ভালবাসার দিনে কোনো ভালবাসা নেই!

ভালোবাসা দিবস মানে সবার কাছে উৎসবের এক দিন। সবাই চায় ভালো ভাবে ভালোবাসা দিবস কাটাতে। কিন্তু সবাই কি পারে আন্দনঘনভাবে ভালোবাসা দিবস? না, পারে না। দূর্ঘটনা কিংবা বিপর্যয় তো আর দিন দেখে আসে না। ঠিক তেমনি কিছু বিপর্যয় ঘটেছে ভালোবাসা দিবসে।

ভালোবাসা দিবস মানে সবার কাছে উৎসবের এক দিন। সবাই চায় ভালো ভাবে ভালোবাসা দিবস কাটাতে। কিন্তু সবাই কি পারে আন্দনঘনভাবে ভালোবাসা দিবস? না, পারে না। দূর্ঘটনা কিংবা বিপর্যয় তো আর দিন দেখে আসে না। ঠিক তেমনি কিছু বিপর্যয় ঘটেছে ভালোববাসা দিবসে।

যেমন ক্রিকেট মাঠই যদি ধরা যাক। এদিনেই ক্রিকেটের ইতিহাসে বড় কিছু ব্যাটিং বিপর্যয় দেখা যায়। বোলাররা একবিন্দুও ভালবাসা দেখাননি প্রতিপক্ষের প্রতি। ইতিহাস ঘেঁটে এমন তিনটি ঘটনার কথা জানা যায়। সেই সব ম্যাচ নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন।

  • ১৮৯৬: দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের কালো দিন

১৮৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ড। পোর্ট এলিজাবেথে দিনটা সেদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি। মানে ভালবাসার দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয় মাত্র ৩০ রানে, নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে। এটা এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের সবচেয়ে কম রানে অল আউট হওয়ার ক্ষেত্রে আছে দুই নম্বর অবস্থানে। এর চেয়েও কম রানে নিউজিল্যান্ড একবার অল আউট হয়েছিল।

যাই হোক, প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩৮ রানে ৭ উইকেট নেন জর্জ লোহম্যান। সেই ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৯৩ রান। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ রানে তুলে নেন ৮ উইকেট। এই টেস্টটি শেষ হয়েছিল মাত্র ২ দিনে। আর খেলা হয়েছিল মাত্র ২০০ ওভার (৫ বলে ওভার)। এই ম্যাচে হয়েছিল একটি হ্যাটট্রিক। মানে রোলাররাই ছিলেন ম্যাচের নায়ক।

  • ১৯৩১: এবার শিকার ওয়েস্ট ইন্ডিজ

১৯৩১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মাঠে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুইটি দল। কিন্তু, ম্যাচটা শেষ হয়ে যায় ভালবাসা দিবসেই। উপায়ও ছিল না, এই ম্যাচে দুই ইনিংসে ৯৯ এবং ১০৭ রানে অল আউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়ান বোলার বার্ট আইরনমঙ্গার ম্যাচে ১১ উইকেট নেন। আর ব্র্যাডম্যান খেলেন ১৫২ রানের একটি ইনিংস। এর আগের টেস্টে ২২৩ রানের একটি ইনিংস খেলেন স্যার ডন ব্রডম্যান।

  • ২০০৩: বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপর্যয়

সম্ভবত শ্রীলঙ্কার সেরা ফাস্ট বোলার মুত্তিয়া মুরালিধরন। কিন্তু যদি ওয়ানডে রেকর্ড বিবেচনা করা হয় তাহলে এগিয়ে থাকবে চামিন্দা ভাস। ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগারের অধিকারী চামিন্দা ভাস। তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন।

চামিন্দা ভাসই একমাত্র বোলার যিনি কিনা ইনিংসের প্রথম তিন বলে হ্যাট্রিক করেছেন। ২০০৩ সালের এই দিনে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েন ভাস। সেটাও ছিল ভালবাসা দিবসে। দক্ষিণ আফ্রিকার পিটারমারিজবার্গে মুখোমুখি হয় বংলাদেশ এবং শ্রীলংকা।

এই ম্যাচে ২৫ রানে ৬ উইকেট নেন চামিন্দা ভাস। আর ৩০ ওভার হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। শুধু হ্যাটট্রিক নয়, প্রথম পাঁচ বলের মধ্যেই তিনি সেদিন চারটি উইকেট নিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের সেই ম্যাচটা নিশ্চয়ই আর মনে করতে চায় না বাংলাদেশ!

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...