বোলার কপিল দেব কী আন্ডাররেটেড!

বোর্ড এবং নির্বাচকরা কপিল দেবকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কপিলের প্রতি আরো যত্নশীল হওয়া উচিত ছিল বিসিসিআইয়ের। তাকে প্রয়োজনীয় ম্যাচগুলোর জন্য তরতাজা এবং সতেজ রাখতে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ এবং ছোট দলের বিপক্ষে ম্যাচগুলোতে বিশ্রাম দেয়া উচিত ছিল। ১৯৮৬ সালে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কপিল পুরোপুরি ফিট ছিলেন না। তথাপি তাঁকে খেলতে হয়েছিল। তিনি ৪৫ ওভার বল করেন এবং পুরো সিরিজজুড়ে উইকেটশূন্য থাকেন।

ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেসার কপিল দেব। কপিল দেব যখন বিশ্ব ক্রিকেটে পা রাখেন সে সময়টাতে বিশ্বক্রিকেটে রাজত্ব করছেন দূর্ধর্ষ সব ফাস্ট বোলাররা। ডেনিস লিলি, বব উইলিস, স্যার ইয়ান বোথাম, ইমরান খান, স্যার রিচার্ড হ্যাডলিরা তখনো মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

ক্যারিবিয়ানের সুর্য তখনো পুরোপুরি অস্তমিত হয়নি; ম্যালকম মার্শাল, অ্যান্ডি রবার্টস, মাইকেল হোল্ডিং, জোয়েল গার্নাররা তখন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের রাতের ঘুম হারাম করছেন নিয়মিতই। পেসারদের এই স্বর্ণযুগেই আগমন ঘটে কপিল দেবের। বাঘা বাঘা সব পেসার থাকলেও নিজের জাত চেনাতে মোটেও সময় নেননি কপিল।

অভিষেকের দুই বছরের মাঝেই উঠে আসেন আইসিসি বোলিং র‍্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে। মাত্র এক বছর তিন মাসে ইতিহাসের দ্রুততম বোলার হিসেবে টেস্টে একশ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছেন তিনি। স্যার ইয়ান বোথামের পর তার বোলিং গড়ই ছিল দ্বিতীয় সেরা।

মাত্র পঞ্চাশ টেস্টে তিনি ছুঁয়েছিলেন দুইশ উইকেটের ল্যান্ডমার্ক। যেভাবে শুরু করেছিলেন তাতে অনুমেয় ছিল পরবর্তী ছয়-সাত বছরেই সর্বকালের সেরা উইকেটশিকারি হবেন তিনি। কিন্তু মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক, কপিলের পারফরমেন্স গ্রাফ নিম্নগামী হয়েছে পরের কয়েক বছরে। তিনি সেই চূঁড়ায় পৌঁছেছিলেন ঠিকই কিন্তু তাতে সময় লেগেছিল বিস্তর।

তাঁর স্ট্রাইকরেট এবং গড় দুটোতেই ধ্বস নেমেছে। ক্যারিয়ার শেষে তার নাম উচ্চারিত হয় না হ্যাডলী, লিলি, হোল্ডিংদের পাশে। তর্ক হতে পারে সেসময়ের দুর্বল ভারতীয় বোলিং অ্যাটাক কিংবা পিচের অবস্থা নিয়ে। এছাড়া ভারত সেসময় খুব বেশি টেস্টও খেলতো না। কি ভুল করেছিলেন কপিল? অমন অসাধারণ শুরুর পরও কেন পৌঁছাতে পারলেন না ইমরান, হ্যাডলী, লিলিদের কাতারে?

কপিল দেবের অসাধারণ ফিটনেস এবং স্ট্যামিনা

টানা ষোল বছরে বড় কোনো বিরতি ছাড়াই ১৩১ টেস্ট খেলেছেন কপিল দেব। কোনো ফাস্ট বোলারের জন্য এভাবে টানা খেলে যাওয়া বিরল। এছাড়া ব্যাট হাতে করেছেন পাঁচ হাজারের অধিক রান, ফিল্ডার হিসেবেও নেহাতই মন্দ নন তিনি।

