ভেঙ্কটেশ ‘ভয়ডরহীন’ আইয়ার
আইপিএলে টপ অর্ডারে খেললেও জাতীয় দলে তারকায় ঠাঁসা টপ অর্ডারে যে ভেঙ্কটেশের জায়গা মিলবে না সে জানতেন রোহিত। তবে আইয়ারকে ভিন্ন ভূমিকায় লোয়ার-মিডল অর্ডারে সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনার ছকটাও কষেছিলেন কোচের সাথে। তিন ম্যাচেই ব্যাটিং করলেও বল হাতে প্রথম দুই ম্যাচে সুযোগ পাননি। শেষ টি-টোয়েন্টিতে তিন ওভার বল করে ১২ রানে শিকার করেন এক উইকেট।
বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্স ভুলে গিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে নতুন মিশনে নামে ভারত। নতুন অধিনায়ক, নতুন প্রধান কোচের অধীনে নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ তে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় ভারত। এই সিরিজে সুযোগ পেয়েছিলেন বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার। যার মধ্যে একজন হলেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বেশ নজরকাঁড়া পারফরম্যান্স করা ভেঙ্কটেশ আইয়ার।
আইপিএলে টপ অর্ডারে খেললেও জাতীয় দলে তারকায় ঠাঁসা টপ অর্ডারে যে ভেঙ্কটেশের জায়গা মিলবে না সে জানতেন রোহিত। তবে আইয়ারকে ভিন্ন ভূমিকায় লোয়ার-মিডল অর্ডারে সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনার ছকটাও কষেছিলেন কোচের সাথে। তিন ম্যাচেই ব্যাটিং করলেও বল হাতে প্রথম দুই ম্যাচে সুযোগ পাননি। শেষ টি-টোয়েন্টিতে তিন ওভার বল করে ১২ রানে শিকার করেন এক উইকেট।
তরুন এই অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে রোহিত শর্মা জানান বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হবে আইয়ারের উপর। সে নিজেকে প্রমাণ করবে বলেও বিশ্বাস করেন ভারতের নব্য টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
রোহিত বলেন, ‘তাঁকে যতটা সম্ভব ব্যালেন্স করে রাখার পরিকল্পনাই ছিলো। একই সময়ে তাঁকে অবশ্যই একটা ভূমিকা দিতে হতো ব্যাটিংয়ে। সে সাধারণত এই পজিশনে ব্যাট করে না। তাঁর দলের জন্যও সে টপ অর্ডারে খেলে। এটা তাঁর জন্য কঠিন ছিলো জাতীয় দলে অর্ডারে জায়গা করা। তাই আমারা গাকে ৫,৬,৭ এই লোয়ার-মিডল অর্ডার পজিশন গুলোতে খেলানোর চিন্তা করেছি। সে সেই দায়িত্বটা ভালোভাবেই পালন করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শেষ ম্যাচে সে যতক্ষণই ক্রিজে ছিলো তাঁকে বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। তাঁর মাইন্ডসেট একদম পরিষ্কার এবং তাঁর অ্যাপ্রোচ সবসময়ই ভালো যাই করতে চায়। তার বোলিং স্কিলও দেখেছেন। আমাদের জন্য উজ্জ্বল এক সম্ভাবনা। তাঁর যে বোলিং স্কিল সে বোলার হিসেবেও নিজের দায়িত্বটা সঠিকভাবে করতে পারে। তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে হবে, যত বেশি সুযোগ দেওয়া যায় সেটাও দেখতে হবে এবং সে আমাদেরকে কতটুক দিতে পারছে সেটাও। এখন তো মাত্র শুরু। মাত্র তিনটা ম্যাচ খেলেছে এবং খুব বেশি সুযোগ পায়নি নিজেকে প্রমাণের। তবে সামনে অবশ্যই আমরা তাঁর দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখবো।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের বোলাররা বেশ দুর্দান্ত পারফরম করেছে। রোহিত শর্মা মনে করেন পাঁচ বোলার নিজের সেরাটা দিতে পারলে অন্য বোলিং অপশনের প্রয়োজন পড়ে না। তবে ছয় বা সাত নম্বর বোলিং অপশন অবশ্যই একজন অধিনায়ককে স্বস্তি দেয়।
তিনি বলেন, ‘যখন আপনি দলগত ভাবে খেলেন আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন জিনিস চেষ্টা করতে হবে এবং অনেক অপশন খুঁজতে হবে। ভারতীয় দলও ভিন্ন কম্বিনেশন, নতুন অপশন সবকিছুই পরখ করে দেখছে। আমাদের টপ পাঁচ ব্যাটারের মাঝে সুরিয়া ও শ্রেয়াস শুধু মাত্র একটু আধটু বল করতে পারে, তবে তারাও নিয়মিত বোলার না। তারা কখনোই নিয়মিত বল করেনি। তবে আমাদের ডেপথ কেমন সেটা দেখুন। এখন আমাদের বোলিং যেমন আছে এভাবে থাকলে আমাদের ছয় বা সাত নম্বর বোলিং অপশনের প্রয়োজন নেই। আপনার সেরা পাঁচ যদি নিজের কাজটা করতে পারে তাহলে অন্য কোনো অপশনের প্রয়োজন নেই। তবে একজন অধিনায়কের জন্য এটা দারুন ব্যাপার যদি ছয় বা সাত নম্বর অপশন থাকে।’
তরুন ক্রিকেটাররা সুযোগ পেলেও যাতে চাপ নিয়ে না খেলে সে ব্যাপারে রোহিত বলেছেন তাদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সাপোর্ট করা হবে নতুনদের। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলাটাই নতুনদের মাঝে তুলে ধরতে চায় রোহিত-দ্রাবিড়রা।
রোহিত বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দেরকে সেই নিরাপত্তাটুক দিতে চাই যাতে তারা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারে। আমাদের যে প্রথম মিটিং ছিলো আমরা এই ব্যাপারে স্পষ্ট বলেছি যে যদি কেউ দলের জন্য কিছু করতে চায় তাহলে সেটায় অবশ্যই দৃষ্টি রাখা হবে। অবশ্যই সেই সাপোর্ট দেওয়া হবে যখন একজন এগিয়ে এসে চাপের মূহুর্তটা নিজের কাঁধে নিবে। এটাই একজন কোচ ও অধিনায়কের কাজ যে প্লেয়ারদেরকে সেটা আস্বস্থ করা; তোমারা যা করতে চাইছো দলের জন সেটা আমরা বুঝতে পারছি। তুমি তোমার সেরাটা দিবে যদি সফল হও ভালো নয়তো কোনো সমস্যা নেই আমরা তোমার উপর ভরসা হারাবোনা কারণ তুমি দলের জন্যই করছো।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের যে পরিমাণ প্রতিভাবান আছে ভারতে, এটা সহজ না মোটেও। আপনাকে অনেক অপশন দেখতে হয়। যারা একাদশের বাইরে ছিলো তারাও নিজেদের সেরাটা দিয়েই ডাক পেয়েছে। আপনি হয়তো সবাইকে স্কোয়াডে রাখতে পারবেন কিন্তু একাদশে ফিট করাটা খুব কঠিন কাজ। এটা সর্বদাই কঠিন কিন্তু আমরা আমাদের সেরা চেষ্টা করবো যে যখনি এই খেলোয়াড়রা সুযোগ পাবে তারা যাতে ভয়ডরহীন ভাবে খেলতে পারে।’