নতুন শতকের তরুণ তাণ্ডব

কিছু ব্যাটসম্যান আছে যারা অভিষেক ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। আধুনিক এই টি-টোয়েন্টির এই যুগে দলের প্রয়োজনের ব্যাটসম্যানদের বেশ দ্রুত রান তুলতে হয়। আর অভিষেকেই এমন কয়েকজন ব্যাটসম্যানের দেখা মিলেছে যারা দ্রুত রান তুলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক ক্রিকেটার আছেন যারা নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচেই দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে কিছুটা সময় নিয়েছেন।

কিছু ব্যাটসম্যান আছে যারা অভিষেক ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। আধুনিক এই টি-টোয়েন্টির এই যুগে দলের প্রয়োজনের ব্যাটসম্যানদের বেশ দ্রুত রান তুলতে হয়। আর অভিষেকেই এমন কয়েকজন ব্যাটসম্যানের দেখা মিলেছে যারা দ্রুত রান তুলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।

নতুন শতকের এমনই কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন। চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

  • ক্রুনাল পান্ডিয়া (ভারত)

অভিষেক ম্যাচে সবচেয়ে দ্রুত হাফ সেঞ্চুরি করার রেকর্ড ক্রুনাল পান্ডিয়ার। পুনেতে ইংল্যান্ডে বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে এই কীর্তি গড়েন এই বাঁহাতি অল রাউন্ডার।

বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে দলে অভিষেক হয় ক্রুনাল পান্ডিয়ার।

৭ নাম্বার পজিশনে ব্যাট করতে নেমে তিনি ইংল্যান্ডের বোলারদের বিপক্ষের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন। ৩১ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

  • লুক রাইট (ইংল্যান্ড)

লুক রাইটের ইংল্যান্ড দলে অভিষেক ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে। এই অভিষেক ম্যচেই ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকান লুক রাইট।

দূর্দান্ত শুরুর পরও জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলতে পারেন নি লুক রাইট।

অভিষেক ম্যাচে ১২৮.২১ স্ট্রাইক রেটে ৩৯ বলে ৫০ রানের একটি ইনিংস খেলেন লুক রাইট। এখন পর্যন্ত অভিষেকে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড এটি।

  • নাসির জামশেদ (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার নাসির জামশেদ। ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের শুরু দিকে মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ পরিচিত ছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে ফিক্সিংয়ের দায়ে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ আছেন তিনি।

২০০৮ সালে করাচিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয় নাসির জামশেদের। অভিষেক ম্যাচে সালমান বাটের সাথে ওপেনিংয়ে নামেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৮ বলে ৬১ রানের একটি ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি। ২১ শতাব্দীতে অভিষেক ওয়ানডেতে তৃতীয় দ্রুত তম হাফ সেঞ্চুরি এটি।

  • মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু নিয়মিত উইকেট রক্ষক সরফরাজ আহমেদের জন্য দলে বেশি সুযোগ পেতেন না তিনি।

পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক ২০১৫ সালে ঢাকায়। অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই ম্যাচে ৫৮ বলে ৬৭ রান করেন তিনি। তবুও পাকিস্তানকে জেতাতে পারেননি তিনি।

  • শারজিল খান (পাকিস্তান)

শারজিল খান পাকিস্তানের ওপেনিং ব্যাটসম্যান। ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক ২০১৩ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে শারজাহতে।

বর্তমানে অতিরিক্ত ওজনের পরও জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে বেশ বিতর্কের মধ্যে আছেন তিনি।

শ্রীলংকার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৬১ বলে ৬১ রানের একটি ইনিংস খেলেন তিনি। বর্তমানে ২১ শতাব্দীতে অভিষেক ম্যাচে পঞ্চম দ্রুত হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড এটি।

আধুনিক টি-টোয়েন্টির এই যুগে এই রেকর্ডে আরো বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে হয়তো বেশি সময় লাগবে না। নতুন কোনো ক্রিকেটার অভিষেক ম্যাচেই মারকুটে এক হাফ সেঞ্চুরি করে রেকর্ডকে নতুন করে গড়ে তুলবে। কারণ এটা টি-টোয়েন্টির জামানা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...