পুরোনো অ্যাকশনে নতুন ভূমিকা

অ্যাকশনটা পুরোনো। তবে তাইজুলকে আপাতত দলে সামলাতে হচ্ছে নতুন একটা ভূমিকা-সাকিব আল হাসানের কাজটা করতে হচ্ছে তাকে-উইকেটও নিতে হবে, রানও আটকাতে হবে। আর এই ভূমিকাটা বেশ উপভোগই করছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই বাহাতি স্পিনার।

অ্যাকশন বদলাতে গিয়ে সেভাবে স্বস্তি না পাওয়ায় আগের অ্যাকশনেই ফিরে সফল তাইজুল। সে জন্য বর্তমান স্পিন কোচ সোহেল ইসলামকে কৃতিত্ব দিলেন এই বাহাতি স্পিনার।

অ্যাকশনটা পুরোনো। তবে তাইজুলকে আপাতত দলে সামলাতে হচ্ছে নতুন একটা ভূমিকা-সাকিব আল হাসানের কাজটা করতে হচ্ছে তাকে-উইকেটও নিতে হবে, রানও আটকাতে হবে। আর এই ভূমিকাটা বেশ উপভোগই করছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই বাহাতি স্পিনার।

পুরোনো অ্যাকশনে ফেরার ব্যাপারে কথা বলছিলেন তাইজুল। নতুন অ্যাকশনে খুব সমস্যা হচ্ছিলো, তা নয়। তারপরও পুরোনো অ্যাকশনই পছন্দ করেছেন তিনি, ‘এটা সত্যি যে আমি আমার পুরনো অ্যাকশনেই সফল। আমি আসলে চেষ্টা করছিলাম যেটা করা যায় কিনা। কিন্তু অ্যাকশন যে চেঞ্জ করা যাবে না বা করলে যে অনেক বড় সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে; এমনটা হয় নাই। আমি (পুরোনো অ্যাকশনে ফেরায়) অনেক বড় সাহায্য পেয়েছি সোহেল ভাইয়ের কাছ থেকে। আমি যখন পুরনো অ্যাকশনে ফিরতে চেয়েছি সোহেল ভাইয়ের কারণে সেটা তাড়াতাড়ি হয়েছে। উনি আমার অ্যাকশন সম্পর্কে ভাল জানি আরকি। তাই খুব একটা সমস্যা হয়নি।’

সাকিবের অনুপস্থিতিতে পুরোনো এই অ্যাকশনেই কিছুটা নতুন ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে তাইজুলকে। তবে এই স্পিনার বলছেন, সাকিব বেশ কিছুদিন মাঝে মাঝে না থাকায়, এটাতে অভ্যস্থ হয়ে গেছেন, ‘কেবল আজকে না, অনেকগুলো ম্যাচেই সাকিব ভাই ছাড়া আমি খেলছি। সাকিব ভাই থাকলে রোলটা আমার একরকম হয়, সাকিব ভাই না থাকলে আরেক রকম হয়। এটা হওয়াটা স্বাভাবিক। সাকিব ভাই সাকসেসফুল ক্রিকেটার।’

এই ম্যাচেও সাকিবের ভূমিকাটা কেমন পালন করতে হয়েছে, সেটা বলছিলেন তাইজুল, ‘যেহেতু সাকিব ভাই নেই। সেহেতু সাকিব ভাইয়ের রোলটা আমাদের পালন করতে হয়েছে। আগে যেটা বললাম। রান চেকেরও একটা চাপ থাকে, উইকেট নেওয়ারও একটা চাপ থাকে আর কি।  এই রোলটাই আমাকে পালন করতে হয়। উইকেটও নিতে হবে রানও চেক দিতে হবে। এটাই আর কি।’

তাইজুলের জন্য কাজটা অবশ্য সাকিবের চেয়ে কঠিন। তাইজুল শুধু টেস্টে খেলেন। তাও শুধু দেশের মাটিতে। তাই লম্বা এই বিরতিতে নিজেকে তৈরি রাখার কাজটা করতে হয় তাকে। সেই তৈরি রাখার উপায় সম্পর্কে বলছিলেন, ‘আমরা যখন খেলি আমাদের প্রসেসটা একই থাকতে হয়।  আমাদের যত ভালো প্রসেস থাকবে, গেমে ক্যামবেক করা ততোটা সহজ হবে। যখন জাতীয় লিগ খেলি, যে যেভাবে যেখানেই খেলি না কেন, আমরা ওই প্রসেসটা ঠিক রাখার চেস্টা করি। আমরা অনেক দিন পর পর টেস্ট খেলি, এটা সত্যি কথা। গ্যাপ থাকার কারনে হয়তো একটু ইয়ে হয়। বেশি টেস্ট খেলতে পারতাম, তাহলে আমরা ভালো করতে পারতাম। আমাদের ফ্লোটা ভালো থাকতো।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...