বেধড়ক ৫০-এর নায়ক

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের এমন ব্যাটসম্যান অনেক। তবে লাল বলের ক্রিকেটে তেমন কেউ নেই। অনেকসময় দেখা যায় ব্যাটিং অর্ডার ভেঙে পড়ে। তখন দ্রুত ৫০-৬০ রানের একটা ইনিংস দলকে বাড়তি প্রেরণা দিতে পারে। এই ইনিংসগুলো দলের জন্য খুব কার্যকরও হয়।

টেস্ট ক্রিকেটকে আমরা বলি ধৈর্য্যের পরীক্ষা। উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকাই এখানে ব্যাটসম্যানদের একমাত্র লক্ষ্য। তবে কথাটা সবসময় সত্য নয়। টেস্ট ক্রিকেটেও কখনো কখনো আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে হয় ব্যাটসম্যানদের। বিশেষ করে দল চাপে পড়লে দ্রুত কিছু রান করে দিতে এমন ব্যাটসম্যানের প্রয়োজন হয়।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের এমন ব্যাটসম্যান অনেক। তবে লাল বলের ক্রিকেটে তেমন কেউ নেই। অনেকসময় দেখা যায় ব্যাটিং অর্ডার ভেঙে পড়ে। তখন দ্রুত ৫০-৬০ রানের একটা ইনিংস দলকে বাড়তি প্রেরণা দিতে পারে। এই ইনিংসগুলো দলের জন্য খুব কার্যকরও হয়।

দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরিতে ভারতের সেরা পাঁচে আছেন মাত্র তিনজন। এরমধ্যে একজনই আছেন তিনবার। তাঁদের নিয়েই এবারের আয়োজন আমাদের।

  • কপিল দেব

ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন কপিল দেব। ভারতের এই বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক লোয়ার মিডল অর্ডারে ভালো স্ট্রাইকরেটে অনেক হাফ সেঞ্চুরিই করেছেন। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক টেস্ট ম্যাচে করেছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি।

১৯৮২ সালে লর্ডসের সেই টেস্টে মাত্র ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। ৫৫ বলের সেই ইনিংসটিতে ১৬১ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন ৮৯ রান। কপিল দেবের সেই ইনিংসটিতে ছিল ৩টি ছয় ও ১৩ টি চার।

  • কপিল দেব

এই তালিকার চতুর্থ অবস্থানেও আছেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। এবার দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি করার জন্য বেঁছে নিয়েছিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে। ১৯৭৮ সালে পাকিস্তনের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের কথা। করাচিতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবারো ৩৩ বলে ৫০ রান ছুঁয়ে ফেলেন কপিল দেব। তাঁর এই ইনিংসে ভালো একটি সংগ্রহ পেয়েছিল ভারত। শেষপর্যন্ত তাঁর ইনিংসটি থামে ৫৯ রানে। সেই ইনিংসটিতে ছিল ২ টি ছয় ও ৮ টি চার।

  • বীরেন্দ্র শেবাগ

ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওপেনারের নাম বীরেন্দ্র শেবাগ। যেকোন ফরম্যাটেই তাঁর স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এর জন্য পরিচিত ছিলেন এই ওপেনার। ফলে এই তালিকায় শেবাগের নাম থাকাটাই স্বাভাবিক। শেবাগ তাঁর দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

২০০৮ সালে সেই ম্যাচে মাত্র ৩২ বলেই হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন এই ওপেনার। চেন্নাইয়ে চতুর্থ ইনিংসে ৩৮৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে এই ঐতিহাসিক ইনিংসটি খেলেছিলেন শেবাগ। ৬৮ বলে ৮৩ রানের সেই ইনিংসে ভর করেই দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছিল ভারত।

  • শার্দুল ঠাকুর

এই তালিকায় কনিষ্ঠতম সদস্যের নাম শার্দুল ঠাকুর। ভারতের এই পেসারও তাঁর ব্যাটিং প্রতিভা দেখিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই তালিকায়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এই কীর্তি গড়েন শারদুল ঠাকুর। দ্যা ওভাল টেস্টে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ ভেঙে পড়লে এই সময়োপযোগী ইনিংস খেলেন তিনি।

মাত্র ৩১ বলে তুলে নেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত তাঁর ৩৬ বলের ইনিংসটি থামে ৫৭ রানে। তাঁর এই ইনিংসে ছিল ৭ টি চার ও ৩ টি ছয়। এটি এখন ভারতের দ্বিতীয় দ্রুততম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি।

  • কপিল দেব

এই তালিকায় মোট তৃতীয় বারের মত নাম লেখালেন ভারতের এই কিংবদন্তি। তবে এতে অবাক হবারও কিছু নেই। লোয়ার্ড মিডল অর্ডারে ভারতের হয়ে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসই খেলেছিলেন এই অলরাউন্ডার। টেস্টে ভারতের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির মালিক তাই তিনিই।

আবারো পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচিতে মাত্র ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন কপিল দেব। শেষপর্যন্ত ৫৩ বলে খেলেছিলেন ৭৩ রানের ইনিংস। সেই ইনিংসটিতে ছিল ১২ টি চার ও ১ টি ছয়।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...