Social Media

Light
Dark

ওয়ান ম্যান শো

ক্রিকেটকে বলা হয় টিম গেম। কোনো একটা ম্যাচ জয়ের পিছনে দলের প্রতিটা ক্রিকেটারেরই কিছু না কিছু অবদান থাকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও অন্তত ২-৩ জন ক্রিকেটারকে পারফর্ম করতে হয় দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাবার জন্য।

ads

তবে, ক্রিকেট অনেক সময়ই অনেক অবিশ্বস্য ঘটনার জন্ম দেয়। এমন কয়েকটি ম্যাচ পাওয়া যাবে যেখানে একজন ক্রিকেটার একাই লিখেছিলেন ম্যাচের চিত্রনাট্য। সেসব ম্যাচের স্কোরকার্ড দেখলে মনে হবে ক্রিকেট কখনো কখনো ‘ওয়ান ম্যান শো’ও হতে পারে। সেসব নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন।

  • ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

ads

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ব্যাটসম্যানদের ব্যাট হাতে ঝড় তোলার ঘটনা নিয়মিতই। ২০১৩ সালে আইপিএলের সেই ম্যাচে দ্য ইউনিভার্স বস যা করেছিলেন তা রীতিমত অবিশ্বাস্য। ব্যাঙ্গালুরুর চিন্বাস্বামী স্টেডিয়ামে পুনের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু করেছিল ৫ উইকেটে ২৬৩ রান। তবে সেখানে ক্রিস গেইল একাই চুড়মার করেছিলেন পুনের বোলিং লাইন আপ। তিনি একাই খেলেছিলেন ১৭৫ রানের বিশাল এক ইনিংস। সেই ইনিংসে গেইল বাদে আর কোনো ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন ইনিংস আর নেই।

  • অনিল কুম্বলে (ভারত)

একটা সময় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনা দুই দেশের সীমানা ছাড়াতো। এখন অবশ্য এই দুই দেশ টেস্ট ম্যাচে খেলেনা। ভারত-পাকিস্তানের এক টেস্ট ম্যাচে অনিল কুম্বলে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ। পাকিস্তানের ওই ইনিংসের ১০ টি উইকেটই নিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে। দিল্লীর ফিরোজ শাহ কোটলার (বর্তমান অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম) স্পিনিং ট্র্যাকের শতভাগ সদ্ব্যবহার করেছিলেন তিনি। এই কিংবদন্তি লেগ স্পিনার সেদিন প্রমাণ করেছিলেন কখনো একাই ক্রিকেট খেলা যায়।

  • ঋদ্ধিমান সাহা (ভারত)

সাহা এ মুহূর্তে ভারতের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। অন্তত, উইকেটরক্ষক হিসেবে এখন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা। আইপিএলেও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন পশ্চিমবঙ্গের এই ক্রিকেটার। ২০১৮ সালে আইপিএল খেলার আগে পশ্চিমবঙ্গে ক্লাব ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলেন। সেখানে মোহমবাগানের হয়ে এক ম্যাচে ২০ বলে সেঞ্চুরি করে বসেন এই ব্যাটসম্যান। ১০২ রানের সেই ইনিংসটি তিনি খেলেন ৫০২ স্ট্রাইকরেটে। ২০ বলের ইনিংসে ছিল ১৪ টি ছক্কা ও চারটি চার। মানে মাত্র দু’টি বলে তিনি বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেননি। যদিও, ম্যাচটা পেশাদার স্বীকৃতি পায়নি। পেলে এটাই টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি হিসেবে লেখা হয়ে থাকতো।

  • প্রনব ধানওয়ারে (ভারত)

ভারতের স্কুল ক্রিকেটে একটি ইনিংস খেলে ভারতের ক্রিকেটে পরিচিত নাম হয়ে উঠেছিলেন প্রনব। কেসি গান্ধীর হয়ে বয়স ভিত্তিক সেই টুর্নামেন্টে একাই ১০০০ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটসম্যান। তাঁর ১০০৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৪৬৫ রানে পৌছায় তাঁর দল। কি ভয়াবহ ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়েছিলেন সেদিন

  • গ্লেন টার্নার (নিউজিল্যান্ড)

১৯৭৭ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে তাঁর শো দেখান নিউজিল্যান্ডের গ্রেট গ্লেন টার্নার। ওপেনিং করতে নেমে দলের সর্বোচ্চ রান করেছিলেন তিনি। সেই ইনিংসে তিনি করেন ১৪৪ রান। তবে এরপর দশ ব্যাটসম্যানের আর কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ফলে তাঁর দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ১৬৯ রান।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link