স্মিথ-লিঁও থামাও, সিরিজ জিতে নাও

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে ফাইনালের আগেই বিদায় নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই দু:খ ভুলতেই কিনা এবারের আসরে দারুণ ধারাবাহিক প্যাট কামিন্সের দল। টেস্ট  চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে নিজেদের শেষ সিরিজ রাঙিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে এবার ভারতে আসছে অজিরা। 

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে ফাইনালের আগেই বিদায় নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই দু:খ ভুলতেই কিনা এবারের আসরে দারুণ ধারাবাহিক প্যাট কামিন্সের দল। টেস্ট  চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে নিজেদের শেষ সিরিজ রাঙিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে এবার ভারতে আসছে অজিরা। 

ঘরের মাঠে ভারত বরাবরই অপ্রতিরোধ্য। চেনা পরিচিত মাঠে ভারতকে সিরিজ হারানো এভারেস্ট জয়ের সামিল। তবে ব্যালান্সড ব্যাটিং অর্ডার, বিশ্বসেরা পেস বোলিং লাইনআপ এবং কার্যকরী স্পিন অ্যাটাকে ভারতের মাটিতে সিরিজ জিততে আত্নবিশ্বাসী সফরকারীরা। 

ঘরের মাঠে ভারত কবে টেস্ট সিরিজ হেরেছে সেটা মনে করতে খানিকটা কষ্টই হয়। এক দশকের বেশি সময় আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল তাঁরা। এরপর থেকেই ঘরের মাঠে তাঁদের একক আধিপত্য।

তবে অজিরাও হাল ছাড়ার পাত্র নয়, তাঁরাও নিজেদের মাটিতে একের পর এক সিরিজ জেতার আত্নবিশ্বাস নিয়েই আসছে। তাছাড়া অজিদের জন্য সুখবর, এই সিরিজে ঋষাভ পান্ত থাকছেন না। এক সেশনেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেবার সামর্থ্য থাকা এই কিপার ব্যাটসম্যানের অভাব ভালোই টের পাবার কথা রোহিত শর্মার দলের। 

ভারতের স্পিন সহায়ক পিচে ভালোই পরীক্ষা দিতে হবে অজি ব্যাটসম্যানদের। অজিদের এই দলে ভারতের মাটিতে ত্রিশের বেশি গড় আছে কেবল স্টিভেন স্মিথের। রবীন্দ্র জাদেজা ইনজুরি থেকে ফিরলে আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন ছন্দটা ধরে রাখতে পারলে লাবুশেন, হেড, খাজাদের রান করাটা হয়ে দাঁড়াবে বহুগুণ কষ্টের। 

স্পিন বোলিং ডিপার্ট্মেন্টও খানিকটা চিন্তার ভাঁজ ফেলবে অজি শিবিরে। দলের মূল স্পিনার সবেধন নীলমণি সেই বুড়ো ঘোড়া ন্যাথান লিঁও। তাঁর সাথে থাকা বাকি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার এবং মিচেল সোয়েপসন এখনো টেস্টে নিজেদের পায়ের তলার মাটি খুঁজে পাননি। ভারত সফর তাই তাঁদের জন্য অগ্নিপরীক্ষার সামিল।

অজিদের ডানহাতি- বাঁহাতি থিওরি এবং পিচ অনুযায়ী একাদশ নির্বাচনের দক্ষতাই সাহস জোগাচ্ছে ভালো করার। তাঁদের তিন পেসার – মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড এবং প্যাট কামিন্স আছেন দুরন্ত ফর্মে। ভারতের মাঠে তাঁদের অতীতের রেকর্ড সুখকর না হলেও এবারের সিরিজে সেই তকমা ঘুচে ফেলতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। 

অস্ট্রেলিয়ার মূল শক্তির জায়গা তাঁদের আত্নবিশ্বাস, হারার আগে হেরে যায় না এই দল। ইস্পাত দৃঢ় মানসিকতার অধিকারী অজিরা লড়ে যায় ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত। তাছাড়া স্বাগতিক হওয়ায় ভারতের উপর চাপও থাকবে বেশি। এখন দেখার বিষয় কতক্ষণ তাঁরা চাপটা ভারতের উপর বজায় রাখতে পারে।

২০০৪-০৫ মৌসুমে অজিরা ভারতের মাটিতে সিরিজ জিতেছিল দুই পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং জেসন গিলেস্পিতে ভর করে। এবারের সিরিজেও তাই পেসারদের দিকেই তাকিয়ে থাকবে দল। অন্যদিকে ভারতের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা পান্তের অনুপস্থিতি। দুই দলের মাঝে পান্ত একাই পার্থক্য গড়ে দিতে জানেন। এছাড়া তাঁর মতো করে বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে পারেন কেউই। 

সেই কারণেই রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং চেতেশ্বর পূজারার মতো অভিজ্ঞদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। তাঁরা যদি একবার নাথান লায়নকে সামলে উঠতে পারেন তাহলেই অজি বোলিং লাইনআপ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে বহুলাংশে। তবে ভারতীয় বোলারদের মূল দায়িত্ব স্টিভ স্মিথকে থামানো। যদি তাঁরা স্মিথ আর লায়নকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলতে পারে তবে সিরিজ জেতা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...