উদাহরণস্বরূপ কপিলের ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগারের দিকে আলোকপাত করা যাক, ১৯৮৩ সালে আহমেদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৩ রান দিয়ে নয় উইকেট শিকার করেন তিনি। সে ম্যাচে কপিল একাই বল করেছিলেন ৩০.৩ ওভার অন্যদিকে ক্যারিবীয়দের ইনিংস স্থায়ী হয়েছিল কেবল ৬০ ওভার। একটা বিষয় স্পষ্ট যে একপ্রান্ত থেকে টানা বল করতে হয়েছে কপিলকে।

  • টানা ক্রিকেটের ক্লান্তি

যখন সবকিছু খুব ভালোভাবে চলতে থাকে বিপত্তিটা তখনই ঘটে। টানা খেলার প্রভাব পড়তে শুরু করে কপিলের পারফরমেন্সে। পাশাপাশি ভারতের স্পিননির্ভর মরা পিচে নখদন্তহীন ভারতীয় পেস বোলিংকে এক সামনে নিয়ে যাওয়ার চাপ তো ছিলই। স্যার রিচার্ড হ্যাডলিও নিউজিল্যান্ড দলে তাঁর প্রধান বোলার ছিলেন কিন্তু তিনি পেয়েছিলেন পেস বোলিংয়ের জন্য উপযুক্ত কন্ডিশন এবং পিচ।

এছাড়া তিনি কপিলের চেয়ে অনেক কম ক্রিকেট খেলেছেন। আসুন দেখে নেয়া যাক ৩০০ উইকেট পেতে প্রতিবছর দুজনের কতটি করে বল করতে হয়েছে। হ্যাডলি এবং ইমরানের সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে কপিল তাদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেশি বল করেছেন। কিন্তু টানা খেলার কারণেই কি কেবল কপিলের পারফরমেন্সে ভাটা পড়েছিলো? কম ক্রিকেট খেললে কি কপিল আরো বেশি সফল হতেন?

এই দাবিকে সমর্থন করার মতো প্রমাণ আমাদের হাতে নেই। এক দর্শনে তাই প্রথম প্রশ্নের জবাব ইতিবাচকভাবে দেওয়ার উপায় নেই। দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবও পরিসংখ্যানগতভাবে দেয়া কষ্টসাধ্য। প্রথম একশ উইকেট নেবার সময় কপিলের বোলিং গড় ছিল ২৬.৭৩। পরবর্তী একশ উইকেট নেবার পর যা বেড়ে যায় ২৯.৩৪, এটা ছিল কপিলের ক্যারিয়ার গড় ২৯.৬৫ এর কাছাকাছি। ১৯৮৩ পরবর্তী সময়ে তার বোলিং গড় ২৮ এবং ৩০ এর মাঝেই ঘুরাঘুরি করছিলো।

অন্যদিকে একশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করার সময় ইমরান এবং হ্যাডলি দুজনেরই বোলিং গড় ছিল ত্রিশের বেশি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তারা উন্নতি করেন এবং ক্যারিয়ার শেষ করেন ২৩ এর কম গড় নিয়ে। এটাই কি প্রমাণ করে না তারা দুজনেই কপিলের চেয়ে ভালো বোলার ছিলেন সেই দশকে?

  • কপিল দেবের সেরা পারফরমেন্স

আসুন দেখে নেয়া যাক ’৮০ পরবর্তী সেই দশকে কপিল দেবের সেরা পারফরমেন্সগুলোকে। ততদিনে তিনি টেস্টে একশ উইকেটের ল্যান্ডমার্ক ছাড়িয়ে গেছেন। ১৯৮১ সালে মুম্বাইতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছয় উইকেট এবং ৮৪ রান করে দলকে জেতান তিনি। ১৯৮২ সালে লর্ডসে তিনি ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ড নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন।

সেই ম্যাচে তিনি আট উইকেট নেবার পাশাপাশি ১৩০ রান করেন যার মাঝে ছিল মাত্র ৫৫ বলে ৮৯ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। ১৯৮৫ সালে অ্যাডিলেডে একাহাতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দেন কপিল, সেই ম্যাচে শিকার করেন আট উইকেট।

পরের বছর আবারো লর্ডসে সুইং বোলিংয়ের দারুণ প্রদর্শনী দেখান তিনি, ইংল্যান্ড টপ অর্ডারের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়ে ভারতকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান কপিল। একই বছরের শেষ দিকে অজিদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে খেলেন অনবদ্য এক ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করে প্রথমে ফলোঅন এবং পরে ম্যাচ ড্র করতে সক্ষম হয় ভারত। সে ম্যাচে করেছিলেন ১১৯ রান।

১৯৮৯ সালে কপিল নিজের শততম টেস্ট ম্যাচ রাঙিয়ে তোলেন আপন মহিমায়। প্রথম সাত উইকেট নিয়ে পাকিস্থানের ব্যাটিংয়ে ধ্বস নামান এবং পরবর্তীতে ব্যাট হাতে করেন দারুণ এক ফিফটি।

এই সবগুলো পারফরমেন্সের মাঝে মিল কোথায়?

