ২২, অর্থাৎ আগে ব্যাট করে শেবাগের ব্যাট না চললে দলের সাফল্য কম এসেছে এটাও বলা যায়। বাকিদের ডেটা আপনারা দেখে নিতে পারবেন। যুবরাজের ও আগে ব্যাট করে হারা ম্যাচে গড় বেশ কম।

এবারে আসি রান তাড়া করে হারার ক্ষেত্রে – (এখানেও কোয়ালিফিকেশন ১০০০ ক্যারিয়ার রান )

এখানে সবার উপরে কোহলি, অর্থাৎ দল হারুক বা জিতুক, রান তাড়া করছেন মানে একটা চেষ্টা তিনি করবেনই। তবে তাঁর গড় হারা ম্যাচে ৩৭ ( জয়ী ম্যাচে ৯৩) যা অনেক কম। এরপরে আছেন শচীন, মাত্র ৩১ এর কাছে গড় নিয়ে ( যা চেস করে জয়ের ক্ষেত্রে ৫৫ এর বেশি!)। অর্থাৎ, নিজের সময়কালে শচীন রান তাড়া করে যদি খেলতে না পেরে থাকেন, তাহলে দল হারের মুখ দেখেছে। অথচ তিনি আবার বাকিদের মধ্যে দ্বিতীয়। অর্থাৎ যা একটু আধটু রান তিনিই করেছেন হারা ম্যাচেও, দ্রাবিড় এর সাথে। দ্রাবিড় এর গড় ২৯।

এরপরে কাছাকাছি আছেন ধোনি, রোহিত শর্মা, অজয় জাদেজা, সৌরভ। এদের প্রত্যেকের গড় বেশ কম। বিশেষ করে জাদেজা কে বাদ দিয়ে বাকিদের গড় জয়ী ম্যাচ বা কেরিয়ার গড়ের থেকে অনেক কম। অর্থাৎ, ধোনি, রোহিত শর্মা বা সৌরভ এঁরা চেস করে রান না পেলে দল হেরেছে। ২০-২২ গড়ের আশেপাশে আছেন আজহার, শেবাগ ও যুবরাজ।

এখানে স্ট্রাইক রেটের কথা ইচ্ছে করে উহ্য রাখলাম কেননা বিভিন্ন সময়কালে ওয়ানডে ক্রিকেটে স্ট্রাইক রেট অনেক পরিবর্তন হয়েছে; তবে চেস করে হারের ক্ষেত্রে ধোনির স্ট্রাইক রেট এবং অর্ধ শতরানের সংখ্যা একটু নজর দিতে অনুরোধ করবো; বাকিটা আপনার বিচার বুদ্ধি। সিদ্ধান্ত আপনার।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...