শামিম কী পরিকল্পনার বাইরে!

তাঁকে প্রথম দেখা অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে। ২০২০ সালে যারা বাংলাদেশকে প্রথম একটা বিশ্বকাপ এনে দিল। সেই দলের প্রত্যেকটা ক্রিকেটারকে নিয়েই বাংলাদেশ বড় স্বপ্ন দেখে। তবে সবার আগে যে দুই একটা নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছিল তাঁদের একজন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একেবারে রেডি ম্যাটার ভাবা হচ্ছিল তাঁকে।

তাঁকে প্রথম দেখা অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে। ২০২০ সালে যারা বাংলাদেশকে প্রথম একটা বিশ্বকাপ এনে দিল। সেই দলের প্রত্যেকটা ক্রিকেটারকে নিয়েই বাংলাদেশ বড় স্বপ্ন দেখে। তবে সবার আগে যে দুই একটা নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছিল তাঁদের একজন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একেবারে রেডি ম্যাটার ভাবা হচ্ছিল তাঁকে।

তবে সেই ভাবনাই কাল হলো কিনা সেটিই এখন আলোচনার বিষয়। বিশ্বকাপ জয়ী সেই দলটা থেকে প্রথম জাতীয় দলে আসলেন শরিফুল ইসলাম। এরপরের ডাক পড়লো শামিমের। এর আগে অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। গতবছর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে নিজের গুরুত্ব বুঝিয়েছেন।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য শামিম পাটোয়ারি সবমিলিয়ে একটা প্যাকেজ হতে পারতেন। বাংলাদেশ দলে একজন ফিনিশারের অভাব চিরকালই। আর সেই জায়গাটাতেই একটা আশার প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন তিনি। স্বভাবজাতভাবেই একটা পাওয়ার হিটিং এবিলিটি আছে তাঁর মধ্যে। ব্যাটের স্যুইং দারুণ। ফলে ছয়-সাতে নেমে ম্যাচ শেষ করে আসবেন এমনই ছিল পরিকল্পনা। ডিপিএলেও সেটা করে দেখিয়েছেন গতবছর।

এছাড়া শামিম বলটাও ঘোরাতে পারেন ভালোই। অন্তত প্রয়োজন পড়লে অনায়াসে কয়েক ওভার করানো সম্ভব। তবে শামীম নামের প্যাকেজটা ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল তাঁর ফিল্ডিং দিয়ে। এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম সেরা ফিল্ডার হিসেবে বিবেচিত হন তিনি। ফলে শামিমকে জাতীয় দলে নিয়ে আসা ছিল শুধু সময়ের ব্যাপার।

সেটাই হলো, গতবছর জিম্বাবুয়ের সাথে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষিক্ত হলেন। শুরুটাও দারুণ করেছিলেন। প্রথম ম্যাচে ১৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসের পর ১৫ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস। তবে এরপরের খরাটা শুরু হলো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরো ৮ টি ম্যাচ খেললেও সেভাবে হাসেনি তাঁর ব্যাট।

এরপর সেই প্রভাব বিপিএলেও পড়েছে। পুরো বিপিএলেও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি। তবে এতকিছুর পরেও শামীমকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখা হয়েছিল তাতো আর মিথ্যে হয়ে যায়না। নিজের সমস্যা গুলো নিয়ে কাজ করলে শামীম বাংলাদেশ ক্রিকেটকে লম্বা সময় সার্ভিস দিতে পারেন।

তবে এর জন্য শামিম ও বিসিবি দুই পক্ষ থেকেই পরিকল্পনা প্রয়োজন। শামীমের জন্য এখন জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে তাঁকে নিয়ে আলাদা করে কোন পরিকল্পনা দেখা যায়নি। এমনকি বাংলাদেশের একটি ছায়া দল বানিয়ে বাংলা টাইগার্সের যে ক্যাম্প বানানো হলো সেখানেও রাখা হয়নি শামিম পাটোয়ারিকে।

এখন প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক এত দ্রুতই কী শামিমের উপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ? শামীম যে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়ে উঠতে পারেন সেটা নিয়ে তো কোন সন্দেহ নেই। সর্বোচ্চ পর্যায়েও তিনি তাঁর ঝলক দেখিয়েছেন। ফলে তাঁকে নিয়ে কাজ করে আবার জাতীয় দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালানোর কথা ছিল।

তবুও বাংলা টাইগার্সের ক্যাম্পে ডাকা হয়নি তাঁকে। এছাড়া এবার বিসিবির চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। তাহলে আসলে শামীমকে ফিরিয়ে আনার পক্রিয়া কী? নাকি বাংলাদেশের ক্রিকেট শামিমের মত সম্ভাবনাদের হারিয়ে যাওয়াই দেখতে থাকবে? উত্তর দেবে কে?

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...