সবচেয়ে অনুমেয় উত্তরটা হলো সবগুলো ম্যাচেই সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন কপিল। কিন্তু আরেকটি কাকতালীয় মিল আছে সবগুলোর মাঝে। প্রতিটি পারফরমেন্সই এসেছিল সফরের একদম প্রথম ম্যাচে। এমনকি কপিলের আটটি ম্যানসেরার পুরষ্কারের ছয়টিই এসেছে সিরিজের প্রথম ম্যাচে।

এটা কি কেবলই কাকতালীয় কোনো ঘটনা? নাকি এর মাঝেও কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে? আসুন আরেকটু গভীরে যাওয়া যাক।

  • সিরিজের প্রথম ম্যাচে কপিল দেবের অনবদ্য পারফরমেন্স

১৯৮০ সাল থেকে কপিল দেব ৩২টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলেছেন। এই ম্যাচগুলোতে ২৫.৩৮ গড়ে তার শিকার ১২১ উইকেট। একই সময়ে খেলা বাকি ৭৪ ম্যাচে ৩৩.৪৫ গড়ে তার সংগ্রহ ২১৩ উইকেট। দুটো বোলিং গড়ের মাঝে পার্থক্য প্রতি উইকেটে আট রানেরও বেশি।

অন্যদিকে ইমরান এবং হ্যাডলির বোলিং পারফরমেন্সে এত বিশাল পার্থক্য দেখা যায় সিরিজের প্রথম এবং বাকি টেস্টগুলোতে। তবে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো কপিলের সেরা পাঁচ বোলিং ফিগারের চারটিই কোনো সিরিজের প্রথম ম্যাচ ছিল না।

আসুন এই বিষয়ে কিছুটা চিন্তা করি। প্রায়ই কোনো সিরিজের শেষ এবং পরবর্তী সিরিজের শুরুর মাঝে দুই কিংবা তিন মাসের বিরতি থাকতো। তাহলে কি বিরতিগুলোই কপিলকে তরতাজা করে তুলতো যার ফলে তিনি প্রথম টেস্টগুলোতে এত দুর্দান্ত খেলতেন? পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ধীরে ধীরে কপিল ক্লান্ত হয়ে পড়তেন যার প্রভাব লক্ষ্য করা যায় তার পারফরমেন্স দেখে।

কেবল টানা খেলার ক্লান্তি নয়, তিনি ইনজুরিতেও পড়েছেন বারকয়েক। ১৯৮০ সালে শুরুর দিকে তার হাঁটুতে প্রথমবারের মতো অস্ত্রোপচার করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে তিনবার তাকে হাঁটুর ইনজুরির কারণে অস্ত্রোপচার করাতে হয়। তা সত্ত্বেও কপিল ইনজুরি কিংবা ফিটনেসজনিত সমস্যার কারণে একটি টেস্টও মিস করেননি। ভারত তাকে ছাড়া টেস্ট খেলার বিলাসিতা দেখাতে পারেনি। অথচ কপিলের সুস্থতার জন্য সেসময় বিশ্রাম প্রয়োজন ছিল।

বিশেষ করে ১৯৮৬ সালের পর থেকে কপিলের পারফমেন্সের অবনতি ঘটতে থাকে। কপিলের উইকেটের বেশিরভাগই ছিল প্রতিপক্ষ দলের টপ অর্ডার। তার উইকেটের শতকরা চল্লিশ ভাগই ছিলেন টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যান যা কিনা সমসাময়িক অন্য বোলারদের তুলনায় অনেক বেশি। এটা কি প্রমাণ করে না ম্যাচের সময় যত গড়িয়েছে কপিল তত ধার হারিয়েছেন?

