১০ ও ১১ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি, তনুষ-তুষারের ২৩২ রানের জুটি!
দশ ও এগারো নম্বর ব্যাটারের ব্যাট থেকে শতক! রঞ্জি ট্রফি তো বটেই, ভারতীয় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসেই এমন ঘটনার দেখা মেলেনি। তবে সেই 'না' হওয়া কীর্তিই মিলল মুম্বাই বনাম বরোদা মধ্যকার রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে। বরোদার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন মুম্বাইয়ের ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটার; তনুষ কোটিয়ান ও তুষার পাণ্ডে!
দশ ও এগারো নম্বর ব্যাটারের ব্যাট থেকে শতক! রঞ্জি ট্রফি তো বটেই, ভারতীয় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসেই এমন ঘটনার দেখা মেলেনি। তবে সেই ‘না’ হওয়া কীর্তিই মিলল মুম্বাই বনাম বরোদা মধ্যকার রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে।
বরোদার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন মুম্বাইয়ের ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটার; তনুষ কোটিয়ান ও তুষার পাণ্ডে! বরোদার বিপক্ষে ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তনুষ কোটিয়ান। আর ১১ নম্বরে নেমেছিলেন তুষার পাণ্ডে। প্রায় শেষ হওয়া ইনিংসটার হাল ধরেন এ দুই টেল এন্ডারই। ১১৫ বলে সেঞ্চুরি করেন তনুষ।
১০ চার ও ৪ ছক্কায় ১২৯ বলে ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন এ ব্যাটার। আর ১১ নম্বরে নামা তুষার দেশপাণ্ডে খেলেন ১২৩ রানের ইনিংস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এ দুই ক্রিকেটারেরই প্রথম সেঞ্চুরি এটি। তবে সেই প্রথম সেঞ্চুরিতেই তাঁরা গড়লেন ইতিহাস।
ভারতের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ইতিহাসে ১০ ও ১১ নম্বরে নামা ব্যাটার একই ইনিংসে সেঞ্চুরি করার ঘটনা শেষ ৭৮ বছরের এটিই প্রথম। এমনিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাস বিবেচনায় এমন ঘটনা দ্বিতীয়।
১৯৪৬ সালে ইন্ডিয়ান্স বনাম সারের ম্যাচে চাঁদু সারওয়াট ১০ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ওই ইনিংসেই ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্যুট বন্দ্যোপাধ্যায় ১২১ রান করেছিলেন। তবে এমন রেকর্ড গড়ার দিনে আরেকটি রেকর্ড অল্পের জন্য হাতছাড়া হয় তনুষ-তুষারের জুটিতে।
শেষ উইকেট জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ২৩২ রান। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে এটি শেষ উইকেটের জুটিতে এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শেষ উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড রয়েছে অজয় শর্মা ও মনিন্দর সিংয়ের। ১৯৩২ সালে বম্বের বিপক্ষে রঞ্জির সেমিফাইনালে শেষ উইকেটের জুটিতে ২৩৩ রান যোগ করেন দিল্লীর এ দুই ব্যাটার।
তবে এই রেকর্ড না গড়াও বারোদার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে রীতিমত চালকের আসনে মুম্বাই। দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোরবোর্ডে মুম্বাই জমা করেছে ৫৬৯ রান তোলে। অর্থাৎ বরোদার সামনে জয়ের জন্য এখন লক্ষ্যমাত্রা ৬০৬ রান।
পঞ্চম দিনে এই অসাধ্য সাধন করা রীতিমত অসম্ভবের নামান্তর বারোদার জন্য। ফলত, প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকায় ম্যাচ ড্র হলেও সেমির পথে এক পা দিয়েই রেখেছ মুম্বাই।