বাংলাদেশের মেসি দর্শন

শেষ পর্যন্ত তার বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটটি জালে জড়ালে তা হয়তো ঢুকে পড়ত ফুটবলের চিরন্তন রূপকথায়। সেটির স্মৃতিচারণায় বারবার উঠে আসত ঢাকা কিংবা বাংলাদেশের নামও।

আপাতত বার্সেলোনা ক্লাব ছাড়ছেন না মেসি। আরো অন্তত এক মৌসুমের জন্য তিনি থেকে যাচ্ছেন ‘প্রাণের ক্লাব’ বার্সেলোনাতেই। তবে তিনি কোথায় গেলেন বা কোথায় থাকলেন, সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।

পাঁচ সেপ্টেম্বর, আর ২০১১ সাল। এই দিনেই তিনি এসেছিলেন বাংলাদেশে। সঙ্গে ছিল পুরো আর্জেন্টিনা দল। ছয় সেপ্টেম্বর খেলেছিলেন ২৫,০০০ দর্শক ধারণ ক্ষমতার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে, নাইজেরিয়ার বিপক্ষে।

ম্যাচটি ৩-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল মেসির দল। তার নিজের পা থেকে কোনো গোল না এলেও, হিগুয়েইন ও ডি মারিয়া দু’জনের গোলেই ছিল তার অবদান। আর্জেন্টিনার অপর গোলটি ছিল আত্মঘাতি। নাইজেরিয়ার পক্ষে একমাত্র গোলটি ছিল চিনেদু ওবাসির।

গোল না পেলেও, ম্যাচের এক পর্যায়ে মেসি পৌঁছে গিয়েছিলেন তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা গোলের খুব কাছাকাছি। নাইজেরিয়ান অধিনায়ক ওবি মিকেলের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে ক্ষীপ্র গতিতে তিনি একে একে ছিটকে ফেলেছিলেন পাঁচজনকে।

শেষ পর্যন্ত তার বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটটি জালে জড়ালে তা হয়তো ঢুকে পড়ত ফুটবলের চিরন্তন রূপকথায়। সেটির স্মৃতিচারণায় বারবার উঠে আসত ঢাকা কিংবা বাংলাদেশের নামও।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...