নেইমারকে কেউ ভালবাসে না

নেইমারের সুবিধা হচ্ছে ভালোবাসার চাপ নেই। কেউ তাঁকে ভালোবাসে না, না ব্রাজিল পুরোপুরি ভালোবাসে, না বার্সেলোনা, না রিয়াল মাদ্রিদ, না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজিও হয়তো পুরোপুরি না।

নেইমার সবই করছে। একদম সব। শুধু গোলটা আসেনি শেষ দুই ম্যাচে। নেইমারের লেইপজিগের সাথে দুইটা ফ্রি কিক, একটা দূর থেকে অ্যাম্বিশাস ফ্রি কিক, এমন একটা ফ্রি কিক দেখেছি শেষ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর, আর্সেনালের সাথে, ম্যান ইউনাইটেডের নীল জার্সিতে, আরেকটু হিরোইক, জোরালো উদযাপন, গিগস অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল রোনালদোর সেই গোলের পর।

নেইমারের শটটা ইঞ্চি দুয়েক বামে বাকলে গোলরক্ষকের কোনো চান্স ছিল না। গোলরক্ষক ছিল ক্রসের অপেক্ষায়। নেইমার এখন এই চান্সগুলো নিচ্ছে, পিএসজি জিতুক বা না জিতুক নেইমারে আমি স্বপ্ন, আশা ও দু:সাহসের বাসা বানাই। ২১ এ কি কোপা হবে? ২২ এ কাতারে নেইমার ফিট থাকবেন? কৌটা আউট অফ দ্য বক্স থেকে কি জাদুকরি কিছু উপহার দেবে?

নেইমারের সুবিধা হচ্ছে ভালোবাসার চাপ নেই। কেউ তাঁকে ভালোবাসে না, না ব্রাজিল পুরোপুরি ভালোবাসে, না বার্সেলোনা, না রিয়াল মাদ্রিদ, না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজিও হয়তো পুরোপুরি না।

ভালোবাসা দিয়ে থোড়াই কেয়ার, নেইমার নেইমারই। ইউরোপের দুই লিগে ২৭০ ম্যাচে ১৭৫ গোল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নেইমারের ম্যাচ সংখ্যা ৫৯, এই ৫৯ ম্যাচে ৫৯টি গোলে সরাসরি জড়িত নেইমার। ৩৫টি নিজের গোল, ২৪টি অ্যাসিস্ট। শুধু পিএসজির হয়ে সংখ্যাটা ১৯ ম্যাচে ২৩ (১৪ গোল ৯ অ্যাসিস্ট)

কালকের ম্যাচ নিয়ে বলি, প্রথমে নেইমারের দুর্দান্ত সেট পিস মারকুইনহোসের দুর্দান্ত হেডার। ডি মারিয়া যে গোলটা দিলেন সেই গোলটার গাইডলাইন নেইমারের একটা ফ্লিক।

আগের ম্যাচেও তাই। একটা সরাসরি অ্যাসিস্ট, একটা গাইডলাইন টাচ আউট সাইড দ্য বক্স। নেইমারের মনে হয় এই রোলেই খেলা উচিৎ। এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা জিতে যাক, ২০১৬ এল অলিম্পিকের পরে আর নেইমারের তেমন হাসিমুখ দেখিনি। ২০১৯ এ ব্রাজিল কোপা জিতলেও ছিলো না নেইমার।

নেইমারের মনে রাখা উচিৎ, বিশ্বসেরা হতে হলে অভিযোগ, অনুরাগে চলবে না, অজুহাত, অনুযোগে চলবে না। হয় তুমি উইনার নতুবা তুমি, ২-৩-৪ বা অসীম যে কোন দূরত্বে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...