ক্রিকেটার ছিলেন তাঁরাও
ক্রিকেট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত বহু তারকার আবিভার্ব হয়েছে। অনেকেই শূন্য থেকে বনে গেছেন সেরা। আবার এমন অনেক বিখ্যাত মানব ক্রিকেট খেলেছেন - যারা বিশ্বব্যাপি বেশ পরিচিত। ক্রিকেট দিয়ে নয়, বরং অন্য কোনো ক্ষেত্রে বিস্তর সাফল্য পেয়েছেন কিংবা আলোচিত হয়েছেন। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে খুব লম্বা ক্যারিয়ার গড়তে বা পারলেও অন্য পেশায় বনে গেছেন বিশ্ববিখ্যাত।
ক্রিকেট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত বহু তারকার আবিভার্ব হয়েছে। অনেকেই শূন্য থেকে বনে গেছেন সেরা। আবার এমন অনেক বিখ্যাত মানব ক্রিকেট খেলেছেন – যারা বিশ্বব্যাপি বেশ পরিচিত। ক্রিকেট দিয়ে নয়, বরং অন্য কোনো ক্ষেত্রে বিস্তর সাফল্য পেয়েছেন কিংবা আলোচিত হয়েছেন। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে খুব লম্বা ক্যারিয়ার গড়তে বা পারলেও অন্য পেশায় বনে গেছেন বিশ্ববিখ্যাত।
- স্যামুয়েল বেকেট
একমাত্র প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার হিসেবে নোবেল পুরষ্কার জেতেন আয়ারল্যান্ডের স্যামুয়েল বেকেট। ১৯২৫ ও ১৯২৬ সালে ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে দুই ম্যাচ খেলেছিলেন এই আইরিশ ক্রিকেটার। এরপর ১৯৬৯ সালে সাহিত্যে তিনি নোবেল পুরষ্কার জেতেন।
ছিলেন একজন অলরাউন্ডার; দ্বিতীয় ম্যাচেই ব্যাট ও বল হাতে ওপেন করেন। নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ম্যাচটিতে বিশাল ব্যবধাবে হেরে যায় ডাবলিন। বল হাতে ছিলেন উইকেটশূন্য, ব্যাট হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোটে ৫ রান করেন এই বাঁ-হাতি তারকা।
এরপর তিনি প্যারিসে পাড়ি জমান। প্রথমে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে তিনি সেখানে বসবাস শুরু করেন। থিয়েটার পরিচালক, কবি, সাহিত্যিক ও লেখক হিসেবেই উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ছিল বেকেটের।
- জিওফ হার্স্ট
১৯৬২ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে এসেক্সের হয়ে হার্স্ট ক্যারিয়ারে প্রথম প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেন। ওই ম্যাচে ব্যাট হাতে কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। এসেক্সের দ্বিতীয় একাদশের হয়ে বেশ দুর্দান্ত ব্যাট করেন তিনি। ২০.৪৩ গড়ে করেন ৭৯৭ রান।
একমাত্র পুরুষ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড আছে হার্স্টের নামে। এক সাক্ষাৎকারে হার্স্ট বলেছিলেন, ‘১৯৯৬ বিশ্বকাপের আগেও আমি ফুটবলের চেয়ে ক্রিকেট বেশি খেলছিলাম।’ ফুটবলে অনন্য রেকর্ডের অধিকারী হলেও ক্রিকেটের প্রতি বেশি ঝোঁক ছিল এই ইংলিশ তারকার।
- স্যার আর্থার কোনান ডয়েল
বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র শার্লক হোমসের স্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডয়েল বেশ জনপ্রিয় এক লেখক। তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও খেলেছেন বেশ কিছু সময়। মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে দশটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। কিংবদন্তি তারকা ডব্লিউ.জি গ্রেসকেও একবার আউট করেছিলেন তিনি। এ নিয়ে একটি কবিতাও লিখেন তিনি।
ক্রিকেটের প্রতি টানটা কোনানের শৈশব থেকেই ছিল। ১৪ বছর বয়স থেকেই স্কুলের মূল ক্রিকেট দলে আসার চেষ্টা করেছিলেন। পারেননি। কখনো দ্বিতীয়, কখনো তৃতীয় দলে খেলেছেন – কে জানে ক্রিকেটে পেরে গেলে হয়তো বিশ্বের অন্যতম সেরা সাহিত্যিককে আর পাওয়াই যেত না!
- নওয়াজ শরীফ
পাকিস্তান একমাত্র এশিয়ার দেশ যেখানে দুইজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ক্রিকেটার হিসেবে জনপ্রিয়তা বেশি হওয়ায় তিনি সবার জন্যই পরিচিত এক মুখ।
তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন। অবশ্য রেলওয়েসের হয়ে নিজের খেলা একমাত্র ওই ম্যাচটিতে শূন্য রানে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার।
ইমরান খান নিজের আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘সত্তরের দশকে যখন আমি নওয়াজের সাথে যখন প্রথমবার দেখা করি করি – আমার মনে হয়েছে সে রাজনীতির চেয়েও বেশি ভালবাসে। আমার মনে হয়েছিল, পাকিস্তানের অধিনায়ক হওয়া ওর স্বপ্ন ছিল।’
১৯৮৭ সালে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শরীফ। তখন পাঞ্জাবের মিনিস্টার একাদশের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লাহোরে এক প্রস্তুতি ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ভিভ রিচার্ডসের সাথে টস ও সাবেক পাকিস্তানি তারকা মুদাসসর নজরের সাথে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন তিনি।