সাকিবের সামনে ‍দুই কীর্তি

ব্যক্তিগত অর্জনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণভোমরা সাকিব আল হাসান নিজেকে অনেক আগেই অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। পনেরো বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এই অলরাউন্ডারের নামের পাশে বসেছে অসংখ্যা রেকর্ড। কখনো একাই বসেছেন সিংহাসনে কিংবা কারো রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। আবার কখনো কখনো নিজেকেই ছাড়িয়ে গেছেন একাধিকবার।

ব্যক্তিগত অর্জনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণভোমরা সাকিব আল হাসান নিজেকে অনেক আগেই অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। পনেরো বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এই অলরাউন্ডারের নামের পাশে বসেছে অসংখ্যা রেকর্ড। কখনো একাই বসেছেন সিংহাসনে কিংবা কারো রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। আবার কখনো কখনো নিজেকেই ছাড়িয়ে গেছেন একাধিকবার।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হওয়ার আগেও রেকর্ড হাতছানি দিয়ে ডাকছে সাকিবকে। তাও কেবল একটি নয়, দু’টি। যে রেকর্ড নেই অন্য কোন ক্রিকেটারের, সাকিবই হবেন এই এলিট ক্লাবের প্রথম ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রানের সাথে একশো উইকেট নেই আর কোন ক্রিকেটারের।

এক হাজার রান এবং একশো উইকেটের ক্লাবে নাম লেখাতে আর মাত্র পাঁচ উইকেট প্রয়োজন সাকিবের। দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৭৯ ম্যাচে ৬.৮২ ইকোনোমিতে ২০.৮১ গড়ে ৯৫ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। আর এক হাজার রানের মাইলফলক অনেক আগেই স্পর্শ করেছেন তিনি। ৭৯ ম্যাচে ১৬০৪ রান রয়েছে সাকিবের ঝুলিতে।

শুধু এক হাজার রান এবং একশো উইকেটের এলিট ক্লাবেই নয়। সাকিবকে ডাকছে আরো একটি রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন সিরিজে পাঁচ উইকেট শিকার করলে বিশ্বের দ্বিতীয় বোলার হিসাবে টি-টোয়েন্টিতে একশো উইকেট শিকার করবেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একশো উইকেট রয়েছে শুধু মাত্র লাসিথ মালিঙ্গার।

৮৪ ম্যাচে ১০৭ উইকেট শিকার করে শীর্ষে রয়েছেন লঙ্কান কিংবদন্তি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদির শিকার ৮৩ ম্যাচে ৯৯ উইকেট। আর ৯৯ ম্যাচে ৯৮ উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। এবং তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা আফগানিস্তানের রশিদ খান ও সাকিবের শিকার সমান ৯৫ উইকেট।

সাকিবের সামনে সুযোগ রয়েছে শীর্ষে ওঠারও। আগামী কয়েক মাসে প্রচুর টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষেই বাংলাদেশ সফরে আসবে নিউজিল্যান্ড। সব কিছু ঠিক থাকলে ব্ল্যাকক্যাপ দলের সাথে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।

এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠেই ইংল্যান্ডের সাথেও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের আগে প্রায় ১১ টি টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পাবেন সাকিব। এই ১১ ম্যাচে উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষে ওঠার জন্য সাকিবের প্রয়োজন মাত্র ১৩ উইকেট।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...