মুস্তাফিজ সফল, ব্যর্থ রাজস্থান

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দ্বিতীয় অংশে টানা তিন হারে শেষ চারের দৌড় থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গেল রাজস্থান রয়্যালস। গ্রুপ পর্বে নিজেদের ১১ তম ম্যাচেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে মুস্তাফিজুর রহমানের দল। পয়েন্ট টেবিলে রাজস্থানের অবস্থান এখন সপ্তম স্থানে।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দ্বিতীয় অংশে টানা তিন হারে শেষ চারের দৌড় থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গেল রাজস্থান রয়্যালস। গ্রুপ পর্বে নিজেদের ১১ তম ম্যাচেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে মুস্তাফিজুর রহমানের দল। পয়েন্ট টেবিলে রাজস্থানের অবস্থান এখন সপ্তম স্থানে।

আর আজকের ম্যাচে জিতে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থান আরো মজবুত করেছে বেঙ্গালুরু। তাদের উপরে রয়েছে শুধু চেন্নাই সুপার কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস। দল হারলেও আজকের ম্যাচেও বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তিন ওভারে ২০ রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেন বাংলাদেশি এই পেসার।

১৫০ রান তাড়া করতে নামা বেঙ্গালুরুকে উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে দেন বিরাট কোহলি ও দেবদূত পাদ্দিকাল। ৫.২ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে দুই ওপেনার যোগ করেন ৪৮ রান। মুস্তাফিজুর রহমানের দারুণ এক ডেলিভারিতে লাইন মিস করে পাডিকাল বোল্ড হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি।

১৭ বলে ২২ রান করে পাদ্দিকাল বিদায় নেওয়ার এক ওভার পরই রান আউটের ফাঁদে পড়েন কোহলি। রায়ান পরাগের দুর্দান্ত এক থ্রোতে রান আউটের শিকার হয়ে ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফিরে যান ২০ বলে ২৫ রান করে। ৫৮ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও শ্রীকার ভারত। তৃতীয় উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়েন দু’জন।

এই জুটিতেই ম্যাচ পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ব্যাঙ্গালুরু। ৩৫ বলে ৪৪ রান করা ভারতকে ফিরিয়ে দিয়ে এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ। এরপর আর উইকেট হারাতে হয়নি ব্যাঙ্গালুরুকে। ম্যাক্সওয়েলের ৩০ বলে ৫০ রানে ভর করে ৫ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বেঙ্গালুরু। রাজস্থানের রয়্যালসের পক্ষে দুটি উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা রাজস্থান রয়্যালসকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জয়স্বী জয়সওয়াল ও এভিন লুইস। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৮.২ ওভারেই দুই ওপেনার তুলে ফেলেন ৭৭ রান। জয়সওয়ালকে ফিরিয়ে দিয়ে বেঙ্গালুরুকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন জর্জ গার্টন। এই পেসারকে ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন জয়সওয়াল।

২২ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার লুইসও। দুই ওভার পর উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লুইস। তবে ফেরার আগে ৩৭ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। দলীয় শতরানে দুই ওপেনার বিদায় নেওয়ার পরই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রাজস্থান।

একে একে ফিরে যান মাহিপাল লোমরর (৩), সাঞ্জু স্যামসন (১৯), রাহুল তেওয়াতিয়া (২) ও লিয়াম লিভিংস্টোন (৬)। স্যামসনকে ফিরিয়ে দেন শাহবাজ আহমাদ এবং বাকি দুটি উইকেট শিকার করেন যুবেন্দ্র চাহাল। ১২৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি রাজস্থান।

শেষের দিকে ক্রিস মরিসের ১১ বলে ১৪ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে রাজস্থান। বেঙ্গালুরুর বোলারদের ভিতর তিনটি উইকেট শিকার করেন হার্শাল প্যাটেল। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন শাহবাজ আহমাদ এবং যুজবেন্দ্র চাহাল।

  • সংংক্ষিপ্ত স্কোর

রাজস্থান রয়্যালস: ১৪৯/৯ (ওভার: ২০; লুইস- ৫৭, জয়সওয়াল- ৩১, লোমরর- ৩, স্যামসন- ১৯, রাহুল- ২, পরাগ- ৯, মরিস- ১৪*) (প্যাটেল- ৪-০-৩৪-১, চাহাল- ৪-০-১৮-২, শাহবাজ- ২-০-২০-২)

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৫৩/৩ (ওভার: ১৭.১; পাডিকাল- ২২, কোহলি- ২৫, ভারত- ৪৫, ম্যাক্সওয়েল- ৫০*, ভিলিয়ার্স- ৪*) (মুস্তাফিজুর- ৩-০-২০-২)

ফলাফল: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৭ উইকেটে জয়ী।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...