তবে এটা মনে হতেই পারে নতুন বলের সুবিধা কাজে লাগিয়ে শুরুতেই কপিল দুই-তিনটি উইকেট শিকার করেছেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অপরপ্রান্ত থেকে যোগ্য সাপোর্ট না পাওয়ায় আর উইকেট পাননি। উদাহরণস্বরূপ ১৯৮২ সালের লর্ডস টেস্টের কথা বলা যায়।

প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের শুরুর চার উইকেটের সবগুলোই শিকার করেন কপিল। ইংল্যান্ডের রান তখনো ছিল দুই অংকেই। কিন্তু পরবর্তীতে ডেরেক র‍্যান্ডাল, বোথাম এবং ফিল এডমন্ডসের ব্যাটে ভর করে ৪৩৩ রানের ভালো সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।

প্রথম ইনিংসের পুনরাবৃত্তি ঘটে দ্বিতীয় ইনিংসেও। ৬৫ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। তিনটি উইকেটই নিয়েছিলেন কপিল। কিন্তু পরে আর কোনো উইকেট পড়েনি এবং ইংল্যান্ড স্বাচ্ছন্দ্যেই জিতে যায় ম্যাচটি।

  • পর্যাপ্ত টেস্ট খেলার উপকারিতা

১৯৮৬ সালের পর কপিল দেবের বল হাতে ভালো পারফরমেন্স করাটা বিরল হয়ে দাঁড়ায়। তবে ১৯৮৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ খেলেন তিনি। চার টেস্টে মাত্র ২১.৩৯ গড়ে ১৮ উইকেট শিকার করেন তিনি। তারঁ সর্বশেষ সফর ছিল ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া সফর।

সেই সফরে পাঁচ টেস্টে ২৫.৮০ গড়ে তার সংগ্রহ ছিল ২৫ উইকেট। বলে রাখা ভালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে কপিল প্রায় তিন মাসের বিশ্রাম পেয়েছিলেন। এরপর প্রায় এক বছর বিশ্রাম নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান তিনি। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এসে তার এই অনবদ্য পারফরমেন্স জানান দেয় কয়েক মাস বিশ্রাম তাকে কতটা ধারালো করে তুলেছিল।

ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসে মূলত ইনজুরি এবং মানসিক অবসাদের জন্য বিশ্রাম নিয়েছিলেন কপিল। এটা তার ক্যারিয়ারকে আরো বেশি দীর্ঘায়িত এবং সফল করেছে। ক্যারিয়ারের আরো আগে তিনি বিশ্রাম পেলে হয়তো আরো অনেক বেশি সফল হতে পারতেন।

  • ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা

কপিলের দারুণ সব পারফরমেন্স স্বীকৃতি দেয় তিনি আশির দশকের সেরা বোলারদের একজন ছিলেন। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শিক্ষাও বহন করে তার ক্যারিয়ার। অসাধারণ সব ফাস্ট বোলারের সংখ্যা এখন দিন দিন কমে যাচ্ছে, পেস বোলিং অলরাউন্ডারদের তো দেখা পাওয়াই মুশকিল। এ ধরনের ক্রিকেটারদের আরো বেশি পরিচর্যা করা প্রয়োজন।

বোর্ড এবং নির্বাচকরা কপিল দেবকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কপিলের প্রতি আরো যত্নশীল হওয়া উচিত ছিল বিসিসিআইয়ের। তাকে প্রয়োজনীয় ম্যাচগুলোর জন্য তরতাজা এবং সতেজ রাখতে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ এবং ছোট দলের বিপক্ষে ম্যাচগুলোতে বিশ্রাম দেয়া উচিত ছিল। ১৯৮৬ সালে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কপিল পুরোপুরি ফিট ছিলেন না। তথাপি তাঁকে খেলতে হয়েছিল। তিনি ৪৫ ওভার বল করেন এবং পুরো সিরিজজুড়ে উইকেটশূন্য থাকেন।

কপিল নিজেও কিছুটা দোষের অংশীদার। তার নিজের বুঝতে পারা উচিত ছিল কখন তার শরীরের বিশ্রাম দরকার। দিনশেষে তার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়েছে অতিরিক্ত ম্যাচ খেলার কারণে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলও, তবে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে ক্রিকেটেই। তাঁর মতো বোলাররা যে ক্ষণজন্মা, তার আসেন ক্রিকেটকে আপন মহিমায় রাঙিয়ে দিতে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...